Rajen Gohain joins AGP, ২০২৫ Assam politics, BJP Assam এ চাপ
Rajen Gohain Joins AGP Ahead of Assam Polls 2025, BJP Loses Veteran
Estimated reading time: 1 minutes
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!Rajen Gohain joins AJP: আসাম রাজনীতিতে নতুন অঙ্ক, ২০২৬ ভোটের আগে বড় বার্তা
৫ নভেম্বর ২০২৫, গুয়াহাটি, দুপুরের গাঢ় রোদে ভিড়ের সামনে এক পরিচিত মুখ নতুন পতাকা হাতে নিলেন। চার দশকের সম্পর্ক ভেঙে, অক্টোবরেই BJP থেকে বেরিয়ে আসা সাবেক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রাজেন গোঁহাই আজ আনুষ্ঠানিকভাবে Assam Jatiya Parishad বা AJP তে যোগ দিলেন। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা, দলের পতাকা, আর সমর্থকদের স্লোগানের ভেতর দিয়ে এ এক স্পষ্ট রাজনৈতিক সংকেত।
কেন এই খবর গুরুত্বপূর্ণ, সেটি বোঝা সহজ। ২০২৬ আসাম বিধানসভা ভোট সামনে, জোট, দলবদল, আর বার্তার রাজনীতিই এখন সুর ঠিক করছে। এই লেখায় থাকছে ঘটনাটির সার, প্রেক্ষাপট, রাজেন গোঁহাই এবং AJP নেতৃত্বের বক্তব্য, আর সম্ভাব্য প্রভাবের সহজ ব্যাখ্যা। পড়তে পড়তে আপনি খুঁজে পাবেন টার্গেট কীওয়ার্ডগুলিও, যেমন “Rajen Gohain joins AJP”, “Assam politics 2025”, “AJP anti-CAA”, “BJP Assam”।
খবরের সার: ৫ নভেম্বর ২০২৫ রাজেন গোঁহাই AJP তে যোগ
রাজেন গোঁহাই আজ গুয়াহাটিতে AJP কার্যালয়ে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে AJP শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিল। সংক্ষিপ্ত ভাষণে গোঁহাই রাজ্যের স্বার্থ, স্বশাসন, এবং রাজনৈতিক ন্যায্যতার কথা বলেন। মঞ্চের বার্তা ছিল পরিষ্কার, AJP নিজেদের বিকল্প শক্তি হিসেবে তুলে ধরতে চায়। BJP ছেড়ে আসা এক প্রবীণ নেতার আগমন AJP শিবিরে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। দলবদলের এই ক্ষণে সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়, স্লোগানে ছিল আঞ্চলিক গর্বের আবেগ।
কে, কখন, কোথায়: দ্রুত তথ্য
- রাজেন গোঁহাই, সাবেক কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী, চারবারের সাংসদ, নগাঁও, ১৯৯৯ থেকে ২০১৯।
- অক্টোবর ২০২৫ এ BJP ছাড়েন, চার দশকের সম্পর্কের সমাপ্তি।
- ৫ নভেম্বর ২০২৫, গুয়াহাটি, সমর্থকদের সঙ্গে AJP তে যোগ।
- একসময় আসাম BJP সভাপতি, ২০১৯ এর পর ধীরে ধীরে পাশের সারিতে।
- দলবদলের এই পদক্ষেপ ২০২৬ ভোটের আগে রাজনৈতিক তাপমাত্রা বাড়ায়।
বিশদ প্রতিবেদন দেখতে পারেন Economic Times এর রিপোর্টে এবং Hindustan Times এর কভারেজে।
তিনি কেন যোগ দিলেন AJP এ: তার কথা
গোঁহাই বললেন, তিনি মানুষের সেবা করতে চান, ব্যক্তিগত লাভ তার লক্ষ্য নয়। BJP রাজ্যের স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ, এমন অভিযোগ তিনি তুলে ধরেন। বহিরাগত ইস্যু, নাগরিকত্ব প্রশ্ন, আর বিভাজনের রাজনীতি নিয়ে তার হতাশা স্পষ্ট। তিনি বলেন, দলের ভেতরে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ক্ষীণ হয়েছে, সিদ্ধান্ত আসে দূরের ঘর থেকে। তার ভাষায়, শাসন পদ্ধতি ক্রমে এক ধরনের রাজতান্ত্রিক ধাঁচ নিয়েছে, যেখানে স্থানীয় কণ্ঠের দাম কমে গেছে। AJP কে তিনি দেখছেন আঞ্চলিক স্বার্থের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে, যেখানে আসামের ভাষা, সংস্কৃতি, এবং অধিকার প্রশ্নে স্পষ্ট অবস্থান আছে।
এই বক্তব্যের প্রতিধ্বনি পাওয়া যায় হিন্দি রিপোর্টিংয়েও, যেমন LiveHindustan এর সংক্ষিপ্ত খবরে, যেখানে তার BJP ত্যাগ আর নতুন প্ল্যাটফর্ম বেছে নেওয়ার কথা উঠে এসেছে।
AJP নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া
AJP সভাপতি লুরিনজ্যোতি গগৈ গোঁহাইকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, অভিজ্ঞতা আর জনসংযোগে গোঁহাই দলকে শক্তি দেবে। তাদের হিসাব, BJP বা অন্য দলে থাকা অনেক অসন্তুষ্ট নেতা আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্ম খুঁজছেন, সেই চাহিদা AJP পূরণ করতে পারে। আজকের অনুষ্ঠানে পতাকা হাতে দেওয়া, সদস্যপদ ফর্ম পূরণ, এবং সমর্থকদের সঙ্গে ছোট রোডশো, এই আনুষ্ঠানিক দৃশ্যগুলোতে দলের আত্মবিশ্বাস ফুটে ওঠে। AJP নেতারা জনসংযোগের নতুন পর্যায়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন।
কেন খবরটি এখন বড়
২০২৬ বিধানসভা ভোটের কাউন্টডাউন চলছে। এই সময় দলবদল ভোট-সমীকরণ নেড়ে দেয়। AJP নিজেদের বিকল্প শক্তি হিসেবে তুলে ধরতে মরিয়া, গোঁহাইয়ের আগমন সেই প্রচারে গতি আনতে পারে। BJP এর ভেতরে এটি বার্তা পাঠায়, দীর্ঘদিনের নেতাদের অস্বস্তি বাস্তব। জনমতেও প্রশ্ন ওঠে, টিকিট, জোট, আর স্থানীয় ইস্যুতে শাসকদল কতটা ধারাবাহিক। সামগ্রিকভাবে, এই পরিবর্তন আঞ্চলিক রাজনীতিকে সরব করে তুলেছে।
রাজেন গোঁহাই কে: রাজনৈতিক পথচলা ও জনভিত্তি
চার দশকের পথ, একাধিক দায়িত্ব, আর ঘন জনসংযোগ। রাজেন গোঁহাইয়ের ক্যারিয়ার আসামের কেন্দ্ররাজনীতি থেকে গ্রামস্তর, দুদিকেই ছায়া ফেলেছে। তার ভাবমূর্তি, কঠোর কিন্তু সহজলভ্য। নগাঁও আর মধ্য আসামে তার প্রভাব লক্ষ্যণীয়। কাজের ধারা, সংগঠন গড়া, আর ভোট-ফলাফলের ওঠানামা, সব মিলিয়ে তিনি এক পরিণত খেলোয়াড়।
চারবারের সাংসদ, নগাঁও কেন্দ্রের গল্প
১৯৯৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত টানা চারবার তিনি নগাঁও থেকে লোকসভা সদস্য। নগাঁওর ভোট-প্রবণতা মিশ্র, শহর, গ্রাম, চা বাগান, মুসলিম ও আদিবাসী ভোটার মিলিয়ে জটিল প্যাটার্ন। গোঁহাই সংগঠনিক নেটওয়ার্কে জোর দিয়েছিলেন, বিশেষ করে পেশাজীবী ও ব্যবসায়ী মহলে। ২০১৯ এর পর প্রার্থী বাছাই নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলে, টিকিট পাওয়া না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ জমে। সেই ক্ষোভই সময় নিয়ে সিদ্ধান্তে রূপ নেয়, যার পরিণতি আজ।
রেল প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কাজ ও ভাবমূর্তি
রেল প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে তিনি ছোট শহরের স্টেশন আপগ্রেড, পরিষেবা উন্নত করা, এবং সংযোগ বাড়ানোর বিষয়ে জনমুখী কথা বলেছেন। মন্ত্রিসভা অভিজ্ঞতা তাকে প্রশাসনিক বোঝাপড়া দিয়েছে। এই অভিজ্ঞতা মাঠের রাজনীতিতে বিশ্বাসযোগ্যতা আনে, কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয়েও সুবিধা হয়। নির্বাচনী সময়ে এটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ, দলকে পরিকল্পনা, প্রকল্প, এবং ফলো-আপে গতি দেয়।
রাজ্য BJP সভাপতির দিনগুলি, পরে উপেক্ষা
আসাম BJP সভাপতির দায়িত্বে গোঁহাই সংগঠনের বিস্তারে কাজ করেন। তার সময়ে বুথভিত্তিক কমিটি শক্তিশালী হয়, মধ্য আসামে কোর দল গড়ে ওঠে। ২০১৯ এর পর প্রার্থী বাছাই ও অভ্যন্তরীণ সমীকরণে তিনি ধীরে ধীরে প্রান্তে সরে যান। দীর্ঘ সময়ের অসন্তোষ, স্থানীয় ইস্যুতে মতপার্থক্য, আর কেন্দ্রীভূত সিদ্ধান্তপ্রক্রিয়া, সব মিলিয়ে তার সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলে। অক্টোবর ২০২৫ এ দল ছাড়ার ঘোষণাই ছিল সেই জমাট আক্ষেপের শেষ লাইন।
ভিত্তি ও প্রভাবক্ষেত্র
নগাঁও, মরিগাঁও, হোজাই সহ মধ্য আসামের বেশ কিছু ব্লকে তার নেটওয়ার্ক রয়েছে। ব্যবসায়ী সংগঠন, পরিবহন সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী, স্কুল কলেজের গভর্নিং বডি, এই সব সেক্টরে তিনি পরিচিত মুখ। চা বাগান এলাকার ইউনিয়নের সঙ্গে তার যোগাযোগও আছে, যদিও সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রভাবও প্রবল। গ্রামীণ ক্রীড়া ক্লাব এবং সাংস্কৃতিক মঞ্চে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে তিনি সম্পর্ক ধরে রেখেছেন। এই নেটওয়ার্ক AJP এর জন্য দরকারি ইট পাথর হয়ে উঠতে পারে।
Assam Jatiya Parishad পরিচিতি: anti-CAA আন্দোলন থেকে বিকল্প রাজনীতি
AJP জন্ম নেয় ২০২০ সালে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, অর্থাৎ CAA বিরোধী আন্দোলনের আবহে। তৎকালীন ছাত্রনেতা, বুদ্ধিজীবী, এবং আঞ্চলিক রাজনীতির কর্মীরা মিলে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেন। লক্ষ্য ছিল, আসামের ভাষা, সংস্কৃতি, ভূমি, এবং নাগরিকত্ব প্রশ্নে একটি স্পষ্ট, আঞ্চলিক অবস্থান। AJP নিজেদের anti-CAA অবস্থানে দৃঢ়, তবে কেন্দ্রবিরোধী চিহ্ন নয়, রাজ্যের অধিকারই মূল কথা।
জন্ম ও পটভূমি
২০২০ সালের প্রতিবাদে রাস্তায় যে স্লোগান উঠেছিল, AJP সেই স্রোতের রাজনৈতিক রূপ। দল বলেছে, আঞ্চলিক স্বার্থ সুরক্ষা, ভাষা সংরক্ষণ, এবং নাগরিকত্ব ইস্যুতে আইনগত লড়াই তাদের অঙ্গীকার। সংগঠনের কোর মেসেজ, স্থানীয়দের কণ্ঠই নীতির ভিত্তি। নানা জায়গায় আঞ্চলিক কমিটি গঠন, যুব ও ছাত্রশক্তিকে সামনে আনা, এই ছিল শুরু।
আদর্শ ও এজেন্ডা
- নাগরিকত্ব এবং ভূমি সুরক্ষা, স্থানীয়দের অধিকার।
- চাকরি আর শিক্ষায় স্থানীয় প্রার্থীদের অগ্রাধিকার।
- নদী, বন্যা, এবং অবকাঠামোতে টেকসই পরিকল্পনা।
- কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে নয়, রাজ্যের অধিকার রক্ষায় দৃঢ় কূটনীতি।
AJP এর anti-CAA অবস্থান ও সাম্প্রতিক যোগদানের খবর ঘিরে প্রাসঙ্গিক আপডেট পাওয়া যাচ্ছে The Economic Times এর প্রতিবেদনে এবং The Sentinel Assam এর রিপোর্টে।
নির্বাচনী অবস্থান ও লক্ষ্য
AJP এখনো বিধানসভায় আসন জেতেনি, তবে সংগঠন ছড়িয়ে পড়ছে। ২০২৬ নির্বাচনে জোটপ্রসঙ্গ খোলা রেখেই তারা আসনচিত্র আঁকছে। লক্ষ্য, শহর ও গ্রামে সমানভাবে উপস্থিতি, এবং কিছু প্রতীকী আসনে জোর দিয়ে জনতার কাছে বিকল্প তুলে ধরা। প্রার্থী বাছাইয়ে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি, আর স্থানীয় ইস্যুর শক্তিশালী প্যাকেজ তাদের কৌশল।
নতুন নেতারা এলে কী বদল আনে
গোঁহাইয়ের মতো অভিজ্ঞ নেতা যোগ দিলে, AJP পায় তিনটি বড় সম্পদ, বিশ্বাসযোগ্যতা, প্রশাসনিক জ্ঞান, এবং বিস্তৃত নেটওয়ার্ক। তৃণমূলে মবিলাইজেশন সহজ হয়, কারণ পুরোনো সংগঠনিক বন্ধু এবং সমর্থকরা দ্রুত মাঠে নামে। তহবিল সংগ্রহে ব্যবসায়ী মহলে দরজা খোলে। মিডিয়া আলোচনায় দল থাকে, যা নতুন ভোটার পৌঁছাতে সাহায্য করে। এই সব মিলিয়ে নির্বাচনী মেশিনারিতে ধার বাড়ে।
প্রভাব বিশ্লেষণ: BJP, AGP, AJP এবং ২০২৬ আসাম ভোট
এই দলবদলের প্রভাব একলাইনে ধরা যায় না। নগাঁওতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া, মধ্য আসামে ধীর লহর, আর রাজ্যজুড়ে প্রতীকী বার্তা, তিন স্তরের প্রভাব একসঙ্গে চলবে। কার লাভ, কার চাপ, সেটি বোঝা দরকার তথ্য আর মাঠের সংকেত মিলিয়ে।
BJP এর জন্য কী বার্তা
চার দশকের এক নেতা চলে যাওয়া সংগঠনের মনোবল ধাক্কা খেতে পারে। কর্মীর মনে প্রশ্ন জাগে, টিকিট রাজনীতি কতটা ন্যায্য। স্থানীয় ইস্যু শুনতে কটি দরজা খোলা থাকে, সেটিও আলোচনায় আসে। নেতৃত্বের ভেতরে সিদ্ধান্তপ্রক্রিয়া নিয়ে ফিসফাস বেড়ে যায়। সবচেয়ে বড় কথা, মধ্য আসামের কিছু এলাকায় প্রচারের গতি ধরে রাখতে দলকে নতুন বয়ান দিতে হবে।
এই প্রেক্ষাপটে জাতীয় কভারেজ দেখুন Hindustan Times এর বিশ্লেষণে, যেখানে গোঁহাইয়ের শিবির বদলের সম্ভাব্য প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে।
AGP জোটে চাপ কি বাড়বে
গোঁহাই প্রকাশ্যে বলেছেন, AGP যেন BJP ঘর ছেড়ে আঞ্চলিক ফ্রন্টে ফেরে, তার রাজনৈতিক অর্থ স্পষ্ট।
- AGP ভোট-ব্যাংক আঞ্চলিক, anti-CAA আবেগের সঙ্গে তাদের ঐতিহাসিক যোগ আছে।
- জোটে থাকলে সরকারঘনিষ্ঠ সুবিধা থাকে, তবে আঞ্চলিক সত্তার জোর কমে।
- জোট ছাড়লে পরিচয়ের রাজনীতি ধরা যায়, তবে সম্পদ, ক্যাডার সমন্বয় কঠিন।
- AJP শক্তিশালী হলে AGP কে আসনচিত্রে নতুন হিসাব করতে হবে।
AGP যে দড়ি টানাটানির মাঝে, সেটি এখন প্রকাশ্য কথোপকথনেও উঠে আসছে। বহিরাগত ইস্যু আর ভাষা প্রশ্নে জনমত এখানে আসল পরীক্ষক।
AJP এর সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ
সুযোগ
- আঞ্চলিক ভোট একত্র করা, শহরে নতুন মুখ তুলে ধরা।
- মিডিয়ায় দৃশ্যমান থাকা, ন্যারেটিভ সেট করা।
- অভিজ্ঞ নেতার হাত ধরে প্রশাসনিক রোডম্যাপ দেখানো।
চ্যালেঞ্জ
- শক্ত ক্যাডার গড়ে তোলা, ব্লক স্তরে টিম বানানো।
- তহবিল নিশ্চিত করা, নির্বাচনী ব্যয় সামলানো।
- বুথ ম্যানেজমেন্টে দক্ষতা, গ্রাম, চা বাগান, নদীভাঙন এলাকায় পৌঁছানো।
- বিরোধী ভোট বিভাজনের ঝুঁকি এড়াতে স্মার্ট জোট।
গোঁহাইয়ের যোগদান নিয়ে সংক্ষিপ্ত হালনাগাদ পড়তে পারেন LiveHindustan এর প্রতিবেদনেও, যা ভোটের আগমুহূর্তের অভিঘাতের কথা বলছে।
নগাঁও ও মধ্য আসাম: কোন দিকে সমীকরণ
নগাঁওতে গোঁহাইয়ের ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক AJP কে তাৎক্ষণিক দলীয় ফুটপ্রিন্ট দেবে। ব্লক কমিটি গড়া সহজ হবে, কারণ পুরোনো কর্মীদের একাংশ যোগাযোগে আছে। যদি বিরোধী ভোট বিভাজিত হয়, BJP সুবিধা পেতে পারে। আর যদি AJP, AGP, বা কংগ্রেসপন্থী ভোট কৌশলে একমঞ্চে আসে, তখন আসনচিত্র বদলাতে পারে। মধ্য আসামের ভোটে স্থানীয় প্রার্থী নির্বাচন, চা বাগান এলাকার বার্তা, আর রাস্তাঘাট বা বন্যা প্রকল্পের মতো দৃশ্যমান প্রতিশ্রুতি, এগুলো হবে গেম প্ল্যানের চাবিকাঠি।
টাইমলাইন: দলবদলের নেপথ্য
| সময় | ঘটনা | প্রেক্ষাপট |
|---|---|---|
| ১৯৯৯–২০১৯ | চারবার লোকসভায় জয়, নগাঁও | BJP নেতৃস্থানীয় মুখ, সংগঠনের বিস্তার |
| ২০১৬–২০১৯ | রেল প্রতিমন্ত্রী | প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা ও জাতীয় প্রোফাইল |
| ২০১৯ পর | টিকিট বিতর্ক, প্রান্তে সরে যাওয়া | অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্তে অসন্তোষ |
| অক্টোবর ২০২৫ | BJP ছাড়ার ঘোষণা | চার দশকের সম্পর্কের ইতি |
| ৫ নভেম্বর ২০২৫ | AJP তে যোগ | ২০২৬ ভোটের আগে আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্মে ফেরা |
মিডিয়া ও জনমত: কী দেখা গেল
যোগদানের দিন গুয়াহাটিতে মিডিয়ার নজর ছিল তীব্র। সামাজিক মাধ্যমে লাইভ স্ট্রিম, ছবিতে দেখা যায় পতাকা দিয়ে বরণ আর সংক্ষিপ্ত ভাষণ। স্থানীয় নিউজ হ্যান্ডেলগুলোও তা তুলে ধরে, যেমন একটি ক্লিপে দেখা গেছে পথসভা ও স্লোগান, যদিও তথ্য যাচাইয়ের জন্য প্রথাগত মিডিয়া রিপোর্টই ভরসা। ঘটনাটি জাতীয় মিডিয়াতেও জায়গা পেয়েছে, যা আঞ্চলিক দলের জন্য বাড়তি অক্সিজেন।
বিশ্বস্ত সূত্রের রিপোর্টিংয়ের জন্য দেখুন The Economic Times এর আপডেট এবং The Sentinel Assam এর কভারেজ।
২০২৬ বিধানসভা, সম্ভাব্য দৃশ্যপট
- AJP গোঁহাইকে প্রচারের মুখ করে নগাঁও, মরিগাঁও, হোজাইতে নেটওয়ার্ক ঝালাই করবে।
- BJP মুখ্যমুখি লড়াই চাইবে, বিরোধী ভোট যাতে ভাঙা থাকে, সেটি তাদের কৌশল।
- কংগ্রেস জোট সমীকরণে প্রাসঙ্গিক থাকতে চাইবে, আসন ভাগাভাগিতে হিসাব কষবে।
- AGP কোন দিকে যায়, সেটি ভোটের গল্প বদলাতে পারে।
- CAA, NRC, বন্যা, বেকারত্ব, এই চার ইস্যু ভোটার মন ঠিক করবে।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের রেফারেন্স হিসেবে জাতীয় কভারেজগুলো একবার দেখে নিতে পারেন, যেমন Hindustan Times এর প্রতিবেদন।
উপসংহার
রাজেন গোঁহাইয়ের AJP তে যোগ, ২০২৬ আসাম ভোটের আগে একটি সিগন্যাল, আঞ্চলিক রাজনীতি আবার গতি পাচ্ছে। BJP এর ভেতরে বার্তা, AGP এর সামনে সিদ্ধান্ত, আর AJP এর হাতে সুযোগ, তিনটি পথে গল্প এগোতে পারে। নজরে রাখুন একটি ছোট চেকলিস্ট, গোঁহাইকে দল কী দায়িত্ব দেয়, আর কে কে AJP তে আসেন, AGP জোটে কী হয়, CAA ইস্যুতে মাঠের সাড়া কেমন, আর নগাঁওতে গ্রাউন্ড রিপোর্ট কী বলছে। রাজনীতির এই রঙিন দৃশ্যে চমক থাকবেই, আমরা পরের আপডেটে সেই নতুন দৃশ্য তুলে ধরব। পড়ার জন্য ধন্যবাদ, আপনার মতামত জানান, আপনি কী মনে করেন, AJP কি এ বার ভোটে চমক দেখাতে পারবে?
