আয়কর ২০২৫: বাড়িতে ক্যাশ রাখার নিয়ম ও সীমা, কত টাকা রাখা যায়
আয়কর ২০২৫: বাড়িতে ক্যাশ রাখার নিয়ম ও সীমা, কত টাকা রাখা যায়
Estimated reading time: 1 minutes
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!আয়কর অনুযায়ী বাড়িতে ক্যাশ রাখার নিয়ম, কত টাকা রাখা যায়? (২০২৫)
বাড়িতে ঠিক কত টাকা রাখা যায়, এটা নিয়েই বেশিরভাগের দোটানা। সংক্ষেপে বলি, ২০২৫ অনুযায়ী আয়কর বিভাগের কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। আপনি যেকোনো পরিমাণ ক্যাশ রাখতে পারেন, শর্ত একটাই, টাকার উৎস পরিষ্কার হতে হবে এবং প্রয়োজনে দেখাতে হবে।
মানুষ এই প্রশ্ন করে কারণ অনেকেই ভুলভাবে ধরে নেন একটা নির্দিষ্ট লিমিট আছে। আসল নিয়ম সহজ, বাড়িতে ক্যাশ রাখার নিয়ম বলছে উৎস প্রমাণ, সঠিক নথি, আর ITR এ ঘোষণাই মূল কথা। উৎস দেখাতে না পারলে জব্দ, জরিমানা, ঝামেলা সবই হবে। তাই বেতন স্লিপ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, বিক্রয় রসিদ বা ব্যবসার খাতা কাছে রাখুন।
এই লেখায় নিয়মগুলো সহজ ভাষায়, আপডেটেড ২০২৫ তথ্য দিয়ে বোঝানো হবে। হাই-লাইট থাকবে কোন লেনদেনে ক্যাশ নিষেধ বা সীমা আছে, যেমন 269ST অনুযায়ী একক লেনদেনে 2 লাখ টাকার বেশি ক্যাশ নেওয়া বা দেওয়া চলবে না, তবে ঘরে ক্যাশ রাখার ওপর কোনো ক্যাপ নেই। শেষে, কী ডকুমেন্ট রাখবেন আর কোন ভুল এড়াবেন তার সংক্ষিপ্ত তালিকাও পাবেন।
সহায়ক ভিডিও:
আয়কর বিভাগ অনুসারে বাড়িতে ক্যাশ রাখার মূল নিয়ম কী?
বাড়িতে ক্যাশ রাখার জন্য আইনে কোনো নির্দিষ্ট উপরের সীমা নেই। আপনি ₹১ লক্ষ, ₹৫০ লক্ষ বা তারও বেশি, এমনকি ₹১ কোটি পর্যন্ত রাখতে পারেন, যদি টাকার উৎস বৈধ হয় এবং তা আপনার আয়কর রিটার্নে প্রতিফলিত থাকে। ২০২৫ অনুযায়ীও এই নীতি একই, নিয়মের মূল কথা হল উৎস প্রমাণ, সঠিক নথি, আর প্রয়োজনে ব্যাখ্যা। নানা গণমাধ্যমের গাইডে দেখা যায়, হিসেব পরিষ্কার থাকলে বড় অঙ্ক ক্যাশ নিয়েও সাধারণত জটিলতা হয় না, তবে আইন কোনো ক্যাপ ঠিক করেনি। প্রেক্ষাপট জানতে চাইলে দেখুন News18-এর ব্যাখ্যা।
খেয়াল রাখুন, ক্যাশ রাখার ওপর সীমা না থাকলেও অজানা উৎসের টাকা ধরা পড়লে সমস্যা হবে। আয়কর আইনের ধারা ৬৮ থেকে ৬৯বি অনুযায়ী অজানা ক্যাশ বা সম্পদ ধরা পড়লে উচ্চ হারে কর, সারচার্জ, সেস, আর অতিরিক্ত জরিমানা বসতে পারে। ধারা ৬৮ সম্পর্কিত কর-ব্যবহার নিয়ে স্পষ্ট ভাষায় লেখা আছে ClearTax-এর এই গাইডে।
কেন ডকুমেন্টেশন এবং রেকর্ড রাখা জরুরি?
আয়কর কর্মকর্তারা মূলত দুটি জিনিস দেখেন, টাকার উৎস কী এবং সেটা নথিতে মেলে কি না। তাই বাড়িতে রাখা ক্যাশের জন্য উৎস প্রমাণ রাখাই নিরাপদ পথ। আপনার কাছে যদি পরিষ্কার ডকুমেন্ট থাকে, তাহলে বড় অঙ্কের ক্যাশ নিয়েও আত্মবিশ্বাসী থাকতে পারবেন।
যে কাগজপত্রগুলো কাজে লাগে, এগুলো হাতে রাখুন:
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং উত্তোলন স্লিপ: কোন তারিখে কত টাকা তুলেছেন, তা দেখাতে পারবেন।
- আয়কর রিটার্নের স্বীকৃতি এবং ফর্ম ১৬/বেতন স্লিপ: ঘোষিত আয়ের সঙ্গে ক্যাশের হিসেব মিলবে।
- বিক্রয় রসিদ বা ইনভয়েস: ব্যবসা বা সম্পদ বিক্রির নগদ আয় বোঝাতে দরকারী।
- গিফট ডিড বা ঘোষণাপত্র: আত্মীয়ের উপহার হলে দাতা কে, কীভাবে দিয়েছেন, তা উল্লেখ থাকুক।
- ক্যাশ বুক বা পার্সোনাল খাতা: ব্যবসায়ী হলে দৈনিক নগদ আগমন ও বহির্গমন লিখে রাখুন।
- সম্পদ বিক্রি/চুক্তির কপি: ফ্ল্যাট, জমি, গাড়ি বিক্রির টাকা হলে রেজিস্ট্রেশন ও পেমেন্টের প্রমাণ রাখুন।
ধরা যাক আপনি ₹১ লক্ষ ক্যাশ বাড়িতে রাখলেন। ব্যাংক থেকে গত সপ্তাহে তুলেছেন, ব্যাংক স্টেটমেন্ট আর ATM/ব্রাঞ্চ স্লিপ আছে, আপনার ITR-এ বেতনের আয় দেখা যাচ্ছে। এখানে ঝুঁকি কম। আবার কেউ যদি ₹৫০ লক্ষ ক্যাশ রাখেন, কিন্তু কোনো ব্যাংক ট্রেইল না থাকে, বিক্রির রসিদ নেই, বা ITR-এ তা প্রতিফলিত নয়, তাহলে ধারা ৬৮-৬৯বি প্রয়োগ হতে পারে এবং বড়সড় কর ও জরিমানা বসতে পারে।
নিরাপদ থাকতে ছোট কিছু অভ্যাস গড়ে তুলুন:
- বড় অঙ্ক ক্যাশ তোলার আগে এবং পরে ব্যাংক ট্রেইল পরিষ্কার রাখুন।
- ITR ফাইল করার সময় সেভিংস বা বড় নগদ অবস্থান নিয়ে নোট রাখুন।
- ক্যাশ জমা বা তোলা হলে উদ্দেশ্য লিখে রাখুন, যেমন বাড়ি মেরামত, জরুরি ফান্ড।
- গিফট হলে দাতা ও ট্রান্সফারের প্রমাণ নিন, সম্ভব হলে ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করুন।
- ব্যবসার ক্ষেত্রে ক্যাশ বিক্রি হলে VAT/GST ইনভয়েস, স্টক রেকর্ড মিলিয়ে রাখুন।
সারকথা, বাড়িতে যত খুশি ক্যাশ রাখা যায়, শর্ত হল উৎস পরিষ্কার, নথি ঠিক, আর রিটার্নে ঘোষণা। অবৈধ টাকা রাখলে তা ধরা পড়লে ব্যয়বহুল হয়ে যাবে, তাই রেকর্ডই আপনার সুরক্ষা-কবচ।
ক্যাশ লেনদেনের সীমা এবং নিষেধাজ্ঞা জেনে নিন
বাড়িতে ক্যাশ রাখা যায়, কিন্তু ক্যাশ লেনদেনে কড়া নিয়ম আছে। ২০২৫ অনুযায়ী কিছু সীমা, টিডিএস, আর নিষেধ মানতেই হবে। লক্ষ্য সোজা, অস্বচ্ছ নগদ কমানো এবং ব্যাংকিং চ্যানেল বাড়ানো। নিচের টেবিলটি দেখে দ্রুত বোঝা যায় কোন ক্ষেত্রে কতটা ক্যাশ নেওয়া বা দেওয়া যাবে।
| লেনদেনের ধরন | নগদ সীমা | আইনি ভিত্তি | কী করবেন |
|---|---|---|---|
| একদিনে, একজনের কাছ থেকে মোট নগদ গ্রহণ | ₹2,00,000 পর্যন্ত | ধারা 269ST, খসড়া ধারা 186 (২০২৫) | বড় লেনদেন হলে ব্যাংকিং ব্যবহার করুন |
| একজনের কাছ থেকে দৈনিক ক্যাশ রিসিপ্ট | ₹1,00,000 পর্যন্ত | খসড়া ধারা 186 (২০২৫) | একই দিনে ভাগ করে নিলেও সীমা ভাঙবেন না |
| লোন, ডিপোজিট বা প্রপার্টি অ্যাডভান্স নগদে গ্রহণ | ₹20,000 পর্যন্ত | ধারা 269SS, প্রস্তাবিত 185 | তার বেশি হলে NEFT/RTGS/IMPS, চেক |
| লোন বা ডিপোজিট নগদে পরিশোধ | ₹20,000 পর্যন্ত | ধারা 269T | ব্যাংকিং পথে পরিশোধ করুন |
| ব্যবসায়িক উচ্চমূল্যের নগদ রিসিপ্ট | ₹2,00,000-এর কম | ধারা 269ST | ইনভয়েসে পেমেন্ট মোড পরিষ্কার রাখুন |
আরও প্রেক্ষাপটের জন্য দেখুন 269ST এবং ২০২৫ আপডেট নিয়ে এই গাইডটি, যেখানে দৈনিক সীমা এবং রিসিপ্ট-ক্লাবিং ব্যাখ্যা আছে, Cash Transaction Limits – FY 2025-26।
ব্যাঙ্ক থেকে ক্যাশ উত্তোলনের নিয়ম এবং টিডিএস
ব্যাংক থেকে টাকা তুললে এক পর্যায়ে টিডিএস কাটা পড়ে। এই নিয়মটি ধারা 194N অনুযায়ী প্রযোজ্য, ২০২৫ সালেও এটি কার্যকর। আপনার ITR স্ট্যাটাসের উপর হার বদলে যায়।
- আপনি যদি ITR ফাইল না করেন, বছরে মোট ক্যাশ উত্তোলন ₹20 লক্ষ ছাড়ালে 2% টিডিএস, আর ₹1 কোটি ছাড়ালে 5% টিডিএস।
- আপনি যদি নিয়মিত ITR ফাইল করেন, বছরে ₹1 কোটি পর্যন্ত কোনো টিডিএস নেই, ₹1 কোটি পেরোলেই অতিরিক্ত অংশে 2% টিডিএস।
সহজ উদাহরণ:
- ITR ফাইল করা করদাতা বছরে ₹1.40 কোটি তুললেন। প্রথম ₹1 কোটি, টিডিএস 0। বাকি ₹40 লক্ষের উপর 2%, অর্থাৎ ₹80,000 টিডিএস।
- ITR ফাইল না করা ব্যক্তি বছরে ₹30 লক্ষ তুললেন। ₹20 লক্ষের পরের ₹10 লক্ষের উপর 2%, অর্থাৎ ₹20,000 টিডিএস।
নিয়মের অফিসিয়াল ব্যাখ্যা ও প্রযোজ্য সীমা দেখতে পারেন আয়কর বিভাগের এই FAQ পাতায়, TDS on Cash Withdrawal u/s 194N FAQs।
কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ
- বড় অঙ্কের ক্যাশ তোলা হলে ট্যাক্স-ট্রেইল পরিষ্কার থাকে।
- হঠাৎ বেশি ক্যাশ দরকার হলে খরচের প্রমাণ আর ব্যাংকিং রেকর্ড রাখলে ঝুঁকি কমে।
- ব্যবসার ক্যাশ ফ্লো প্ল্যান করলে অপ্রয়োজনীয় টিডিএস-কাট এবং পরের সমন্বয় এড়ানো যায়।
ব্যবহারিক টিপস
- বছরের শুরুতেই সম্ভাব্য ক্যাশ-নিড ম্যাপ করুন।
- ITR ফাইলিং আপ টু ডেট রাখুন, এতে ₹1 কোটি পর্যন্ত টিডিএস মুক্ত উত্তোলন সুবিধা থাকে।
- বড় উত্তোলন ভেঙে ব্যাংকিং ট্রান্সফার এবং নগদের মিশ্রণ করুন, উদ্দেশ্য লিখে রাখুন।
অবৈধ লেনদেনে কী ধরনের শাস্তি হতে পারে?
ক্যাশ সীমা ভাঙলে বা অজানা উৎসের টাকা থাকলে শাস্তি কড়া হতে পারে। 269ST ভাঙলে জরিমানা লেনদেনের সমান পর্যন্ত যেতে পারে, অর্থাৎ কার্যত 100% জরিমানা। ২০২৫ খসড়া প্রস্তাবে উচ্চমূল্যের ক্যাশ নিয়ন্ত্রণে ধারা 185 এবং 186 যুক্তভাবে আলোচনা হচ্ছে, যা 2 লাখের বেশি রিসিপ্ট, দৈনিক 1 লাখ সীমা এবং 20 হাজারের লোন-ডিপোজিট নিয়মকে শক্ত করছে। তুলনামূলক আলোচনা দেখতে পারেন Clause 186 vs Section 269ST বিশ্লেষণ।
আর কী শাস্তি হতে পারে
- অজানা আয়: ধারা 68 থেকে 69B অনুযায়ী উচ্চ কর, সারচার্জ, সেস, সাথে আলাদা জরিমানা।
- লোন/ডিপোজিট নগদে নেওয়া-দেওয়া: ধারা 269SS/269T ভাঙলে নেওয়া বা দেওয়া অংকের 100% পর্যন্ত পেনাল্টি।
- ব্যবসায় নগদ খরচ: সীমা ভাঙলে খরচ ডিডাকশন বাতিল হতে পারে, ফলে ট্যাক্স বাড়ে।
এড়ানোর সহজ উপায়
- ₹20,000-এর বেশি লোন, ডিপোজিট, প্রপার্টি অ্যাডভান্স, সবই ব্যাংকিং পথে করুন।
- একদিনে একজনের কাছ থেকে ₹1,00,000 ছাড়িয়ে ক্যাশ নেবেন না। 2 লাখের মোট ক্যাশ রিসিপ্ট সীমাও মাথায় রাখুন।
- বড় ক্যাশ জমা বা উত্তোলনের কারণ, ইনভয়েস, অ্যাগ্রিমেন্ট, গিফট ডিড, সব নথি রাখুন।
- সম্ভব হলে UPI, NEFT, RTGS, চেক ব্যবহার করুন। এতে প্রমাণ থাকে, সন্দেহ কমে।
মূল কথা, নিয়ম মেনে চললে কোনো সমস্যা নেই। ব্যাংকিং চ্যানেল বেছে নিন, রেকর্ড ঠিক রাখুন, আর সীমা ভাঙার ঝুঁকি নেবেন না।
ক্যাশ রাখার সেরা পরামর্শ এবং নিরাপত্তা টিপস
বাড়িতে ক্যাশ রাখা আইনে নিষিদ্ধ নয়, তবে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে করলে ঝুঁকি কমে, আর ট্যাক্স-ঝামেলাও এড়ানো যায়। ২০২৫ অনুযায়ীও বাড়িতে ক্যাশ রাখার উপর নির্দিষ্ট সীমা নেই, শর্ত হল উৎস বৈধ, রেকর্ড পরিষ্কার, আর ITR আপ টু ডেট। নিচের টিপসগুলো ব্যবহারিক, সহজে মানা যায়, আর পরিবারের সুরক্ষা বাড়ায়।
কোথায় রাখবেন: ব্যাংক নাকি বাড়ি?
প্রথম পছন্দ ব্যাংক। সুরক্ষা বেশি, সুদের সুবিধা থাকে, আর লেনদেনের ট্রেইল পরিষ্কার। তবে বাড়িতে কিছু নগদ লাগতেই পারে, জরুরি সময়ে হাতের কাছে রাখতে সুবিধা হয়।
প্রয়োগযোগ্য ধারণা
- বেসলাইন রুল: ৩ থেকে ৬ মাসের খরচ ব্যাংকে তরল রাখুন, খুব কম অংশ বাড়িতে।
- জরুরি ফান্ড: ৭ থেকে ১৫ দিনের খরচের ক্যাশই বাড়িতে রাখুন। বাকিটা সেভিংস বা ফিক্সড ডিপোজিটে।
- বড় অঙ্ক: ২ লাখের বেশি নগদ ধরে রাখতে হলে ভাবুন, সত্যিই দরকার আছে কি না। ব্যাংকে রাখলেই নিরাপদ।
রেফারেন্স হিসেবে দেখতে পারেন বাড়িতে ক্যাশ সীমা নিয়ে এই সংক্ষিপ্ত গাইড, যেখানে আইনের ভিত্তি সহজভাবে বোঝানো আছে, How Much Cash Can You Legally Keep at Home। একই বক্তব্যের সারাংশ আছে এই সংকলন রিপোর্টেও, Cash Limit: How much cash can you keep at home in India।
বাড়িতে রাখতেই হলে: সেফটি সেটআপ
ক্যাশ বাড়িতে রাখলে সুরক্ষা এবং গোপনীয়তা দুটিই জরুরি। বাড়ির সেফ এমন হোক যা আগুন, পানি, আর চুরির ঝুঁকি কমায়।
কীভাবে শুরু করবেন
- ফায়ারপ্রুফ সেফ: ১ ঘণ্টা ফায়ার রেটিংসহ, অ্যাঙ্কর-বোল্টে দেয়াল বা মেঝেতে ফিক্স করুন।
- ডিকয় স্ট্র্যাটেজি: সামান্য ক্যাশ সহজ জায়গায়, মূল টাকা সেফে। জরুরি সময় চাপ কমে।
- কমপার্টমেন্ট: সেফের ভিতরে খামে ভাগ করে রাখুন, তারিখ এবং উদ্দেশ্য লিখুন।
- অ্যাক্সেস কন্ট্রোল: খুব কম লোক জানুক কোথায় রাখা আছে। পাসকোড নিয়মিত বদলান।
- হোম সিকিউরিটি: সিসিটিভি, মোশন সেন্সর লাইট, দরজার ডেডবোল্ট, আর নেবার এলার্ট নেটওয়ার্ক সক্রিয় রাখুন।
উদাহরণ
- আপনি মাসে ১.৫ লাখ খরচ করেন। বাড়িতে ৩০ থেকে ৫০ হাজার জরুরি ক্যাশ যথেষ্ট। বাকি ব্যাংকে, প্রয়োজনে কার্ড বা UPI ব্যবহার করুন।
ডকুমেন্টেশন এবং ITR হাইজিন
ট্যাক্স দপ্তর উৎস দেখে, কাগজ দেখে, আর ITR দেখে। তাই হিসেব পরিষ্কার রাখুন, তাতে বড় অঙ্ক ক্যাশ থাকলেও আত্মবিশ্বাস থাকবে।
চেকলিস্ট
- উৎস প্রমাণ: ব্যাংক স্টেটমেন্ট, উত্তোলন স্লিপ, বেতন স্লিপ, ইনভয়েস, গিফট ডিড।
- ক্যাশ লগ: কোন দিন কত তুললেন বা পেলেন, কেন দরকার ছিল, এক লাইনে লিখে রাখুন।
- ITR সামঞ্জস্য: ঘোষিত আয় এবং সেভিংসের সাথে নগদের বৈধতা মিলছে কি না দেখুন।
- বছরশেষ নোট: মার্চের শেষে হাতে থাকা নগদের আনুমানিক অঙ্ক লিখে রাখুন, প্রয়োজনে ব্যাখ্যা দিন।
প্রো টিপ
- বড় ক্যাশ জমা বা উত্তোলনের পর সেই নথি স্ক্যান করে ক্লাউডে রাখুন। ফোন হারালেও ডকুমেন্ট থাকবে।
২০২৫ আপডেট: কোন বিষয় মাথায় রাখবেন
- বাড়িতে ক্যাশ রাখার উপরে এখনো নির্দিষ্ট সীমা নেই, উৎস বৈধ হলেই রাখা যায়।
- উচ্চমূল্যের ক্যাশ রিসিপ্ট, লোন বা ডিপোজিটে সীমা কড়া আছে। ধারা 269ST, 269SS, 269T, আর 194N সক্রিয় আছে। এই নিয়ম আপনার ব্যাংক ট্রেইল এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করে।
- নীতিতে প্রস্তাবিত শক্ত নিয়ম বড় ক্যাশ রিসিপ্টকে আরও নিয়ন্ত্রণে আনে। তাই ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহারই নিরাপদ পথ।
ঝুঁকি কমাতে দৈনিক অভ্যাস
ছোট ছোট অভ্যাস ঝুঁকি কমায়, আর হিসেব গোছানো রাখে।
- বড় উত্তোলনের আগে ব্যাংক ট্রান্সফার বিকল্প ভাবুন, যেমন NEFT বা RTGS।
- গিফট হলে দাতা কে, কত দিলেন, ব্যাংক ট্রেইল আছে কি না, লেখায় রাখুন।
- ব্যবসার নগদ হলে ইনভয়েস এবং স্টক রেকর্ড মিলিয়ে রাখুন।
- পুরোনো নোট বা ক্ষতিগ্রস্ত নোট আলাদা খামে, ব্যাংকে বদলে নিন।
- সেফের চাবি বা কোড পার্সোনাল মেইল বা মেসেজে লিখবেন না, পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করুন।
কবে ট্যাক্স এক্সপার্টের সাথে কথা বলবেন
- হাতে বড় অঙ্ক ক্যাশ আছে, কিন্তু উৎসের কাগজ পুরো নয়।
- প্রপার্টি বিক্রি বা ব্যবসার বড় ক্যাশ সেল হয়েছে, ডকুমেন্ট মিলাতে চান।
- ব্যাংক থেকে উচ্চ অঙ্ক উত্তোলন পরিকল্পনা করছেন, 194N প্রভাব বুঝতে চান।
- নোটিস পেয়েছেন বা ক্যাশ ডিপোজিট নিয়ে সন্দেহ আছে।
এক কথায়, টাকা নিরাপদ রাখুন, হিসেব পরিষ্কার রাখুন, আইন মেনে চলুন। দরকার হলে ট্যাক্স এক্সপার্টের পরামর্শ নিন, এতে ঘুম ভালো হবে আর ঝুঁকি কমবে।
Conclusion
সংক্ষেপে, ২০২৫ অনুযায়ী বাড়িতে ক্যাশ রাখার কোনো সীমা নেই, তবে উৎস বৈধ, নথি পরিষ্কার, আর ITR আপ টু ডেট থাকতে হবে। ক্যাশ লেনদেনে ধারা 269ST, 269SS, 269T, আর 194N মানুন, ব্যাংকিং চ্যানেল প্রাধান্য দিন, বড় অঙ্কে নথি হাতে রাখুন। এতে আয়কর বিভাগের প্রশ্ন এলে সহজে জবাব দিতে পারবেন, ঝুঁকিও কমবে।
এখনই আপনার ITR স্ট্যাটাস চেক করুন, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও রসিদগুলো গোছান, বাড়িতে কত ক্যাশ রাখবেন তার ব্যক্তিগত নীতি ঠিক করুন। বাড়িতে ক্যাশ, কত টাকা রাখা যায়, আয়কর বিভাগ, ২০২৫ এই কীওয়ার্ডগুলো মাথায় রেখে আইন মেনে চলুন। কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে লিখুন, দরকার হলে ট্যাক্স এক্সপার্টের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
