আজকের ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বিশ্বকর্মা পূজা: দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতায় সোনার দাম ও তুলনা

Estimated reading time: 1 minutes

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

আজ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ভিশ্বকর্মা পূজায় সোনার সর্বশেষ দাম (দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা): তুলনা ও কেন দাম কমেছে?

উৎসবের মৌসুমে সোনার দাম সবসময় আলোচনায় থাকে, কারণ এই সময়েই কেনাবেচা সবচেয়ে বেশি হয়। আজ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বিশ্বকর্মা পুজোয় দেশের নানা শহরে সোনার দামে স্পষ্ট অল্প পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। দিল্লি, মুম্বাই ও কলকাতার বাজারে সোনার দাম কিছুটা কমেছে, যা অনেক কেনাদার ও বিনিয়োগকারীর জন্য বড় সুযোগ।

এ বছর উৎসবের দিনে ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ছিল গড়ে ১১,২০০ টাকার কাছাকাছি, আর ২২ ক্যারেটে ছিল ১০,২০০ টাকার সামান্য বেশি। শহরভেদে সামান্য পার্থক্য থাকলেও, মোটামুটি একইভাবে দাম কমার প্রবণতা দেখা গেছে। কেন এই দাম কমলো, তার কারণ, আর এর ফলে কারা লাভবান হতে পারেন, এসব বিষয়ের সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ সামনে থাকছে।

আজকের সোনার সর্বশেষ দাম: শহরভিত্তিক ভাঙন

বিশ্বকর্মা পুজো ও উৎসবের মরশুমে দেশের নানা শহরে সোনার দাম নিয়ে আগ্রহ সবসময় থাকে। আজকের বাজারে দিল্লি, মুম্বাই এবং কলকাতায় ২৪ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট ও ১৮ ক্যারেট সোনার দাম বেশ কাছাকাছি থাকলেও শহরভেদে টুকটাক ভিন্নতা দেখা যায়। কারা বেশি খরচ করছেন, কোথায় দাম তুলনামূলক কম—এগুলো সহজেই বোঝা যায় নিচের তথ্য দেখে। চলুন শহরভিত্তিক আজকের বাজার দর দেখে নেওয়া যাক।

দিল্লির আজকের সোনার দাম: দিল্লিতে ২৪ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট ও ১৮ ক্যারেট সোনার নির্দিষ্ট আজকের বাজারমূল্য উল্লেখ করুন এবং মুম্বাই-কলকাতার তুলনা দিন

দিল্লিতে আজ ২৪ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট ও ১৮ ক্যারেট সোনার প্রতি গ্রামের দাম নিচের ছকে দেওয়া হলো:

ক্যারেট দিল্লি (₹/গ্রাম) মুম্বাই (₹/গ্রাম) কলকাতা (₹/গ্রাম)
২৪K ১১,১৮৫ ১১,১১৭ ১১,১১৭
২২K ১০,২৫৪ ১০,১৯০ ১০,১৯০
১৮K ৮,৩৯২ ৮,৩৩৮ ৮,৩৩৮

তথ্যসূত্র: Goodreturns Delhi Gold Rates

দিল্লিতে ২৪ ক্যারেট ও ২২ ক্যারেট সোনার দাম মুম্বাই ও কলকাতার তুলনায় সাধারণত সামান্য বেশি। এর কারণ রাজধানী অঞ্চল বলে এখানে সবসময় ডিমান্ড বেশি এবং পরিবহণ খরচও কিছু বেশি পড়ে। তবে তুলনা করলে দেখা যায়, ১৮ ক্যারেট সোনার দাম সব শহরেই প্রায় কাছাকাছি থাকে।

মুম্বাই ও কলকাতার আজকের সোনার দাম: মুম্বাই ও কলকাতার বাজারদরের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরুন এবং দিল্লির দামের তুলনা করুন, কোন শহরে বেশি দাম কেন হতে পারে, তার ব্যাখ্যা যুক্ত করুন

মুম্বাই ও কলকাতার সোনার বাজার একদম কাছাকাছি, বিশেষ করে ২৪ ক্যারেট ও ২২ ক্যারেট সোনার দামে। মুম্বাই হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্র, এখানকার সোনার সরবরাহ চ্যানেল অত্যন্ত মজবুত, ফলে দাম এখানে তুলনামূলক কম থাকে। কলকাতায়ও একই অবস্থা, কারণ বঙ্গোপসাগর ঘেঁষে আন্তর্জাতিক আমদানি সহজে হয়।

  • মুম্বাইয়ের মূল ফিচার:
    • সোনার আমদানি চ্যানেল শক্তিশালী।
    • বন্দরের জন্য সরবরাহ তুলনামূলক দ্রুত ও কম খরচে।
    • পাইকারি বাজার বড় বলে দামও প্রতিযোগিতামূলক রাখা হয়।
  • কলকাতার বৈশিষ্ট্য:
    • সোনার জুয়েলারি শিল্পের ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্র।
    • গ্রাহকের চাহিদা ও সরবরাহ দুই-ই স্থিতিশীল।
    • দক্ষিণ-পূর্ব ভারত থেকে আমদানি সহজ হওয়ায় দাম কম থাকে।

তবে দিল্লিতে দাম একটু বেশি থাকার পেছনে থাকে পরিবহন খরচ ও রাজধানীর অভ্যন্তরীণ চাহিদা। এর সুবাদে সেখানে খুব বেশি পার্থক্য না থাকলেও ২৪K ও ২২K ক্যাটাগরিতে সাধারনত ₹৫০–₹১০০ পর্যন্ত পার্থক্য দেখা যায় প্রতি গ্রামে।

আপনার শহরে সোনার দাম জানার জন্য নির্ভরযোগ্য রেটিং পোর্টালের সদ্য আপডেট খুঁজে নিতে পারেন। প্রতিদিনকার নতুন দর সম্পর্কে জানতে চাইলে দেখে নিতে পারেন Goodreturns India, যেখানে বাংলাদেশের কালেক্টরদের জন্য ভারতীয় সোনার বাজার বিশ্লেষণ পাওয়া যায়।

(দ্রষ্টব্য: সোনার বাজার খুব সহজেই বদলে যেতে পারে, তাই কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নির্দিষ্ট সময়ের বাজার মূল্য দেখে নেওয়া ভালো।)

উৎস:

সোনার দামের পরিবর্তনের কারণ ও উৎসবের প্রভাব

সোনার দাম কখনও–কখনও স্বাভাবিক নিয়মে ওঠানামা করলেও, উৎসবের সময়ে এই পরিবর্তন অনেক স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ভিশ্বকর্মা পুজোর মতো দিনে পরিবারের সবাই নতুন কিছু কিনতে চায়, বিশেষত সোনা। বাজারে সোনার চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য বদলে যাওয়াটাই এই সময়ে দাম ওঠানামার মূল কারণ। এবার একটু গুছিয়ে দেখে নেওয়া যাক ঠিক কোন কোন বিষয় সোনার দামের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে, আর উৎসবের দিনে কেন এই প্রভাব এতটা শক্তিশালী হয়।

আর্থিক ও বৈশ্বিক কারণ

সোনার দাম শুধু ভারতেই নয়, পুরো বিশ্ববাজারে নানা আর্থিক উপাদানের কারণে পরিবর্তিত হয়। নিচে কিছু মূল কারণ তুলে ধরা হলো:

  • মার্কিন ডলারের শক্তি: ডলারের দাম বাড়লে বা কমলে সরাসরি তার প্রভাব পড়ে সোনার বাজারে। ডলার দুর্বল হলে সোনা চড়া দামে ওঠে।
  • আন্তর্জাতিক বাজারের ওঠানামা: নিউ ইয়র্ক, লন্ডনের মতো বড় মার্কেটগুলির চাহিদা ও সরবরাহেও প্রভাব পড়ে ভারতীয় দামে।
  • ব্যাংকের সুদের হার: সুদের হার বাড়লে লোকজন কম সোনা কিনে, কারণ অন্য বিনিয়োগের সুযোগ বেশি আকর্ষণীয় লাগে।
  • মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা: যখনই অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা থাকে, মানুষ সোনাকে নিরাপদ বিনিয়োগ বলে মনে করে, ফলে দাম মূহূর্তেই বেড়ে যায়।

বিস্তারিত জানতে চাইলে দেখে নিতে পারেন What Affects the Price of Gold in the Indian Market? এখানে।

উৎসব ও পূজার সময়ে সোনার দামের বিশেষ পরিবর্তন

ভারতে উৎসব মানেই সোনা কেনার ধুম। বিশ্বকর্মা পুজোতে যেমন সবাই বাড়ি কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পূজা দেন, ঠিক তখনই নতুন সোনা কেনার প্রবণতা চোখে পড়ে। এই সময়ে কেন এত দামে ভিন্নতা, তার কয়েকটি কারণ আছে:

  • চাহিদা হঠাৎ বেড়ে যায়: ভিশ্বকর্মা পুজো, ধনতেরাস, অক্ষয় তৃতীয়া এগুলোতে অনেকেই সোনার গয়না বা কয়েন কেনেন বলে চাহিদা সাময়িক বাড়ে।
  • সরবরাহ সংকট: চাহিদা বাড়লেও অনেক সময় পর্যাপ্ত সরবরাহ না-থাকায় দাম দ্রুত বাড়ে। আবার উৎসব শেষে কিছুটা কমতেও দেখা যায়।
  • আঞ্চলিক বৈচিত্র্য: দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতার মধ্যে সরবরাহ কিংবা লজিস্টিক সময়ে ভিন্নতা থাকায় প্রতি শহরের দামে পার্থক্য দেখা যায়।
  • মূল্যবৃদ্ধি ও তুলনামূলক কম কেনাকাটা: কখনও কখনও অতিরিক্ত দাম সোনা কেনার ইচ্ছা কিছুটা কমিয়ে দেয়। এর বিস্তারিত প্রভাব কম-বেশি প্রতিটি উৎসবে পড়ে। এরকম পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদনে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে Record gold prices dampen demand during Indian festival

এক নজরে দেখা যায়, উৎসবের মরশুমে সোনার দামে ওঠানামা নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে ভিশ্বকর্মা পুজোর দিনগুলিতে বাজার অত্যন্ত চঞ্চল থাকে। কাঁচামালের আন্তর্জাতিক দাম, দেশি বাজারে চাহিদা, এবং মানুষের মানসিকতা—সবকিছু মিলে দাম একটু কম-বেশি হলেও এর মূল কেন্দ্রবিন্দু উৎসবের সময়কার অতিরিক্ত চাহিদা ও বাজারের প্রতিক্রিয়া।

উৎসবের মৌসুমে কেউ কিনলে একটু খোঁজ নিয়ে বাজার দর তুলনা করা কিন্তু জরুরি, কারন বাজারের ছোট পরিবর্তনেই বড় অঙ্কের পার্থক্য হতে পারে। বিভিন্ন উৎসব সম্পর্কে জানা থাকলে আগামী বছরের পরিকল্পনাও সহজ হয়। ভিশ্বকর্মা পুজো সম্পর্কে আরো জানতে এই Vishwakarma Puja 2025: Rituals, history, timings লেখাটি দেখতে পারেন।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে, দেশে আর্থিক পরিস্থিতি ও উৎসবের আবহ, এই দুই কাঁধে করেই সোনার দর ওঠানামা হয়। উৎসবে সোনা কেনার আগে সবারই দামের কারণগুলো বুঝে রাখা দরকার—কেউ যেন ঠকে না যান, আর সঠিক বাজারদরেই উৎসবের আনন্দ বাড়ে।

সোনার মূল্যবৃদ্ধি কেন গুরুত্বপূর্ণ: ক্রেতার দৃষ্টিকোণ

সোনা বাংলাদেশের মতো দেশে শুধু অলঙ্কার নয়, অনেকের কাছে নিরাপত্তা, ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় কিংবা প্রয়োজন সময়ে টাকার বিকল্প। তাই সোনার দাম বাড়া-কমা বা পরবর্তী সময়ে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে দামের গুরুত্ব সরাসরি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে যুক্ত। বিশেষ করে উৎসবের সময়ে কম দামের সুযোগটা বুঝে কেনা সত্যিই লাভের হতে পারে। এবার ক্রেতা হিসেবে আপনার দৃষ্টিকোণ থেকে কেন সোনার দাম জানা জরুরি, কিভাবে দাম বাড়া বা কমা আপনার জন্য দরকারি, তা সহজ করে ব্যাখ্যা করছি।

বাজেট ও পরিকল্পনার জন্য সঠিক দাম জানা জরুরি

প্রতিটি পরিবারের জন্য-বিশেষ করে সাধারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য-একটু একটু করে জমিয়ে সোনা কেনাই মূল ব্যাপার। কেউ শখের জন্য, কেউ হয়তো ভবিষ্যতের সঞ্চয়ের জন্য, আবার অনেক সময় বিয়ের মতো বড় অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিতে আগেভাগে দাম দেখে কেনার চিন্তা থাকে।
সঠিক সময়ে বাজারদর জানা থাকলে:

  • পরিবারের বাজেট তৈরি সহজ হয়।
  • বড় কেনাকাটায় ঝুঁকি কমে আসে।
  • আদৌ সোনা এখন কিনব, না অপেক্ষা করব, সেই সিদ্ধান্ত সহজ হয়ে যায়।
  • বিশুদ্ধ সোনা ও বাজারদরের মিলিয়ে প্রতারণার আশঙ্কা কমে।

উৎসবের আগেই কেনার কৌশল: কম দাম মানে বাড়তি লাভ

উৎসবের সময়ে, বিশেষ করে বিশ্বকর্মা পূজা বা দীপাবলি, বাজারে আচমকা সোনার চাহিদা বেড়ে যায়। এই বাড়তি চাহিদার আগেই যদি কেউ মূল্য কম থাকাকালীন সোনা কিনতে পারেন, তাদের ‘মুক্ত লাভ’ বা সুযোগ সুবিধা আরও অনেক বেশি হয়।
এর সুবিধা কী কী?

  • উৎসবের ভিড়ে হঠাৎ দাম বেড়ে গেলে মাথাব্যথা নেই, আগেভাগেই সোনা সংগ্রহ।
  • কিছুটা কম দামে যত gram কিনবেন, অতটুকু টাকা হাতে বেঁচে যাবে।
  • হয়তো পরে দর বাড়লে সেই একই সোনা বিক্রি করলেও লাভ থাকবে।
  • অযথা দৌড়াদৌড়ির ঝামেলা কমে আসে, কেনার চাপ থাকে না।

এক নজরে চলুন দেখে নিই কেমন হতে পারে দাম কমার সুবিধার হিসেব:

দাম ও ওজন উৎসবের আগে (দাম কমে গেলে) বিশ্বকর্মা বা উৎসবের দিন (দর বাড়লে) পার্থক্য (লাভ)
২৪ ক্যারেট সোনা ৫ গ্রাম ₹১১,১০০ × ৫ = ₹৫৫,৫০০ ₹১১,২০০ × ৫ = ₹৫৬,০০০ ₹৫০০
২২ ক্যারেট সোনা ১০ গ্রাম ₹১০,২০০ × ১০ = ₹১,০২,০০০ ₹১০,৩০০ × ১০ = ₹১,০৩,০০০ ₹১,০০০

(উপরের হিসেব আজকের বাজারদর অনুসারে ধরেই দেখানো হয়েছে)

বিনিয়োগ ও প্রয়োজনের সময় বিক্রির সুবিধা

সোনা কেবল গয়না কেনার জন্য নয়-অনেক সময় দরকার হলে বাজাতে বা প্রয়োজনে বিক্রি করার জন্যও সঞ্চয় রাখা হয়। দাম বাড়ার সময় এই সঞ্চয়ের আসল শক্তি বোঝা যায়। আজ কম দামে কিনলে, আগামী মাসে বা বছরে দর বাড়লে বিক্রি করেও লাভ করা যায়।

  • দাম যখন বাড়ে, সোনা বিক্রি করে সহজেই তরল অর্থ পাওয়া যায়।
  • বাজারে হঠাৎ দর পড়ে গেলেও, কেউ যদি কম দামে কিনে থাকেন, দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি হয় না।
  • আন্তর্জাতিক বাজার ও ডলার রুপির পরিবর্তনের সঙ্গে ভারতীয় বাজারেও এই প্রবণতা স্পষ্ট।

এর জন্য উৎসব-পূর্ববর্তী সময়ে দর প্রতি গ্রামের কত, আগের বছরের তুলনায় কেমন হেরফের, এগুলো জানা এনে দেয় নজরদারি ও নির্বিঘ্ন বিকল্প। বিষদ তথ্যের জন্য Why Is Gold Price Increasing In India 2025? এই লেখাটি দেখতে পারেন।

প্রতিদিনের দর জানার মানসিক স্বস্তি

শুধু বড় বিনিয়োগ নয়, ছোট ছোট গয়না বা কয়েন কেনার জন্যও প্রতিদিনের দাম জানা মানে বাড়তি স্বস্তি, কারণ:

  • দোকানে গিয়ে দরদাম করতে বুঝতে পারবেন, দোকানদার আচমকা বেশি দাম চাইলেও আপনি ঠকবেন না।
  • অনলাইন-অফলাইনে কোথায় সস্তা, সেই তুলনাটা হাতের নাগালে থাকবে।
  • দীর্ঘমেয়াদে পরিকল্পনা থাকলে দরপতন হলেই কেনার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন, বাড়তি লাভ হবে।

বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে বা উৎসবের আগে দাম কম থাকলে, অনেকেই সুযোগ নিয়ে নেন। সাধারণ মানুষের জন্য এই ছোট বুদ্ধি মানে ভবিষ্যতের বড় স্বস্তি। বাংলার ফলতোলা অভ্যাসের মতোই, সোনার বাজারে একটু হিসেবি হলে মুনাফা বাড়ে।

বাজারদর আপডেট ও গবেষণার উপকারিতা

যারা নিয়মিত সোনা কেনেন, তাদের জন্য প্রতিদিনের অনলাইন দর জানা আবশ্যক। আপনি চাইলে আজকের বাজারদর দেখে নিতে পারেন Today’s Gold Rate in Kolkata বা India’s Gold Market: Seasonal Demand Patterns & Trends লেখায়, কীভাবে উৎসবের সময়ের চাহিদা দামে প্রভাব ফেলে-তার বাস্তব তথ্য পাবেন।

পৃথিবী বদলাচ্ছে, দামও বদলাচ্ছে মোবাইল স্ক্রলেই! তাই হিসেব রাখুন, ভুলে যাবেন না—আজকের কম দাম, আগামীকালের উৎসব আনন্দে বাড়তি হাসি এনে দেবে।

(এই অংশের তথ্য ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বাজারদর এবং বাংলা ক্রেতাদের লাভ-ক্ষতি মাথায় রেখে সাজানো হয়েছে)

উপসংহার

আজ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, দিল্লি, মুম্বাই আর কলকাতায় ২৪ ক্যারেট সোনার দাম গড়ে ₹১১,২০০ টাকা, ২২ ক্যারেট ছিল ₹১০,২৭০-এর একটু ওপরে, ১৮ ক্যারেটে ছিল ₹৮,৪০০-এর মতো। এই দাম সামান্য কমেছে এবং শহর অনুযায়ী তফাৎও একেবারে কম। উৎসবের দিনে যারা সোনা কিনতে চেয়েছিলেন, তাদের জন্য এই দাম কমার সময়টা ভালো সুযোগ এনে দিয়েছে।

বাজারে এখনো চাহিদা রয়েছে তবে দাম তুলনামূলক কম থাকায় যেকোনো সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ। আপনি চাইলে স্থানীয় বাজার যাচাই করে তুলনা করুন এবং নিজের খেয়ালখুশি ও বাজেট বুঝে সঠিক সময়ে কিনুন। সোনার বাজারের এমন আপডেট জানার অভ্যাস নিরাপদ ও লাভজনক কেনাকাটার চাবিকাঠি হয়ে উঠতে পারে।

সবশেষে, উৎসবের আনন্দ যেন বাড়ে বুদ্ধিমানে সিদ্ধান্তে—আজকের দর আর বাজার তথ্য কাজে লাগান, নিজের সঞ্চয় আর বিনিয়োগে মনের শান্তি আনুন।

Click here