বিহার বাজেট ২০২৫: রাজস্ব ৩.৯৫ লাখ কোটি বনাম ৭.০৮ লাখ কোটি, তেজস্বীর কড়া সমালোচনা

Bihar Budget Revenue 3.95 lakh crore vs 7.08 lakh crore, Tejashwi strongly criticizes Bihar Assembly Election LIVE: Tejashwi Says INDIA Bloc Manifesto Can Make Bihar Number One

Estimated reading time: 1 minutes

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

বিহার বাজেট ২০২৫: রাজস্ব ৩.৯৫ লাখ কোটি, ঘোষণা ৭.০৮ লাখ কোটি (তেজস্বী যাদবের সমালোচনা)

বিহারে রাজনীতি আবারও গরম, বাজেটকে ঘিরে নতুন বিতর্ক। বিহার বাজেট ২০২৫ নিয়ে শাসক আর বিরোধী পক্ষ মুখোমুখি, ভোটের আগে টানটান পরিবেশ।

তেজস্বী যাদব বলছেন, রাজ্যের রাজস্ব ৩.৯৫ লাখ কোটি, অথচ মোদি আর নীতীশের সরকার ৭.০৮ লাখ কোটি টাকার যোজনা ঘোষণা করেছে। তার অভিযোগ, এটা নির্বাচনী প্রতারণা, সংখ্যার খেলায় মানুষকে বিভ্রান্ত করা। এটিই তেজস্বী যাদবের সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

এই পোস্টে আমরা দেখব, এই ফারাক রাজ্যের অর্থনীতিতে কী চাপ আনে। চাকরি, রেশন, সড়ক, স্বাস্থ্য, ঋণ আর কেন্দ্রীয় সাহায্যের ওপর প্রভাব কেমন হতে পারে, সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করব। চাইলে এই ভিডিওটিও দেখে নিন, ঘটনাপ্রবাহ বোঝা সহজ হবে:

বিহার সরকারের বাজেটের বাস্তবতা: কতটা অর্থ সত্যিই উপলব্ধ?

ঘোষণার অঙ্ক বড়, কিন্তু হাতে থাকা অর্থ কত, সেটাই মূল প্রশ্ন। রাজস্বের পথে যা নিশ্চিত, আর যা অনুমান, এই দুইয়ের ফারাক থেকেই বিতর্ক। নিচে সহজ করে সংখ্যা, খরচের ধারাবাহিকতা, আর নীতিগত ঝুঁকি টেবিলসহ তুলে ধরা হলো।

উপলব্ধ তহবিলের বিভাজন: কোথায় কত অর্থ যাবে?

বাজেটে রাজস্বের খাতা বলছে, সরকারের হাতে মোট প্রায় ৩.৯৫ লাখ কোটি টাকার সমন্বিত উৎস। এর ভেতরে স্থির উৎস, অনুমানভিত্তিক জোগান, আর জরুরি তহবিল, এই তিন স্তর আছে।

উৎস/খাত পরিমাণ (লাখ কোটি টাকা) মন্তব্য
কেন্দ্রীয় বরাদ্দ ও শেয়ার ৩.১৭ নিয়মিত প্রবাহ, কিন্তু শর্তসাপেক্ষ অংশও আছে
অতিরিক্ত রাজ্য উৎস ০.৫৮ কর, ফি, রাষ্ট্রায়ত্ত আয়, বন্ড; ঝুঁকি বেশি
আকস্মিক/জরুরি তহবিল ০.২০ অনিশ্চিত, প্রয়োজনভিত্তিক
মোট সম্ভাব্য রাজস্ব ৩.৯৫ ঘোষণার তুলনায় কম নিশ্চিত অর্থ

এখন খরচের বাস্তব ছবি:

  • প্রতিশ্রুত খরচ: প্রায় ২.০ লক্ষ কোটি, মূলত বেতন, পেনশন, সুদ, অনুদান। এই অংশ কাটা যায় না।
  • যোজনা মোডে বরাদ্দ: প্রায় ১.১৬ লক্ষ কোটি, সড়ক, স্বাস্থ্য, স্কুল, স্কিমে যাবে।
  • অতিরিক্ত সোর্স: প্রায় ৮০ হাজার কোটি, অসম্পূর্ণ প্রকল্প ও নতুন ঘোষণার পেছনে ধরা হয়েছে। এই অংশে নগদ প্রবাহ নিশ্চিত নয়।

তেজস্বী যাদবের দাবি, এই কাঠামোয় শিক্ষা, কৃষি, কর্মসংস্থান পিছনে পড়েছে, পরীক্ষা পেপার লিক, পুলিশ আধুনিকীকরণ নিয়েও স্পষ্ট কোনো রূপরেখা নেই। তিনি বাজেটকে “inflated” এবং “bundles of lies” বলেছেন, যা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ঠেলতে সংখ্যার ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তোলা হিসাব বলে আখ্যা দেন। বিস্তারিত তাদের মন্তব্যে দেখুন, যেমন The Hindu-র প্রতিবেদন এবং Economic Times-এর রিপোর্ট

সংক্ষেপে, হাতে থাকা নিশ্চিত টাকা দিয়ে বাধ্যতামূলক খরচ মিটিয়ে যোজনা খাতে জায়গা সীমিত। বাকি অংশ অনুমানের উপর দাঁড়িয়ে, যা প্রকল্পের গতি শ্লথ করতে পারে।

রাজস্ব বৃদ্ধির অভাব: সরকারের পরিকল্পনা কী?

টেকসই রাজস্ব ছাড়া বড় ঘোষণা টেকে না। বাজেটে শিল্পায়ন, কৃষি মূল্য সংযোজন, লজিস্টিক হাব, পর্যটন আয়, বা সার্ভিস সেক্টরে নতুন কর-ভিত্তি গড়ার স্পষ্ট পথ দেখা যায় না। উৎপাদনশীল বিনিয়োগ বাড়ানো, নতুন MSME ক্লাস্টার, কিংবা কৃষককে প্রসেসিং-স্টোরেজে সংযুক্ত করার মতো কাঠামোগত রোডম্যাপও নেই।

তেজস্বীর ভাষায় বাজেট “ফোলা” এবং “মিথ্যের কালিতে লেখা”, যা বেকারত্ব, মাইগ্রেশন, আর আয় বৃদ্ধি নিয়ে কোনো কার্যকর সমাধান দেয় না। শিক্ষা ও স্কিল-লিঙ্কড চাকরি, কৃষি ভ্যালু চেইন, এবং আইনশৃঙ্খলার আধুনিকীকরণ বাদ দিয়ে কেবল ব্যয় বাড়ালে রাজস্ব ঘাটতি চাপবে। একই আক্ষেপ তার সাম্প্রতিক বক্তব্যেও, যেখানে তিনি স্থায়ী আয়ের পথ দেখাতে সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। প্রাসঙ্গিক রিপোর্ট দেখুন The Hindu-র অনুসন্ধানী কভারেজে

কী দরকার এখন:

  1. রাজস্ব-ভিত্তিক নকশা: শিল্প পার্ক, গুদামজাতকরণ, অ্যাগ্রি-প্রসেসিংয়ে PPP প্রকল্প, সময়বদ্ধ ট্যাক্স ইনসেনটিভ।
  2. চাকরি-লিঙ্কড স্কিম: স্কিল ভাউচার, অ্যাপ্রেন্টিসশিপে ভর্তুকি, জেলায় জেলা এমপ্লয়মেন্ট টার্গেট।
  3. প্রযুক্তি ও শাসন: পরীক্ষা সিস্টেমে ডিজিটাল প্রোক্টরিং, পুলিশ ফোর্সে ফরেনসিক ও সাইবার সক্ষমতা।
  4. ফিস্কাল শৃঙ্খলা: অসম্পূর্ণ প্রকল্প তালিকা প্রকাশ, কস্ট-রিভিউ, এবং পরের বছরের রাজস্বে বাস্তব বৃদ্ধির মাপকাঠি।

রাজস্ব না বাড়লে বড় ঘোষণার ওজন কাগজেই থাকে। টেকসই আয়, সময়বদ্ধ প্রকল্প, আর স্বচ্ছতা, এই তিনে ভর করেই বাজেটকে কার্যকর করা সম্ভব।

মোদি-নীতীশের বিশাল যোজনা ঘোষণা: নির্বাচনী জোচ কি না?

ভোটের মুখে ঘোষণার ঝড় উঠেছে। সংখ্যাগুলো চমকায়, কিন্তু পয়সা আসবে কোথা থেকে, সেটাই গেরুয়া গিঁট। মে থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে কেন্দ্র আর রাজ্য মিলিয়ে ঘোষণার অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৭.০৮ লাখ কোটি। এই সেকশনে দেখি, কারা কী বলেছে, আর বাস্তবে কতটা সম্ভব।

প্রধানমন্ত্রীর অবদান: কোন যোজনাগুলো ঘোষিত হলো?

সরকারি প্রচারে বলা হচ্ছে, মে থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী যে প্রকল্প ও আর্থিক প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছেন, তার সমষ্টি প্রায় ১.১৫ লক্ষ কোটি। বড় অংশ গেছে অবকাঠামো, কৃষি সেচ, আর এভিয়েশন আপগ্রেডে। প্রধান পয়েন্টগুলো এক নজরে:

  • এয়ারপোর্ট ও কানেক্টিভিটি: পাটনা এয়ারপোর্ট সম্প্রসারণ, বিহতায় ব্রাউনফিল্ড, নতুন গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্টের রূপরেখা। রাজ্যের যাতায়াত সক্ষমতা বাড়ানোর দাবি।
  • কৃষি ও সেচ: কৌশি বেসিনে সেচ সংস্কার, ERM ধরনের প্রকল্পে বরাদ্দের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
  • নারী সহায়তা: ক্ষুদ্র উদ্যোগে নারীদের প্রথম কিস্তি হিসেবে ১০ হাজার টাকা, ভবিষ্যতে যাচাই সাপেক্ষে ২ লাখ পর্যন্ত সহায়তার প্রতিশ্রুতি। এই পরিকল্পনার কাঠামো ও শর্তাবলি নিয়ে বিস্তারিত পড়ুন Indian Express-এর রিপোর্টে

এখানেই বিরোধীদের আপত্তি তীব্র। তেজস্বী যাদবের দাবি, এই অঙ্কগুলো কাগজে সুন্দর, কিন্তু ফান্ডিংয়ের সুনির্দিষ্ট উৎস, কেন্দ্র-রাজ্যের শেয়ার, টাইমলাইন, আর প্রকল্প-প্রস্তুতির স্তর অস্পষ্ট। তার ভাষায়, এগুলো নির্বাচনী রিশ্বত। তিনি সরাসরি হিসাব তুলে ধরে বলেছেন, প্রতিশ্রুতি পূরণে প্রায় ৭ লাখ কোটি দরকার, যা বর্তমান রাজস্ব কাঠামোয় ধরা ছোঁয়ার বাইরে। প্রাসঙ্গিক মন্তব্য দেখুন Business Standard-এর প্রতিবেদনে

আরেকটি তর্কের জায়গা হলো সরাসরি নগদ সহায়তা। বছরে একবার ১০ হাজার টাকা দিলে ২০ বছরে মোট ১০ হাজারই থাকে, দৈনিক গড় প্রায় ১.৩৮ টাকা। তেজস্বীর কটাক্ষ, এমন “ঝুটা প্রতিশ্রুতি” দারিদ্র্য বা কর্মসংস্থান বদলাবে না, বরং ভোটের ঠিক আগে মন পাওয়া ছাড়া আর কিছু নয়।

সিএম নীতীশের প্রতিশ্রুতি: প্রগতি যাত্রার সৌগাত কতটা বাস্তবসম্মত?

সিএম নীতীশের প্রগতি যাত্রায় ঘোষণার মোট অঙ্ক প্রায় ৫০ হাজার কোটি। ফোকাস রাখা হয়েছে ফ্রি বিদ্যুৎ ১২৫ ইউনিট, সড়ক-মেরামত, নতুন বাস সার্ভিস, নারী উদ্যোগে সহায়তা, স্বাস্থ্য-শিক্ষা অবকাঠামো। শুনতে আকর্ষণীয়, কিন্তু বাস্তবায়নের প্রশ্নে ফাঁকচোরা দেখা দিচ্ছে।

তেজস্বীর প্রশ্ন দুটো সোজা, ভিশন কোথায় এবং রাজস্ব পলিসি কী। রাজ্যের নিশ্চিত রাজস্ব ৩.৯৫ লাখ কোটি হলে, আগের বকেয়া প্রকল্প, বেতন-পেনশন, সুদ-সাবসিডি মিটিয়ে নতুন ৫০ হাজার কোটির স্পেস কেমন করে তৈরি হবে। তিনি এই অবস্থাকে বলছেন তাবড়তোড় ঘোষণা, যা রাজনৈতিক ভয় থেকে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে পুরনো প্রতিশ্রুতির হাল নিয়ে কড়া সমালোচনা আছে, যেমন কথিত পিঙ্ক বাস সার্ভিস বা ঘোষণা-করা নারী স্কিমের অপূর্ণতা। বিরোধীরা বলছে, এখন আবার মাই-बहिन-মান ধরনের স্কিমের নাম বদলে কপি-পেস্ট করে প্রচার চলছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষাপট দেখুন MSN-এ প্রকাশিত ভিডিও রিপোর্টে

বাস্তবতায় ফিরলে, এত বড় সৌগাত টেকসই করতে তিনটি জিনিস জরুরি: স্পষ্ট ফান্ডিং রোডম্যাপ, সময়বদ্ধ টেন্ডারিং ও DPR, এবং পর্যায়ভিত্তিক মনিটরিং। নইলে এই ঘোষণা কাগজেই উজ্জ্বল থাকবে। বিরোধীদের ভাষা, “পুরোনো স্কিম শেষ না করে নতুন স্কিমের রঙ চড়িয়ে মঞ্চে বললে রাজস্ব বাড়ে না।” ভোটের আগে গতি বাড়ানো যায়, কিন্তু আয় না বাড়লে প্রকল্প থমকে যায়।

তেজস্বী যাদবের পাল্টা হামলা: আরজেডির পরিকল্পনা এবং বিজেপি-জেডিযু-এর পরাজয়ের ভবিষ্যদ্বাণী

তেজস্বী যাদব বাজেটকে আক্রমণ করে বলছেন, সংখ্যার সাজসজ্জায় আসল প্রশ্ন আড়াল করা হচ্ছে। তার সোজা দাবি, চাকরি, শিক্ষা, আইনশৃঙ্খলা এবং নারীদের নামে ঘোষণাগুলো কাগজে উজ্জ্বল, মাঠে নিষ্ক্রিয়। তিনি নীতীশ সরকারের ওপর নকলের অভিযোগ তুলেছেন, আবার ভবিষ্যতের নামে নগদ বিতরণকে ভোট কিনতে চাওয়া বলেছেন। এই সুরেই তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করছেন, জনতা ডাবল রফতারে ডাবল ইঞ্জিন সরকারকে হারাবে, আরজেডি বিকল্প রূপরেখা দেবে।

ঝুটা প্রতিশ্রুতির অভিযোগ: ২০ বছরের শাসনে কী অর্জন?

১০ হাজার টাকার প্রতিশ্রুতি শুনতে ভালো লাগে। কিন্তু ২০ বছরে এর গড় মানে দাঁড়ায় দিনে প্রায় ১.৩৮ টাকা। এত কম টাকায় দারিদ্র্য বদলায় না, চাকরিও হয় না। এটাকে তেজস্বী বলছেন ভবিষ্যত কেনার চেষ্টা, ভোটের আগে পকেটমানি রাজনীতি। তার ভাষায়, ঝুটা প্রতিশ্রুতি দিয়ে চোখে ধুলো দেয়া হচ্ছে, যেন বাজেটের ঘাটতি ধরা না পড়ে।

  • নারী যোজনা অকার্যকর: শর্ত, যাচাই, আর প্রবাহ অনিশ্চিত। ঘোষণা বড়, টাকার পথ ছোট।
  • কর্মসংস্থান, শিক্ষা, আইনশৃঙ্খলা পরে: চাকরি সৃষ্টির সংখ্যা নেই, পরীক্ষার নিরাপত্তা দুর্বল, পুলিশ আধুনিকীকরণে রূপরেখা নেই।
  • নকলচি সরকার: পুরোনো স্কিমের নাম পাল্টে প্রচার বেশি, ফল কম। প্রাসঙ্গিক বিতর্ক দেখুন নীতীশ সরকারের বিরুদ্ধে তেজস্বীর ‘কপিক্যাট’ অভিযোগ

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভ্রষ্ট দলের রিশ্বত-রাজনীতিতে কল্যাণের নামে নগদে লোভ দেখানো হয়, কিন্তু টেকসই আয়, শিল্প আর স্কিল উন্নয়নে নিরবতা। ২০ বছরের শাসনে যদি প্রতিদিন ১ টাকার বেশি ভিশন না থাকে, তা হলে অর্জন কোথায়, প্রশ্ন তুলছেন তিনি।

আরজেডির ফুলপ্রুফ প্ল্যান: কেন এটাই বিহারের ভবিষ্যত?

তেজস্বী ইঙ্গিত দিয়েছেন, নির্বাচনী নোটিফিকেশনের পর আরজেডি তাদের ফুলপ্রুফ প্ল্যান প্রকাশ করবে। ফোকাস থাকবে তিনটে বড় ব্যথার জায়গায়, কিন্তু খুঁটিনাটি এখনই খুলছেন না, যাতে রাজনৈতিক নকল থামানো যায়।

এই পরিকল্পনার ভিত্তি তিনটি স্তম্ভে দাঁড়ানো:

  1. মাইগ্রেশন থামানো: জেলাভিত্তিক শিল্প, ক্লাস্টার আর স্থানীয় স্কিলের সঙ্গে চাকরির সরাসরি যোগ।
  2. কর্মসংস্থান: অ্যাপ্রেন্টিসশিপ ভর্তুকি, এমএসএমই ক্রেডিট গ্যারান্টি, সরকারি ঠিকা বরাদ্দে যুবকের কোটার বাধ্যতা।
  3. কৃষক কল্যাণ: নিশ্চয়তা মূল্য, স্টোরেজ-প্রসেসিং চেইন, ও কৃষি-লজিস্টিক সাপোর্ট।

তেজস্বীর দাবি, এই বাজেট চাকরি, শিক্ষা আর আইনশৃঙ্খলা উপেক্ষা করেছে, তাই নতুন রূপরেখাই পথ দেখাবে। তিনি বলছেন, মানুষ এখন পরিষ্কার জবাব চান, দ্রুত উন্নয়ন চান। এই জনমতের ঢেউ দেখেই তিনি বলেন, ডাবল রফতারে ডাবল ইঞ্জিন সরকার হারবে। পরিস্থিতির তাপে এনডিএর বয়সী নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে, যা নিয়ে চলতি কভারেজ দেখুন Economic Times-এর রিপোর্টে

জনতার কাছে তার আহ্বান সহজ, যে প্রতিশ্রুতি কিস্তিতে আসে, তা জীবনে বদল আনে না। টেকসই চাকরি, মানসম্মত শিক্ষা, নিরাপদ রাস্তাই আসল সমাধান। ভোটেই সেই সিদ্ধান্ত ধরা দেবে।

Conclusion

৩.৯৫ লাখ কোটি টাকার নিশ্চিত রাজস্বের পাশে ৭.০৮ লাখ কোটির ঘোষণা, এখানেই মূল দ্বন্দ্ব। অর্থের উৎস, টাইমলাইন, আর বাস্তবায়নের রূপরেখা পরিষ্কার না হলে বড় প্রতিশ্রুতি কাগজেই আটকে যায়। তেজস্বী যাদব বলছেন, এই হিসাব মানুষ মানবে না, এনডিএ হারবে, ভোটে জবাব মিলবে।

এখন পছন্দ সহজ, বাজেট শুধু সংখ্যা নয়, চাকরি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সড়ক আর স্বচ্ছ শাসনে টেকসই ফল চাই। বিহার নির্বাচন ২০২৫ সামনে, দাবি তুলুন স্পষ্ট ফান্ডিং, পর্যায়ভিত্তিক মনিটরিং, এবং সময়বদ্ধ কাজের অগ্রগতির জন্য। আপনারা কী ভাবছেন, কোন তিনটি কাজে তাত্ক্ষণিক বরাদ্দ দরকার, মন্তব্যে লিখুন।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ। শক্ত সিদ্ধান্ত, সোজা রোডম্যাপ, আর জন-অংশগ্রহণই বিহারের আসল উন্নয়নের পথ খুলে দেবে।

Click here