অরুণাচল মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পরিবারকে সরকারি চুক্তি, সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশ 2025
Estimated reading time: 1 minutes
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!অরুণাচল প্রদেশ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরকারী চুক্তি, আত্মীয়দের দেওয়ার অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের সতর্ক নির্দেশ
অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডুকে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সরকারী চুক্তি দেওয়ার অভিযোগে PIL হিসেবে মামলা করা হয়েছে, যা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, কয়েকটি কোম্পানি যা খাণ্ডুর পরিবারের সাথে যুক্ত, তারা বিগত দশকে বহু কোটি টাকা মূল্যের সরকারি কাজ পেয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র ছাড়াই।
সুপ্রিম কোর্ট ইতোমধ্যে কেন্দ্র সরকার, অরুণাচল প্রদেশ সরকার এবং ভারতের গণপূর্ত ও নিরীক্ষা বিভাগ (CAG) কে বিস্তারিত রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে। মামলাটি শুধুমাত্র প্রশাসনিক স্বচ্ছতার প্রশ্ন তোলেনি, বরং সরকারি কাজের স্বচ্ছতা এবং স্বজনপ্রীতির বিষয়েও বড় ধরনের ঘোষণা দিয়েছে। খবরের বিস্তারিত জানার জন্য নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন:
অভিযোগ ও মামলা: মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডুর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিস্তারিত
মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডুর নাম জড়িয়ে আসন্ন সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ PIL (Public Interest Litigation) মামলা ব্যাপক আলোচনায় এসেছে। এই অভিযোগ সরকারী কাজগুলো আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে ভাগাভাগি করার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেছে। মামলার সূত্রপাত হয়েছে দুইটি প্রধান নন-গভর্ণমেন্টাল সংগঠন, ‘সেভ মোন রিজিয়ন ফেডারেশন’ ও ‘ভলান্টারি অরুণাচল সেনা’র হাতে। আদালতে পেশকৃত তাদের অভিযোগের ভিত্তি ও আদালতের নির্দেশনাগুলো নিয়েই এই অধ্যায় গড়ে উঠেছে।
নন-গভর্ণমেন্টাল সংগঠনগুলোর ভূমিকা এবং মামলা দায়ের
এই PIL মামলাটি মূলত এসেছে ‘সেভ মোন রিজিয়ন ফেডারেশন’ এবং ‘ভলান্টারি অরুণাচল সেনা’ নামক দুইটি সাংগঠনিক স্তর থেকে। তারা অভিযোগ করেছে যে অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডু ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সরকারী চুক্তি পেতে অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন। অভিযোগের ভেতরেই স্পষ্ট করা হয়েছে পরিবারিক সম্পর্কের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি কাজ দেওয়ার অপব্যবহার করা হয়েছে, যা দরপত্র প্রক্রিয়া কিংবা স্বচ্ছ নীতিমালা অনুসরণ হয়নি।
- এই সংগঠন দুটি বিস্তারিত পিটিশনে উল্লেখ করেছে যে, মুখ্যমন্ত্রীর stepmother, ছেলে ও অন্যান্য আত্মীয় সম্পর্কিত কোম্পানিগুলো সরকারি কাজ পেতে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র পদ্ধতি এড়িয়ে চলছে।
- অভিযোগের একটি বড় অংশ বলছে, এসব চুক্তি সরকারি সম্পদের অপচয় ও জনস্বার্থের প্রতি অবহেলার ফল।
- মামলার নথিতে সরকারের কাগজপত্র ও প্রকল্প বণ্টন পদ্ধতিতে স্বজনপ্রীতির প্রমাণ উঠিয়ে ধরা হয়েছে।
এই অভিযোগের মাধ্যমে এই দুই সংগঠন সরকারের স্বচ্ছতা ও নীতিনির্ধারণে তৎপরতার অভাবের কথা চিহ্নিত করতে চেয়েছে। আদালতে এই মামলার মাধ্যমে স্থায়ী তদন্ত ও ন্যায়বিচারের দাবি তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ও চার সপ্তাহের সময়সীমা
অভিযোগ তদন্তের জন্য ভারতের সর্বোচ্চ আদালত, সুপ্রিম কোর্ট, খুবই স্পষ্ট ও কড়া নির্দেশ দিয়েছে। আদালত কেন্দ্রীয় সরকার এবং অরুণাচল প্রদেশ সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, বিশেষত গৃহ মন্ত্রক এবং অর্থ মন্ত্রককে, মামলার বিস্তারিত তথ্য ও রিপোর্ট চার সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে।
- এই সময়সীমার মধ্যে জমা দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের নামাজারি সরকারি চুক্তি এবং সংশ্লিষ্ট সকল নথি, যাতে পরিষ্কার বলা যায় চুক্তি দেওয়ার পদ্ধতি কি ছিল এবং চুক্তিপত্রে স্বজনপ্রীতি ছিল কি না।
- আদালত বেঁধে দিয়েছে যে তথ্য দিতে কোনো বিলম্ব চলবে না এবং তদন্তের স্বচ্ছতার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক সহযোগিতা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে।
- কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দিষ্ট সময়সীমা মানা না হলে, আদালতের তরফে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।
এই নির্দেশনা সরকার ও আদালতের মধ্যকার দায়িত্বের স্পষ্ট লাইন দেখায়, যেখানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়সীমা ও তথ্য আদান-প্রদান নিশ্চিত করতে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ এই মামলার গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এই দিকনির্দেশনাগুলো শুধু অভিযোগ তদন্তে নয়, ভবিষ্যতে সরকারী কাজ বণ্টনে স্বচ্ছতা ও ন্যায়ের পথিকৃত হতে পারবে। বিস্তারিত ও আপডেট জানতে আপনি Hindustan Times এর রিপোর্টটি দেখতে পারেন।
দলের যুক্তি ও প্রতিপক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষাপট
এই মামলাটি বিশ্লেষণে দুইদিকের যুক্তি এবং অভিযোগের পেছনের প্রেক্ষাপট বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। একজন পক্ষে সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবীরা যেমন নিজেদের দাবির ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, তেমনি অন্যদিকে অভিযোগকারীরা পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে সরকারি কাজ বণ্টনে স্বজনপ্রীতির প্রমাণ তুলে ধরছেন। নীচে এই বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো।
অরুণাচল প্রদেশ সরকারের প্রতিরক্ষা: সরকারি পক্ষের আইনজীবীরা কী যুক্তি উপস্থাপন করেছেন
সরকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে এই অভিযোগগুলো পুরোনো, তা মূলত ২০০৭ সাল থেকে উঠে আসছে। মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডুর বিরুদ্ধে অভিযোগ “ভুলভাবে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে” লাগানো হয়েছে। আইনজীবীরা দাবি করেছেন এই অভিযোগের ভিত্তিহীনতা স্পষ্ট এবং বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফলাফল। তাদের মতে, সরকারি কাজগুলো সম্পানের সময় প্রক্রিয়া মেনে চলা হয়েছে এবং অভিযোগে ব্যতীত যে‘ওয়ার্ক অর্ডার’ দিয়ে কাজ দেওয়া হয়েছে, তা স্থানীয় কর্মসংস্থান ও অর্থনীতির স্বার্থে দেওয়া হয়েছে।
সরকারি আইনজীবীদের যুক্তি অনুযায়ী:
- গৃহীত কাজগুলো সঠিক আইনি নীতিমালা অনুযায়ী সম্পন্ন হয়েছে।
- যেসব কাজ দরপত্র ছাড়াই দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর জন্য আইনগত অনুমোদন রয়েছে, বিশেষত কাজের পরিমাণ ₹৫০ লাখের নিচে হলে দরপত্র বাধ্যতামূলক নয়।
- অভিযোগের ‘সিপিআইডি’ বা জমকালো কাগজের পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কাজ করছে।
- পারিবারিক সম্পর্ক থাকলেও সেটা কাজ বণ্টনের জন্য অইনবিরুদ্ধ নয়, কারণ ওই ফার্মগুলি বাজারে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কাজ অর্জন করেছে।
এই প্রতিরক্ষা আদালতকে বোঝাতে চেয়েছে যে অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে চালানো একটি ‘স্পনসর্ড লিটিগেশন’ যা সরকারের কার্যকলাপকে রাজনৈতিকভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তাদের দৃষ্টিতে, এই মামলায় প্রমাণের অভাব এবং তথ্যের অসম্পূর্ণতা রয়েছে।
অভিযোগের পেছনের পারিবারিক সম্পর্ক ও সিএজি রিপোর্টের গুরুত্ব
আদালতে পেশকৃত অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডুর stepmother রিনচিন ড্রেমার মালিকানাধীন কোম্পানি ‘ব্র্যান্ড ইগলস’ এবং শ্বশুরপুত্র ত্সেরিং তাশির সম্পৃক্ত ‘অ্যালায়েন্স ট্রেডিং কোম্পানি’ ও অন্যান্য ফার্মের উল্লেখ আছে। এই সংস্থাগুলোকে অভিযোগ আনা হয়েছে সরকারি কাজের জন্য দরপত্র ছাড়াই সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে।
কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (CAG)-এর রিপোর্ট অনুসারে:
- অনেক সরকারি কাজ দরপত্র ছাড়াই ‘ওয়ার্ক অর্ডার’ হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
- দরপত্র ছিল না অথবা দরপত্রের নথি প্রদর্শনে সরকারের পক্ষ থেকে স্বচ্ছতা ছিল না।
- ব্র্যান্ড ইগলস, আরডি কন্সট্রাকশন, ফ্রন্টিয়ার অ্যাসোসিয়েটস এবং অ্যালায়েন্স ট্রেডিং কোম্পানি জাতীয় এবং রাজ্যের উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজগুলো পেয়েছে।
- তদন্তে দেখা গেছে, টাওয়াং জেলায় প্রায় ₹৩৮০ কোটি টাকার অধিক চুক্তি এই সম্পর্কিত কোম্পানিগুলো পেয়েছে, যার মধ্যে বহু কাজ দরপত্র ছাড়াই হয়েছে।
- বিশেষ করে বন্যা ক্ষতিপূরণ এবং রাস্তাঘাট নির্মাণে এই ফার্মগুলোর জাতীয় প্রকল্পে ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল।
এই তথ্যগুলো তদন্ত ও PIL-এ বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। অভিযোগকারীরা বলছেন, এই পদ্ধতিতে সরকারি সম্পদ অনিয়মিতভাবে ব্যবহার হয়েছে, যেখানে স্বজনপ্রীতি ও অস্পষ্টতা বিদ্যমান। CAG রিপোর্ট এবং আদালতের নির্দেশ অনুসারে বিস্তারিত প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র ও অকার্যকর ওয়ার্ক অর্ডার ব্যবহারের তারতম্যের বিষয় খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, ২০১৫ সালের অরুণাচল প্রদেশের ‘District Based Entrepreneurs and Professionals (Incentive, Development & Promotional) Act’ সংশোধন (২০২০) অনুযায়ী, ৫০ লাখ টাকার নীচে কাজগুলো দরপত্র ছাড়া দেওয়ার অনুমতি রয়েছে — এই আইনটিকেও প্রশ্নের মুখে আনা হয়েছে, বিশেষ করে এর ‘বিশেষ কারিগরি জ্ঞান’ ব্যাখ্যার অভাবে।
এই বিবেচনায়, মামলার প্রেক্ষাপট কীভাবে পারিবারিক সম্পর্ক নির্দিষ্ট সরকারি কাজের মাধ্যমে প্রভাব ফেলেছে এবং কি কারণেই CAG রিপোর্ট এই অভিযোগ বাপারে গুরুত্ব সহকারে তদন্তে ফিরে এসেছে, তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
আরও জানতে: CAG Links Arunachal CM Pema Khandu to Multiple Govt Deals – The Wire
SC seeks replies from Arunachal, Centre, CAG after PIL alleges CM gave contracts to kin – Hindustan Times
সুপ্রিম কোর্টের শক্ত অবস্থান ও বিচার প্রক্রিয়া
অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডুর বিরুদ্ধে প্রভাবশালী পরিবারিক চুক্তির অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট এখন স্পষ্ট এবং দৃঢ় মনোভাব নিয়ে এগিয়ে চলেছে। এটি শুধু একটি মামলার বিচার নয়, দেশের বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা এবং জনস্বার্থ রক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত। আদালতের নির্দেশনা, সময়সীমা নির্ধারণ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের জবাবদিহিতার দাবি মামলার গুরুত্ব অনেক কিছুই স্পষ্ট করে। চলুন, বিষয়টি দুটো অংশে বিশ্লেষণ করি।
প্রশান্ত ভূষণের যুক্তি এবং কেন্দ্র সরকারের দেরি
আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এই মামলার আলোচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছেন। তিনি অভিযুক্তদের পক্ষে আদালতে প্রধান যুক্তি হিসেবে তুলে ধরেন যে, কেন্দ্রীয় সরকারের দেরি এবং অনকুল প্রতিক্রিয়া মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ায় বড় বাধা সৃষ্টি করেছে। তাঁর বক্তব্য হলো, এই ধরনের মামলায় সময়বিলম্ব তদন্ত ও বিচারে অবিচার সৃষ্টি করে এবং স্বচ্ছতার প্রশ্ন তুলে দেয়।
- প্রশান্ত ভূষণ বলেন, কেন্দ্র সরকার মামলার নথিপত্র জমা দিতে দেরি করেছে, যা সঠিক বিচার প্রক্রিয়াকে বাঁধাগ্রস্থ করেছে।
- এই দেরি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি বাধাগ্রস্ত করায় সাধারণ মানুষের আস্থায় প্রভাব ফেলতে পারে।
- তিনি বলেন, বিচার ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা এবং সময়মত বিচার অত্যন্ত জরুরি, বিশেষ করে যখন বিষয়টি উচ্চমাত্রার স্বচ্ছতার।
অন্যদিকে, কেন্দ্র সরকার দাবি করছে যে কাজের ব্যাপারে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে এবং তারা সব প্রয়োজনীয় তথ্য শীঘ্রই আদালতে দাখিল করবে। তবে এই বিরক্তিকর দেরি আদালতের নির্দেশনার প্রতি অমর্যাদার ইঙ্গিত দেয়, যা মামলার প্রসার ও জনমতের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
আগামী সময়ে কি হবে: পরবর্তী শুনানির প্রস্তুতি
এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ২০২৫ সালের মাঝামাঝি, যার মধ্যে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের জবাবের উপর। আগামী শুনানায় কেবল অভিযোগ প্রমাণ বা খণ্ডন নয়, সরকারি পদক্ষেপ এবং সংশ্লিষ্ট নীতি-নিয়ম কতটা সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে সেটিও বিচার করা হবে।
- সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, পরবর্তী শুনানির আগে কেন্দ্র এবং অরুণাচল প্রদেশ সরকারকে সম্পূর্ণ এবং স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।
- পরবর্তী পর্বের শুনানি হবে মামলার গতিপ্রকৃতি নির্ধারণের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ; কারণ এতে মামলার সমাধান ও আইনগত সুস্পষ্টতার পথ তৈরি হবে।
- কেন্দ্রীয় সরকারের প্রত্যুত্তর বিচার ব্যবস্থায় কতটা প্রভাব ফেলে, তাই এই শুনানিতে দেখা হবে।
এই মামলার পরিণতি শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর উপর সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সরকারি কাজ বণ্টনে স্বচ্ছতা এবং বিচার ব্যবস্থায় জবাবদিহিতার গুরুত্বও বেড়ে যাবে। তাই আপনারাও যেন এই ফাঁকে চোখ রাখেন এবং আগামী সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সচেতন থাকেন।
আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন Hindustan Times-এ প্রকাশিত রিপোর্ট যেখানে সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রম ও কেন্দ্র সরকারের দায়বদ্ধতা সম্পর্কে বর্ণনা রয়েছে।
উপসংহার
অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডুর পরিবারের সদস্যদের সরকারি কাজ বণ্টনের অভিযোগটি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত নয়, দেশের সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বড় পরীক্ষাও বটে। সুপ্রিম কোর্টের কঠোর নজরদারি ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তথ্য চাওয়ার নির্দেশ এই মামলার গুরুত্বকে স্পষ্ট করেছে। CAG রিপোর্টে পাওয়া তথ্য ও তদন্তপত্রগুলি দেখায়, সরকারি কাজের প্রক্রিয়ায় স্বজনপ্রীতার ছায়া স্পষ্ট, যা দেশের শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়পরায়ণ প্রশাসনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
এ ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, জনগণের টাকা ও বিশ্বাসের যথাযথ ব্যবস্থাপনা কতটা প্রয়োজন। শুধুমাত্র অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে, দেশের বিভিন্ন স্থানেও সরকারী কাজের স্বচ্ছতা ও গভীর তদন্তের প্রয়োজনীয়তা উঠে এসেছে। ভবিষ্যতে এরকম ধরনের মামলার সুষ্ঠু ও দ্রুত নিষ্পত্তি দরকার যাতে করপশনমুক্ত, জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়।
আপনিও এই প্রসঙ্গে আরো সচেতন থাকুন এবং সরকারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতার দাবি রাখতে পারেন। কারণ রাজনীতির স্বচ্ছতা ও দুর্নীতি মোকাবেলা দেশের উন্নয়নের ভিত্তি।
