অসমে স্কুল ড্রপআউট ২০২৫: কমেছে হার, জানুন মূল কারণ ও পরিণতি
Estimated reading time: 1 minutes
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!অসমে স্কুল ড্রপআউট হার কমেছে (২০২৪-২৫ রিপোর্টে মূল কারণ ও ফলাফল)
অসমে শিক্ষাক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ২০২৪-২৫ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, স্কুলে পড়াশোনায় ছাড়াছাড়ির হার সব স্তরে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং মনোনিবেশিত প্রচেষ্টার ফলে এই সাফল্য এসেছে বলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. ৰণজিৎ পেগু স্পষ্ট করেছেন।
নিম্ন প্রাথমিক স্তরে ড্রপআউট হার কমেছে ৬.২ থেকে ৩.৮ শতাংশে, উপ-প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরেও যথাক্রমে ৮.২ থেকে ৫, এবং ২৫.১ থেকে ১৭.৫ শতাংশে হ্রাস পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, শিক্ষার্থী ধরে রাখার হার এবং স্তর বদলানোর হারও উন্নত হয়েছে। যদিও কিছু চ্যালেঞ্জ থেকে গেছে, যেমন ডিজিটাল অবকাঠামো এবং নির্দিষ্ট অঞ্চলের উচ্চ ড্রপআউট, এই রিপোর্ট থেকে বোঝা যায় অসম শিক্ষা ক্ষেত্রে ইতিবাচক পথে এগুচ্ছে।
এই পরিবর্তনগুলোর পেছনে আছে সরকারের কর্মসূচি যেমন গুণোৎসব, সংশ্লিষ্ট মোঠন এবং শিক্ষাকে সকলের জন্য সহজলভ্য করার প্রয়াস। আগামী দিনে শিক্ষাক্ষেত্রে আরও উন্নতি হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
ভিডিও দেখতে পারেন এখানে:
Assam’s school dropout rates soar above national average – IndiaTodayNE
শিক্ষা স্তর অনুযায়ী ড্রপআউট হারের পতন
অসমে স্কুল ড্রপআউট হার সব স্তরে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, যা শিক্ষাক্ষেত্রে বড় সফলতা হিসেবে ধরা হচ্ছে। ২০২৪-২৫ সালের রিপোর্ট থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি নিম্ন প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ড্রপআউট হারের ভালো পতন এবং শিক্ষার্থী ধরে রাখার হার বাড়ার সূচনা হয়েছে। এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে সরকারি উদ্যোগ এবং উন্নত প্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহার। এখন বিস্তারিতভাবে দেখা যাক প্রতিটি স্তরের ড্রপআউট হার কেমন কমেছে এবং এই পরিবর্তনে কী ভূমিকা রেখেছে উন্নত মনিটরিং ও পাঠপরিবেশ।
নিম্ন প্রাথমিক স্তরে ড্রপআউট হার
নিম্ন প্রাথমিক স্তরে ড্রপআউট হার ৬.২ শতাংশ থেকে কমে মাপা গেছে মাত্র ৩.৮ শতাংশে। এই স্তর হলো শিক্ষার প্রথম ধাপ, তাই এখানে ছাত্রদের ধরে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাক্ষেত্রে গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য নেওয়া বিভিন্ন কর্মসূচির ফলে শিক্ষার্থীরা আস্তে আস্তে বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসছে। শিশুদের স্কুলে যাওয়া ও পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়াতে পাঠপরিবেশকে আরও উন্নত করা হয়েছে।
উচ্চ প্রাথমিক স্তরে উন্নতি
উচ্চ প্রাথমিক স্তরে ড্রপআউট হার কমেছে ৮.২ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে। এই পর্যায়ে পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা আগে বেশি থাকলেও, এখন মনিটরিং এবং শিক্ষার গুণগত মান বাড়ানোর ফলে পরিস্থিতি বদলেছে। শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতি কমাতে সরকার ‘শিক্ষা সেতু’ নামের অ্যাপ্লিকেশন চালু করেছে, যা এআই প্রযুক্তির সাহায্যে অভিভাবকদের ও শিক্ষকদের ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি সরাসরি জানায়। ফলে ছাত্রদের স্কুল থেকে সরে যাওয়ার ঘটনা প্রচুর হ্রাস পেয়েছে।
মাধ্যমিক স্তরে ড্রপআউটের উল্লেখযোগ্য পতন
মাধ্যমিক স্তরে ড্রপআউট হার সবচেয়ে বেশি কমে এসেছে ২৫.১ শতাংশ থেকে ১৭.৫ শতাংশে। উচ্চ স্তরে পড়াশোর চাপ বেড়ে যাওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা ছেড়ে দেয়, কিন্তু এবার উন্নত পাঠপরিবেশ ও মনিটরিং ব্যবস্থার মাধ্যমে এটাও নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ধরে রাখতে এবং তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ফুটবলসহ ছাত্রদের মেধা বিকাশের জন্য কো-করিকুলার কার্যক্রমও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
উন্নত মনিটরিং ও প্রযুক্তির ভূমিকা
ডা. ৰণজিৎ পেগুৰ মতে, এই ড্রপআউট হারের পতনের পেছনে শিক্ষাক্ষেত্রের আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ‘শিক্ষা সেতু’ নামক অ্যাপ্লিকেশনটি মানুষের চোখের মতো কাজ করছে, যা শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও অনুপস্থিতি রিয়েল টাইমে ট্র্যাক করে। এতে শিক্ষকদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। এআইভিত্তিক এই উপস্থিতি সিস্টেমটি অনেক সময় শিক্ষার্থী কী কারণে অনুপস্থিত হচ্ছে তা বিশ্লেষণ করে, যেটি অভিভাবক এবং স্কুল প্রশাসনের জন্য খুবই কার্যকর।
পাঠপরিবেশের উন্নতি
শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য শুধুমাত্র উপস্থিতি নয়, ভাল পাঠপরিবেশও অপরিহার্য। অসমের অনেক সরকারী ও প্রাদেশিক বিদ্যালয়ে আধুনিক শিক্ষা উপকরণ, ফাংশনাল টয়লেট, পানীয় জলের ব্যবস্থা এবং সম্পূর্ণ পাঠাগারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। এই পরিবেশ শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসতে প্ররোচিত করে এবং স্কুল ছেড়ে যাওয়া কমায়।
এই তথ্যসূত্র থেকে বোঝা যায়, অসম এখন শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করছে, যেখানে বিভিন্ন স্তরে ড্রপআউট হার হ্রাস পেয়েছে। এটি শুধু শিক্ষাক্ষেত্রের জন্য নয়, রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য বিশেষ দিক নির্দেশক।
আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনি অ্যাসাম ট্রিবিউন রিপোর্ট পড়তে পারেন।
