পাপ্পু যাদবের দাবি: হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, ULFA, PPE, শারদা প্রেক্ষাপট
পাপ্পু যাদবের দাবি হিমন্ত বিশ্ব শর্মার অপরাধের ইতিহাস (ULFA, PPE, শারদা)
Estimated reading time: 1 minutes
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!পাপ্পু যাদবের দাবি: হিমন্ত বিশ্ব শর্মার অপরাধের ইতিহাস (ULFA, PPE, শারদা)
পাপ্পু যাদব ঝাড়খণ্ডে মিডিয়ার সামনে বললেন, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা নাকি “সবচেয়ে বড় গুন্ডা” এবং “স্ক্যামস্টার।” পূর্ণিয়া থেকে এসে তিনি সরাসরি অভিযোগ তুললেন, এই নেতা নাকি ULFA যোগ, চাঁদাবাজি, আর নানা স্ক্যাম দিয়ে ছাপ রেখে গেছেন। ভোটের সময় এই কথা রাজ্যের আলোচনায় আগুন ধরাল।
এই পোস্টে থাকছে, যাদব কী বলেছেন, কোন পুরোনো অভিযোগ সামনে এসেছে, আর কেন নির্বাচনের আগে এই দাবি গুরুত্বপূর্ণ। পাঠকরা পাবেন প্রাসঙ্গিক সূত্র, প্রেক্ষাপট, আর ভোটারদের জন্য সহজ ভাষায় মূল বিষয়। ভিডিও রেফারেন্স দেখতে পারেন:
ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে এখন গতি বেড়েছে, কথা কমে না। এই অভিযোগগুলো যদি সত্যি হয়, রাজ্যের ভোট-সমীকরণে তা বড় প্রভাব ফেলতে পারে। চলুন, তথ্য দেখে নিই, সিদ্ধান্ত নিন আপনি নিজেই।
হিমন্ত শর্মার অতীতের অপরাধময় ঘটনা: ১৯৯১-এর কেসগুলো
১৯৯১ সালে অসম ছিল আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তার দিন। শহর অর্ধেক বন্ধ, গ্রাম-শহরে পোস্টার, ফোন এলে গলা নামাতে হতো। সেই অশান্ত সময়ের ভেতর থেকেই উঠে আসে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নামে একগুচ্ছ অভিযোগ। পাপ্পু যাদব যে ডকুমেন্ট দেখিয়েছেন বলে দাবি করেছেন, সেখানেই এসব অভিযোগের সূত্র মিলেছে বলে আলোচনায় এসেছে। এই অংশে আমরা মামলাগুলোর কাঠামো, প্রেক্ষাপট এবং আদালতের পদক্ষেপ সাজিয়ে দেখছি, যাতে পাঠক পরিষ্কার অবস্থান নিতে পারেন।
ULFA-এর সাথে যোগাযোগ এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ
অসমের রাজনীতিতে ULFA একসময় ছিল দৈনন্দিন শব্দ। ব্যবসায়ী, ঠিকাদার, এমনকি তরুণ নেতাদের ফোন যেত রাতে। অভিযোগ ওঠে, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা নাকি ULFA-এর এক হ্যান্ডলারের ভূমিকায় ছিলেন এবং ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা তোলার দুটি মামলায় তার নাম আসে। কথিতভাবে লক্ষ্য ছিল একদল ব্যবসায়ী, চাপে টাকা তুলতে বাধ্য করা হতো। এই অভিযোগগুলো সেই সময়ের এফআইআর আর থানার জিডি নোটে নথিভুক্ত হয় বলে দাবি করা হয়।
এই প্রেক্ষাপটে বোঝা দরকার, ৯০-এর দশকে অসমে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা, সশস্ত্র গোষ্ঠীর হুমকি, আর পুলিশের হঠাৎ অভিযান ছিল একই ছবির অংশ। তাই একদিকে অভিযোগ, অন্যদিকে আত্মপক্ষ সমর্থন, সবকিছু মিশে ধোঁয়াটে ছিল। তবুও, চাঁদাবাজির দুটি কেস আলাদা করে চোখে পড়ে, কারণ এখানে দাবির অঙ্ক, যোগাযোগের অভিযোগ, আর সাক্ষ্য সংগ্রহের চেষ্টা একসঙ্গে নথিভুক্ত হয়েছিল বলে বলা হয়।
অস্ত্র এবং TADA মামলার জটিলতা
একই বছরে পানবাজার থানায় অস্ত্র আইনের মামলা দায়ের হয়, যেখানে অবৈধ অস্ত্র পাওয়ার অভিযোগ উঠে। পাশাপাশি চাঁদমারি এবং পানবাজারে TADA মামলা শুরু হয়। TADA ছিল শক্তিশালী আইন, সন্ত্রাস সংক্রান্ত মামলায় দ্রুত গ্রেপ্তার আর দীর্ঘ আটক সহজ করত। অভিযোগপত্রে হত্যার আশঙ্কা, পরিকল্পনা আর সহযোগিতার কথা ছিল বলে শোনা যায়।
এখানেই আসে আদালতের ভূমিকা। ২০০৯ সালে গুয়াহাটি হাইকোর্ট এই পুরোনো নথি, তদন্তের অগ্রগতি এবং প্রক্রিয়াগত ত্রুটির প্রশ্নে আদেশ দেন বলে সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ আছে। একই স্রোতে উঠে আসে কংগ্রেস নেতা মণিবেদ্র শর্মা হত্যাকাণ্ড। সমালোচকেরা বলেন, ওই কেসের সাথে যোগাযোগের অভিযোগ ছিল, কিন্তু একের পর এক ফাইল নিখোঁজ, সাক্ষ্য জোগাড়ে ভাঙন, আর প্রমাণের অভাবে শেষ পর্যন্ত খালাসের ফল হয়। সাধারণ ভাষায় বললে, যেমন ফুটবল ম্যাচে হঠাৎ আলো নিভে গেলে রিপ্লে দেখা যায় না, তেমনি নথি হারালে বিচারও হোঁচট খায়।
এই পরিস্থিতি থেকে নেপোটিজমের অভিযোগ জন্ম নেয়। অভিযোগকারীরা মনে করেন, ক্ষমতার কাছাকাছি থাকলে ফাইল অদৃশ্য হওয়া বা কেস দুর্বল হয়ে পড়া অস্বাভাবিক নয়। তবে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি হলো, যদি তদন্ত পদ্ধতিই ভঙ্গুর হয়, তাহলে যে কেউ এর ফাঁক গলাতে পারে। তাই প্রশ্ন ওঠে দুই দিকেই, ব্যক্তি কতটা দায়ী, আর সিস্টেম কতটা ভাঙা। এই দ্বৈততা আজও বিতর্কের আগুন জিইয়ে রাখে।
সাম্প্রতিক স্ক্যামগুলো: PPE থেকে শারদা পনজি পর্যন্ত
পাপ্পু যাদবের অভিযোগে নতুন করে আলোচনায় এসেছে কোভিডের সময়ের PPE কিট বিতর্ক, গুয়াহাটি জল প্রকল্প ঘিরে Louis Berger ইস্যু, আর শারদা পনজি তদন্ত। এসব অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত নয়, তবু ঘটনাগুলো ক্ষমতা, ব্যবসা, আর পরিবারের প্রভাবের প্রশ্ন তোলে। ভোটের আগে এই তিনটি কেস একসঙ্গে রাখলে ছবিটা আরো পরিষ্কার হয়।
কোভিড-১৯ এর সময় PPE কিট স্ক্যামের অভিযোগ
২০২০, হাসপাতালের বারান্দায় লম্বা লাইন, ডাক্তারদের চোখে ক্লান্তি। সেই কষ্টের সময়ে অভিযোগ ওঠে, শর্মার স্ত্রীর কোম্পানি নাকি PPE কিট সরবরাহে বিশেষ সুবিধা পেয়েছিল। কথা ওঠে টেন্ডার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা, দরদামের ন্যায্যতা, আর স্বার্থের সংঘাত নিয়ে। কোম্পানি পক্ষ থেকে অংশবিশেষ দান করা হয়েছে, নিয়ম মানা হয়েছে, এমন বক্তব্যও এসেছে। কিন্তু বিতর্ক থামেনি।
এই অভিযোগের প্রভাব ছিল দুই দিকে। একদিকে জনস্বাস্থ্যের সংকটে আস্থার ঘাটতি বাড়ে, অন্যদিকে সরবরাহ শৃঙ্খলে স্বজনপ্রীতির ছাপ পড়ে। যে সময়ে প্রতিটি কিট জীবন বাঁচাতে পারত, তখন ন্যায
