অসমের স্কুলে ‘হাব অ্যান্ড স্পোক’ স্কিল শিক্ষা ২০২৫: Tata-Nelco ও সরকারের যুগান্তকারী উদ্যোগ
Estimated reading time: 2 minutes
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!অসমের স্কুলে ‘হাব অ্যান্ড স্পোক’ দক্ষতা শিক্ষা: Tata-Nelco ও সরকারের নতুন যুগান্তকারী উদ্যোগ (২০২৫)
অসম সরকার আর Tata-Nelco একসাথে হাতে মিলিয়ে রাজ্যের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলিতে শুরু করেছে ‘হাব অ্যান্ড স্পোক’ দক্ষতা শিক্ষার নতুন মডেল। এই পরিকল্পনায় হাব স্কুলে দশটি, আর সাধারণ স্পোক স্কুলে দুটি করে আধুনিক ও চাকরিমুখী বিষয় শেখানো হচ্ছে। পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীও এবার থেকে সহজেই পাবে আধুনিক স্কিল ট্রেনিং, তাও স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে।
এই উদ্যোগের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য, এক জায়গা থেকে একাধিক স্কুলে মানসম্পন্ন দক্ষতা শিক্ষা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতা। এতে শুধু বড় শহরের নয়, প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলেমেয়েরাও উন্নত প্রশিক্ষণ পাবে, বর্তমান আর ভবিষ্যতের চাকরির বাজারের চাহিদা অনুযায়ী। অসমের শিক্ষাক্ষেত্রে এরকম প্রয়াস সত্যিই এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এখন স্কুল থেকেই প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিংবা রোবোটিক্সের মতো আধুনিক বিষয়ে হাতেখড়ি নেওয়া অসমের তরুণদের ক্যারিয়ার বদলে দিতে পারে।
যোগাযোগমাধ্যম:
ভিডিও দেখুন
‘হাব অ্যান্ড স্পোক’ মডেল: ধারণা ও লক্ষ্য
অসমের সরকারি স্কুল ব্যবস্থার জন্য ‘হাব অ্যান্ড স্পোক’ একটি নতুন শিক্ষামূলক কাঠামো। এখানে একটি কেন্দ্রীয় শক্তিশালী স্কুল (হাব) আলাদা কিছু অঞ্চলের একাধিক সাধারণ স্কুল (স্পোক) কে সঙ্গে নিয়ে দক্ষতা শিক্ষা ছড়িয়ে দেয়। এই পদ্ধতি ছাত্র-ছাত্রীদের আধুনিক প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্সসহ নানা বিষয়ে সরাসরি সংযোগ ও প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দেয়।
মডেলের মূল কাঠামো
এই শিক্ষার কাঠামোকে সহজভাবে তুলনা করা যায় একটি চাকার সঙ্গে, যেখানে কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে হাব স্কুল। এখান থেকে রশি বা তারের মতো চারপাশে ছড়িয়ে থাকে স্পোক স্কুলগুলো। বাস্তবে, হাব স্কুলে আধুনিক ল্যাব, রিসোর্স পার্সন ও প্রযুক্তিগত পরিকাঠামো বেশি থাকে। আশপাশের স্পোক স্কুলগুলো এই সুবিধা ব্যবহার করে তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের আধুনিক স্কিল শেখায়।
- একটি হাব স্কুল: ১০টি প্রযুক্তিমুখী ও কর্মসংস্থানযোগ্য ট্রেডে (যেমন AI, ডেটা অ্যানালিটিক্স, রোবোটিক্স, গ্রিন এনার্জি) প্রশিক্ষণ দেয়।
- একটি স্পোক স্কুল: এখান থেকে সাধারণত ২টা ট্রেড শেখানো হয়, এবং আরও উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য ছাত্ররা মাঝে মাঝে হাব স্কুলে যায়।
- সহজ সংযোগ: হাব এবং স্পোক স্কুলের মধ্যে যোগাযোগ স্যাটেলাইটভিত্তিক, ফলে শহর গ্রামের ভেদাভেদ থাকে না।
দেখে নিন সহজ ভাষায় কাঠামো:
| ভূমিকা | সুবিধা | মূল কার্যক্রম |
|---|---|---|
| হাব (কেন্দ্র) | ১০টি স্কিল, আধুনিক ল্যাব | শিক্ষক ট্রেনিং, অনলাইন ক্লাস |
| স্পোক | ২টি প্রধান স্কিল | রেজিস্ট্রেশন, প্রাথমিক প্রশিক্ষণ, যোগাযোগ সুবিধা |
এভাবে এক জায়গা থেকে আধুনিক স্কিল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন স্কুলে, যা ছোট শহর ও গ্রামে অসমের শিক্ষার মান বাড়ায়। আরও জানতে পড়ুন “Assam government partners with Tata-Nelco to transform skill education”।
মডেলের লক্ষ্য: শিক্ষার্থী ও সমাজ বদলের রূপরেখা
‘হাব অ্যান্ড স্পোক’ মডেলের মূল উদ্দেশ্য স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতের চাকরির জন্য প্রস্তুত করা। পুরানা বিষয় মনে করে এগিয়ে থাকা চলবে না, কারণ আজকের দুনিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডেটা সায়েন্স, বা গ্রিন টেকনোলজির মতো স্কিলই কাজের বাজারে দরকারি। এই মডেল সেই চাহিদায় জোর দেয়।
- স্কিল-ফোকাস: ছাত্র-ছাত্রীরা হাতে-কলমে শেখে নতুন প্রযুক্তি, পেয়েছে ইন্ডাস্ট্রি রিলেভেন্ট ট্রেনিং।
- অবকাঠামোগত সমতা: প্রত্যন্ত এলাকার বিদ্যালয়ও এখন হাবের সহযোগিতায় উন্নত সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণ পায়।
- NEP 2020-এর সাথে সংযোগ: জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ বলে, স্কুল শিক্ষা হওয়া উচিত বাস্তবমুখী ও কর্মসংস্থানমুখী। হাব-স্পোক মডেল সেই ভাবনাকেই বাস্তবায়িত করে—একেবারে স্কুল থেকে কাজপযোগী দক্ষতা গড়ে তোলে।
এইভাবেই অসমের শিক্ষার্থীরা বইয়ের পাতার বাইরেও বাস্তব দুনিয়ার দারুণ স্কিল পেতে শুরু করেছে। এই বদল শুধু কারিকুলামে নয়, বরং সমাজ-অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, সেটা নিশ্চয় বলা যায়।
আরও বিশদ জানতে চাইলে দেখুন:
“Assam to Establish 50 Hubs and 500 Spokes Model for Skill Education”
বাস্তবায়নের ধাপ ও স্কেল: রাজ্যজুড়ে বিস্তার
অসমে Tata-Nelco ও সরকারের এই হাব-স্পোক দক্ষতা শিক্ষা প্রকল্প ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন হচ্ছে। এতে শহর ও গ্রামের ব্যবধান দূর হচ্ছে, কারণ প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষকেরা একসাথে পৌঁছে যাচ্ছে রাজ্যের প্রায় সব অংশে। এই পরিকল্পনায় প্রথম দু’টি ধাপে ফোকাস স্পষ্ট—প্রথমে সীমিত আকারে শুরু, পরে দ্রুত রাজ্যজুড়ে বিস্তার। নিচে এই বিস্তারের ধাপগুলো সহজ ভাষায় তুলে ধরা হলো।
প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ও প্রযুক্তির ব্যবহার: উপগ্রহ প্রযুক্তি, বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষক, ও শিক্ষার সুবিধা
নতুন হাব ও স্পোক স্কুলগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তি যেমন উপগ্রহ-নির্ভর সংযোগ প্রয়োগ হচ্ছে। এ কারণে ইন্টারনেট, ভার্চুয়াল রিয়ালিটি, ভিডিও কনফারেন্স—সব ধরনের শিখন সহজলভ্য হচ্ছে শহরের মতো গ্রামেও।
ধাপে ধাপে প্রকল্প বিস্তার:
- প্রথম ধাপ:
- ১০টি হাব স্কুল ও ৭০টি স্পোক স্কুল চালু হবে।
- এখানে সীমিত এলাকার ছাত্রছাত্রী দ্রুত আধুনিক স্কিল পাবে।
- দ্বিতীয় ধাপ:
- ৪০টি নতুন হাব স্কুল ও ৪৩০টি স্পোক স্কুল চালু।
- পুরো আসামজুড়ে জেলা ও গ্রাম পর্যায়ে একই সুযোগ পৌঁছে যাবে।
| ধাপ | হাব স্কুল | স্পোক স্কুল | প্রধান বৈশিষ্ট্য |
|---|---|---|---|
| প্রথম ধাপ | ১০ | ৭০ | প্রধান শহর ও আশপাশের অঞ্চল |
| দ্বিতীয় ধাপ | ৪০ | ৪৩০ | রাজ্যজুড়ে বিস্তার, প্রত্যন্ত গ্রামও যুক্ত |
উপগ্রহ-নির্ভর প্রযুক্তির সুবিধা:
- স্থিতিশীল সংযোগ: হাব থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম বা দুর্গম এলাকায়ও ভিডিও ক্লাস বা ডিজিটাল ল্যাবে ক্লাস।
- রিয়েলটাইম শিখন: ইন্টারেক্টিভ অনলাইন সেশন, যেখানে ছাত্রছাত্রীরা প্রশ্ন করতে পারে ও হাতে-কলমে শিখতে পারে।
- শহর-গ্রামের ফারাক কমে: যেখানে প্রচলিত ইন্টারনেট সমস্যা করে, উপগ্রহ সংযোগ সেই ব্যবধানও ঘুচিয়ে দেয়।
ঠিক কীভাবে এই প্রযুক্তি লাভবান করছে ছেলেমেয়েদের?
- আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি, রোবোটিক্স, কোডিং—সব শেখা যাচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতের চাকরির জন্য তৈরি হওয়া যায়।
- গ্রামের ছাত্রছাত্রীরাও শহরের মতো একই মানের শিক্ষক ও প্রশিক্ষক পাচ্ছে।
- ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে রেকর্ডেড ও লাইভ ক্লাস পাওয়া যাচ্ছে—ফিরে দেখে শিখতে কোনো বাধা নেই।
দু’জন বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষক, হাব ও স্পোক স্কুলে
প্রত্যেক হাব ও প্রতিটি স্পোক স্কুলে থাকছেন কম করে দুইজন বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষক।
তাদের উপস্থিতি ছাত্রদের জন্য আনে—
- পার্সোনাল গাইডেন্স: আলোচনা, সমস্যার সমাধান, হাতে-কলমে শেখানো।
- আন্তরিক সহায়তা: কোনো শিক্ষার্থী পিছিয়ে গেলে, দ্রুত সহযোগিতা—একেবারে ক্লাসরুম থেকে বাস্তব কাজ পর্যন্ত।
- পেশাগত দক্ষতা: প্রশিক্ষকরা শুধু বই নয়, কাজের পরিবেশ, প্রজেক্ট, টুলস এবং সিমুলেশন ব্যবহার করেন।
ছাত্ররা কী কী সুবিধা পাবে?
- সরাসরি শেখার অভিজ্ঞতা: শুধু ভার্চুয়াল নয়, প্রকৃত ক্লাসরুম ও ল্যাব অভিজ্ঞতাও।
- আত্মবিশ্বাস: ইন্ডাস্ট্রি-রিলেভেন্ট স্কিল পাওয়ায় চাকরির সুযোগ বেড়ে যায়।
- সমান সুযোগ: শহর-গ্রাম বা আর্থিক কোনো বাধা নেই, সব ছাত্রছাত্রী পাচ্ছে একই সুযোগ।
এই মডেল আর প্রযুক্তি কীভাবে সমাজ বদলাচ্ছে, সেই সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ মিলবে Assam Government Partners with Tata-Nelco to Transform Skill Education রিপোর্টেও।
তথ্যসূত্র:
- Samagra Shiksha Axom and Tata-Nelco enters MoU for Assam’s skill education
- NELCO & Samagra Shiksha Assam Skilling Initiative
কোন দক্ষতার উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে?

ছবি: স্কুল শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে ভবিষ্যতের প্রযুক্তিবিষয়ক প্রশিক্ষণ নিচ্ছে, ছবি তৈরি AI দ্বারা।
অসমের সরকারি স্কুলে হাব-স্পোক মডেলে যে ভবিষ্যত-প্রস্তুত স্কিল প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে, তা শুধু ভারত নয়, সারাবিশ্বে প্রবল চাহিদার। এই ১০টি স্কিল নতুন প্রযুক্তি, শিল্প, সেবা, আর উদ্ভাবনী চিন্তার সাথে সরাসরি যুক্ত। আধুনিক প্রযুক্তির সংস্পর্শে এই বিষয়গুলো শেখার সুযোগ ছাত্রদের বাস্তব কাজ ও উচ্চশিক্ষায় এগিয়ে দেবে। নিচে প্রতিটি স্কিলের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা, চাকরি ও উন্নয়ন সম্ভাবনার ধারণা থাকল।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)
বর্তমান ও ভবিষ্যতের চাকরির বাজারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অন্যতম বড় নাম। AI-র ব্যবহারেই তৈরি হচ্ছে স্মার্ট অ্যাপ্লিকেশন, স্মার্ট হোম থেকে গাড়ি, এমনকি কৃষিতেও বিপ্লব এসেছে। AI শেখা মানে শুধু কোড শেখা নয়, বরং সমস্যা সমাধান, ডেটা বিশ্লেষণ আর নতুন কিছু ভাবাকে আরও সহজ করা। ভারতে AI বিশেষজ্ঞের চাহিদা বাড়ছে কর্পোরেট, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, এমনকি সরকারের কাছেও।
বিস্তারিত জেনে নিতে পড়ুন: Imparting Future Skills like AI and Robotics to Young Indians
ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইন্টারনেট অফ থিংস (IIoT)
IIoT হচ্ছে এমন এক নেটওয়ার্ক, যেখানে মেশিন, সেন্সর আর সফটওয়্যার একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে। কারখানা, পরিবহন, কৃষি—সবক্ষেত্রেই IIoT ব্যবহারে উৎপাদন বেড়েছে, খরচ কমেছে। IIoT বিশেষজ্ঞদের কাজ হচ্ছে এই নেটওয়ার্ক বানানো, মেইনটেইন করা আর উন্নয়ন করা। যারা এই শিক্ষায় পারদর্শী হবে, তারা দেশে-বিদেশে বহু কর্পোরেট অথবা স্টার্টআপ থেকে চাকরির সুযোগ পাবে।
রোবোটিক্স
রোবোটিক্স হচ্ছে রোবট ডিজাইন-নির্মাণ এবং সেগুলোর মাধ্যমে কাজ করানো শেখা। অ্যানিমেশন, অটোমেশন, স্বাস্থ্য সেবা, রপ্তানিমুখী শিল্প—সব জায়গায় রোবোটিক্স বিশেষজ্ঞের দরকার। স্কুল থেকেই যদি ছাত্ররা রোবোটিক্স শিখে, ভবিষ্যতে তারা ইঞ্জিনিয়ার, গবেষক, বা সিমুলেশন ডিজাইনার হতে পারবে।
আরও জানতে দেখুন: An Introduction to AI, ML, Drone Technology & Robotics
৩ডি প্রিন্টিং
৩ডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি এখন কল্পনার বাইরেও বাস্তব—চিকিৎসা, নির্মাণ, অর্ডার করা গ্যাজেট বা শিক্ষাতে দারুণ কার্যকর। এতে ডিজাইন থেকে শুরু করে বাস্তবে তৈরি করার প্রক্রিয়া শেখা যায়। ৩ডি প্রিন্টিং আরো সহজে নতুন প্রোটোটাইপ, খেলনা কিংবা স্বাস্থ্যসেবা যন্ত্রপাতি বানানোর সুযোগ দেয়।
ড্রোন টেকনোলজি
ড্রোন এখন শুধু ছবি তোলার জন্য নয়—এগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে কৃষিক্ষেত্রে নজরদারি, জরুরি ত্রাণবাহী, মানচিত্র তৈরিতে, রেলওেয়, পরিবহন, এমনকি নিরাপত্তা খাতে। ড্রোন উড়ানো, রক্ষণাবেক্ষণ ও অপারেশন সংক্রান্ত দক্ষদের জন্য দেশে-বিদেশে কাজের সুযোগ ক্রমেই বাড়ছে। Top 7 in-demand skills under PMKVY 4.0 লিঙ্কে ড্রোনসহ অন্য ভার্চুয়াল স্কিল নিয়ে বিস্তারিত আছে।
ইলেকট্রিক যান (Electric Vehicles)
ইলেকট্রিক গাড়ি যেন দিনকে দিন আরও জনপ্রিয় হচ্ছে। এই খাতে বিটারির ডিজাইন, মটর কন্ট্রোল, গাড়ির সফটওয়্যার—সবকিছুই উন্নত স্কিল চায়। রাজ্যে ও দেশে ইলেকট্রিক যানবাহনে প্রশিক্ষণ পেলে, অটোমোবাইল-এনার্জি সংস্থায় ভাগ্য গড়া এখন অনেক সহজ।
ডিজাইন ও ইনোভেশন
নতুন কিছু উদ্ভাবন, ডিভাইস ডিজাইন, প্রোডাক্ট মডেলিং বা আর্কিটেকচারে দক্ষতা তৈরি হচ্ছে এই বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণে। পড়ুয়ারা এখানে শিখবে কীভাবে সত্যিকারের সমস্যায় নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে সমাধান আনা যায়। স্বাধীন কাজ, স্টার্টআপ, এবং ইন্ডাস্ট্রিতে পথ খুলে দিতে ডিজাইন থিঙ্কিং একেবারে প্রয়োজনীয় স্কিল।
কম্পিউটার সহায়ক মেশিনিং (CAM)
মেশিনিং ও ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ক্ষেত্রে অটোমেশন আর ডিজিটাল কন্ট্রোল এখন অপরিহার্য। CAM শেখার ফলে ছাত্ররা বাস্তব জগতে শিল্প-কারখানার জন্য জটিল ডিজাইন ও উৎপাদন পদ্ধতি শিখে ফেলতে পারবে। এতে দক্ষতা বাড়ে, চাকরি মিলবে বড় বড় কোম্পানিতে।
বাড়ির ইলেক্ট্রনিক্স (Home Electronics)
এরমধ্যে রয়েছে স্মার্ট হোম ডিভাইস, স্মার্ট লাইট, অটোমেশন গ্যাজেট ব্যবহারের কৌশল। বাড়ির ইলেকট্রনিক্স শিখলে ছোট্ট রোবট থেকে বড় হোম সল্যুশন ডিজাইন ও মেরামত, দুইটাই সহজ হবে।
কোডিং ও সফটওয়্যার বেসিক্স
স্কুলের পাঠ্যক্রমে কোডিং শেখানো হলে, বেসিক প্রোগ্রামিং, অ্যালগরিদম আর ওয়েব/অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের সবার জন্য দরজা খুলে যায়। প্রাথমিক ব্লক-কোডিং থেকে শুরু করে উন্নত সফটওয়্যার তৈরিও সম্ভব হবে। চাহিদা বাড়ছে—স্কিল থাকলে চাকরি পাওয়া এখন বেশি সময়ের অপেক্ষা নয়।
আরও কোর্স ও প্রশিক্ষণের ব্যাপারে দেখতে পারেন: Courses & Programs | Robotics, AI, ML, Drone, IOT, 3D Printing
সংক্ষিপ্ত তালিকায় প্রশিক্ষণ বিষয়ের নমুনা:
| বিষয় | চাকরির সুযোগ | ভবিষ্যতের গুরুত্ব |
|---|---|---|
| কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) | AI ডেভেলপার, ডেটা সায়েন্টিস্ট | স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম, বড় কোম্পানি |
| IIoT | ইঞ্জিনিয়ার, ডাটা অ্যানালিস্ট | স্মার্ট কারখানা, উৎপাদন |
| রোবোটিক্স | রোবোট ডিজাইনার, মেকাট্রনিক্স | স্বাস্থ্য, নির্মাণ, রপ্তানি |
| ৩ডি প্রিন্টিং | প্রিন্টিং স্পেশালিস্ট, ডিজাইনার | প্রোটোটাইপ/প্রোডাক্ট বানানো |
| ড্রোন টেকনোলজি | ড্রোন অপারেটর, রক্ষণাবেক্ষণ | কৃষি, ম্যাপিং, নিরাপত্তা |
| ইলেকট্রিক যান (EV) | EV ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিশিয়ান | পরিবহন, গ্রীন টেক |
| ডিজাইন ও ইনোভেশন | ডিজাইনার, সমস্যা সমাধানকারী | নতুন উদ্ভাবন, স্টার্টআপ |
| কম্পিউটার সহায়ক মেশিনিং (CAM) | CAM অপারেটর, ইন্ডাস্ট্রি ইঞ্জিনিয়ার | উৎপাদন প্রযুক্তি, অটোমেশন |
| বাড়ির ইলেক্ট্রনিক্স | ইলেকট্রনিক্স টেকনিশিয়ান | স্মার্ট হোম, ডিজিটাল গ্যাজেট |
| কোডিং ও সফটওয়্যার | ডেভেলপার, প্রোগ্রামার | তথ্যপ্রযুক্তি, ইন্ডাস্ট্রি 4.0 |
যে শিক্ষার্থীরা এই প্রশিক্ষণ নেবে, তাদের জন্য ভবিষ্যতের দরজা খুলে যাবে আরও আগেভাগে। চাকরির সুযোগ, উচ্চশিক্ষা, এমনকি নিজস্ব ব্যবসা বা উদ্ভাবনী চিন্তার জায়গাগুলো একেবারে স্কুল জীবন থেকেই তৈরি করতে পারবে।
আরও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন: How AI and Robotics are Shaping Everyday School Education in India
অনুপ্রেরণার জন্য:
এমন ৩ডি, ড্রোন, রোবোটিক্স/AI শেখার বয়স ছোট থাকলেও, বিশ্বজুড়ে ৮-১০ বছর থেকেই এসব শুরু করার চল, স্কিল যত দ্রুত শেখা যায়, ভবিষ্যত তত পোক্ত।
“Future Skills & Employment” রিপোর্টে ভবিষ্যতের চাকরির জন্য এই সমস্ত স্কিলের চাহিদা ও বাস্তব গুরুত্ব বিস্তারিত আছে।
পরবর্তী অংশে আরও থাকে এই স্কিল ট্রেনিংয়ে ছাত্রদের বাস্তব গল্প ও সফলতার উদাহরণ।
অর্থায়ন ও অংশীদারিত্ব: অসম সরকার ও Tata-Nelco

ছবি: অসম সরকার ও Tata-Nelco যৌথ অর্থায়নে আধুনিক স্কিল শিক্ষা প্রকল্প; ছবি তৈরি AI দ্বারা।
অসমে নতুন স্কিল শিক্ষা প্রকল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে এর বিনিয়োগ কাঠামো। এই কাজ একা কারো পক্ষে সম্ভব হতো না। তাই অসম সরকার ও Tata-Nelco হাতে হাত মিলিয়ে নিজেদের সম্পদ ও অভিজ্ঞতা প্রকাশ করছে। আর এতে অংশীদার রয়েছে Samagra Shiksha Assam। এই সংমিশ্রিত মডেল গোটা ভারতের শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ দৃষ্টান্ত তৈরি করছে। প্রকল্পের আকার ও লক্ষ্য দেখে সহজেই বোঝা যায়, এখানে স্বপ্ন বড়, আর পরিকল্পনাও দূরদর্শী।
মোট বিনিয়োগ ও অর্থায়ন অনুপাত
অসম সরকার ও Tata-Nelco-এর এই যৌথ প্রকল্পে মোট বিনিয়োগ নির্ধারিত হয়েছে ₹৬০০ কোটি টাকা। এই বিশাল বাজেট সরাসরি রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে প্রবেশ করছে, যা এক কথায় ঐতিহাসিক।
অর্থায়নের কাঠামোটাও স্বচ্ছ এবং ভারসাম্যপূর্ণ:
- Tata-Nelco বিনিয়োগ করছে ৭৫% অর্থ: এই টাকায় মূলত অবকাঠামো, প্রযুক্তি, হাই-স্পিড স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, এবং আধুনিক ল্যাব প্রতিষ্ঠার খরচ বহন করা হবে।
- অসম সরকার ও Samagra Shiksha Assam দেয় ২৫%: সরকারের অংশীদারি শুধু টাকায় নয়, বরং নীতিগত ও প্রশাসনিক সহায়তা, স্কুল পরিকাঠামো, এবং স্থানীয় ব্যবস্থাপনায়।
বিস্তারিত দেখুন Assam cabinet gives nod to ₹600-cr project to skill youths
| বিনিয়োগকারি | শতাংশ অবদান | মোট পরিমাণ (₹ কোটি) | প্রধান ব্যয় ক্ষেত্র |
|---|---|---|---|
| Tata-Nelco | ৭৫% | ৪৫০ | প্রযুক্তি, ল্যাব, প্রশিক্ষণ |
| অসম সরকার (Samagra Shiksha Assam) | ২৫% | ১৫০ | ফিজিক্যাল অবকাঠামো, ব্যবস্থাপনা |
এই অনুপাত শিক্ষায় বেসরকারি ও সরকারি অংশীদারিত্বের নিখুঁত উদাহরণ, যেখানে দুই পক্ষই সমান গুরুত্ব ও দায়িত্ব পালন করছে।
Samagra Shiksha Assam-এর ভূমিকা
Samagra Shiksha Assam এখানে শুধু অংশীদার নয়, বরং মডেল বাস্তবায়নের সার্বিক দায়িত্ব বহন করছে। তাদের কাজ হলো:
- স্কুল নির্বাচন ও তদারকি: কোথায় হাব হবে, কোথায় স্পোক—সব কিছু Samagra Shiksha-র মাধ্যমে ঠিক হচ্ছে।
- অ্যাকাডেমিক সমন্বয়: কারিকুলাম তৈরি ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ, প্রতি বছর NEP 2020-এর দিক-নির্দেশ অনুযায়ী।
- প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ: জেলা ও সাব-ডিভিশন পর্যায়ে সমন্বয়, যাতে স্কিল প্রশিক্ষণ নির্ধারিত সময় ও মান রক্ষা পায়।
- ফান্ড ব্যবস্থাপনা: সরকারি অনুদান ও Tata-Nelco-এর বিনিয়োগ লগ্নি ঠিকমতো স্কুলে পৌঁছায় কি না, সেটার নজরদারি।
এইসব কারণে Samagra Shiksha প্রকল্পের সাফল্যে বড় ভূমিকা রাখছে।
আরও খোঁজ চাইলে পড়ে নিতে পারেন Assam-Nelco partnership to transform skill education।
বৃহত্তম বিনিয়োগ, দীর্ঘমেয়াদী ফল
এই যৌথ উদ্যোগ শিক্ষাক্ষেত্রে অসমের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগের উদাহরণ।
কেন এটা গুরুত্বপূর্ণ?
- দূরদর্শী ও স্থিতিশীল: স্কিল বাড়লে শুধু ছাত্রের চাকরির সুযোগ নয়, গোটা রাজ্যের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে।
- টেকসই অবকাঠামো: সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগে উচ্চমানের ল্যাব, টুল ও সফটওয়্যার দীর্ঘদিন টিকে থাকবে।
- সামাজিক পরিবর্তন: শিক্ষার মান ও সুযোগ সমান হবার কারণে, শহর ও গ্রামীণ তরুণদের মধ্যে নতুন আত্মবিশ্বাস ও উদ্যোগী মানসিকতা গড়ে উঠবে।
- রসদ ও রোডম্যাপ: ভবিষ্যতে আরও বেশি স্কুলে ও নতুন ট্রেডে প্রকল্প বাড়ানোর সুযোগ খোলা থাকল।
এই প্রকল্পের সুফল আপনি দেখতে পাবেন কয়েক মাসেই, আবার আগামী দশকেও।
অসমের ছেলেমেয়েদের জন্যে এমন সুযোগ দিচ্ছে যা আগে ভাবাই যেত না। পুরো বিষয়টা আরও জানতে Assam CM Announces Rs 600 Crore Skill Education Initiative পেজটি পড়তে পারেন।
মূল কথা:
অসম সরকার, Tata-Nelco আর Samagra Shiksha Assam একসাথে দেশের সবচেয়ে বড় স্কিল শিক্ষার গল্প লিখছে। ছাত্র, স্কুল, পরিবার—সবাই উপকৃত হবে এই দীর্ঘমেয়াদী, টেকসই ও অপূর্ব অংশীদারিত্ব থেকে।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও শিক্ষার্থীদের উপকারিতা
অসমের স্কুল শিক্ষায় ‘হাব অ্যান্ড স্পোক’ মডেল বাস্তবায়নের ফলে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা আরও দ্রুত ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হতে পারবে। শুধুমাত্র পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ার চেয়ে এখন বাস্তবজীবনের কাজ ও প্রযুক্তিভিত্তিক জ্ঞান বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই উদ্যোগ যেমন তরুণদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে, তেমনি কর্মক্ষেত্রে নতুন সুযোগের দুয়ার খুলবে।
চাকরিমুখী দক্ষতা: বাস্তব জীবনের জন্য প্রস্তুতি
এই নতুন শিক্ষামডেল সরাসরি যোগসূত্র তৈরি করছে চাকরির বাজার ও স্কুলের পাঠ্যক্রমের মাঝে। এখন আর ছাত্রছাত্রীদের শুধু তত্ত্ব নয়, হাতে-কলমে শিখতে হবে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা নিচের সুবিধাগুলো পাবে—
- ইন্ডাস্ট্রি-রিলেভেন্ট স্কিলস: AI, ড্রোন, সফটওয়্যার, রোবোটিক্স ইত্যাদি নিয়ে সরাসরি হাতে-কলমে শিক্ষা।
- লাইভ প্রকল্পে অংশগ্রহণ: মডেল হাব স্কুলে প্রকৃত প্রজেক্টের কাজ করে সৃজনশীলতা ও সমাধান করার ক্ষমতা বাড়বে।
- ইন্টারভিউ প্রস্তুতি: সাক্ষাৎকার বা চাকরি পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে।
- উচ্চশিক্ষার পথ: বিশ্ববিদ্যালয় ও পলিটেকনিক কোর্সে সুযোগ মিলবে আরও সহজে, কারণ হাতে প্রকৃত অভিজ্ঞতা ও সার্টিফিকেট থাকছে।
এই যে হাতে-কলমে শেখার সংস্কৃতি, তা ছাত্রছাত্রীদের শুধু চাকরি নয়, ব্যবসায় বা উদ্ভাবনী চিন্তাতেও দারুণ সাহায্য করবে। Assam government এবং Tata-Nelco’র এই উদ্যোগ সম্পর্কে এখানে আরও পড়তে পারেন।
কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত
অসমে অনেক তরুণ উচ্চশিক্ষা নিয়েও চাকরির বাজারে পিছিয়ে পড়ছিল। কারণ হাতে-কলমে স্কিলের ঘাটতি ছিল। এই হাব-স্পোক মডেল সেই বাধা কেটে দিচ্ছে।
- বিভিন্ন সেক্টরে চাকরি: প্রযুক্তি, উৎপাদন, স্বাস্থ্য, গ্রীন এনার্জি—সব ধরনের কোম্পানিতেই এই স্কিল শিক্ষার্থীদের জন্য দরজা খুলবে।
- স্টার্টআপ বা উদ্যোগ: ছাত্রছাত্রী চাইলে ছোট্ট দল বা নিজেই নতুন ব্যবসা অথবা প্রযুক্তি-উদ্যোগ শুরু করতে পারবে।
- প্লেসমেন্ট ও ইন্টার্নশিপ: স্কুলেই অনলাইন ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং, এবং বাছাইকৃত ইন্ডাস্ট্রিতে ইন্টার্নশিপের সুবিধা মিলবে।
এক কথায়, ছাত্রছাত্রীদের কর্মদক্ষতা বেড়ে গেলে শুধু চাকরি নয়, অসমের অর্থনীতিতে তরুণদের অবদান অনেক বাড়বে।
আধুনিক শ্রমবাজারে টিকে থাকার শক্তি
চাকরির ধরন এখন বদলে যাচ্ছে প্রতিদিন। AI, ডেটা অ্যানালিটিক্স, রোবোটিক্স—এসব ছাড়া ভবিষ্যতে টিকে থাকা কঠিন হবে। এই প্রজেক্ট ছাত্রছাত্রীদের এমনভাবেই তৈরি করবে, যাতে—
- প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে পারে
- দরকার হলে নতুন স্কিলও শিখতে পারে দ্রুত
- আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারে
বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বহুজাতিক সংস্থাগুলো ‘ফিউচার রেডি’ ছাত্র খোঁজে। আর এখানেই অসমের নতুন প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে অন্যদের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে।
ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ সুবিধা: সবার জন্য সমান সুযোগ
এই উদ্যোগের আরেকটি বড় দিক—শহর-গ্রাম, গরীব-ধনী, মেয়েশিশু-ছেলেশিশু সবাই পাচ্ছে সমান সুযোগ। প্রযুক্তি-নির্ভর সংযোগের কারণে স্কুল যত দূরেই হোক, একই কোয়ালিটির ক্লাস, প্রশিক্ষক ও ল্যাব সুবিধা পাচ্ছে সবাই।
ছাত্রদের জীবনে তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদী উপকারিতা:
- নতুন দৃষ্টিভঙ্গি: শুধু বইয়ের বাইরে গিয়ে প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন
- আত্মবিশ্বাস: চাকরির বাজার, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বা বিজনেসে সাহস বাড়া
- স্কিল সার্টিফিকেট: বিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটের সঙ্গে স্কিল ডিপ্লোমা থাকবে, উচ্চশিক্ষা বা চাকরিতে বাড়তি সুবিধা
এইসব কারণেই অসমের এই মডেল বাকি ভারতের জন্যও উদাহরণ হতে পারে।
উদ্যোগটির বাস্তব সুফল সম্পর্কে আরও তথ্য পড়তে পারেন NELCO & Samagra Shiksha Assam skilling initiative।
ভবিষ্যতের অসম: নতুন প্রজন্মের জন্য শক্ত ভিত্তি
এই স্কিল প্ল্যাটফর্ম ভবিষ্যতে অসমকে নেতৃত্ব দেবে। প্রযুক্তি, উৎপাদন, উদ্ভাবন—সব ক্ষেত্রে রাজ্যের ছেলে-মেয়েদের নিজ বাড়িতেই বিশ্বমানের শিক্ষা মিলছে। এতে রাজ্যের প্রতিভা আর বাইরে যেতে বাধ্য হবে না। বরং, অসমেই চাকরি ও উদ্যোগ গড়বে নতুন প্রজন্ম।
- স্থানীয় উন্নয়ন: দক্ষতাসম্পন্ন তরুণরা নিজ গ্রামে বা শহরে থেকেই নানা কাজ শুরু করবে
- জীবনের মানোন্নয়ন: পরিবার, সমাজ, রাজ্য—সব স্তরে উন্নতি বেশি জীবন্ত ও টেকসই হবে
এই কারণেই এখনই ছাত্রছাত্রীরা ছোটবেলা থেকে আধুনিক স্কিল পেলে, অসমের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হবে।
এই ধাপে আপনি দেখতে পাচ্ছেন, তাহলে কেন এই মডেল ঠিক সময়ে, সঠিক পথে অসমকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আগামী অংশে থাকছে ছাত্রছাত্রীদের একান্ত অভিজ্ঞতা আর সংসারে বদলের গল্প।
উপসংহার
Tata-Nelco-এর সহায়তায় অসমে চালু হওয়া ‘হাব অ্যান্ড স্পোক’ স্কিল এডুকেশন প্রকল্প আসলে প্রযুক্তিনির্ভর নতুন যুগের দিকেই রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে দিচ্ছে। এখন শহর-গ্রামে ফারাক ছাড়াই ছাত্ররা স্কুল থেকেই শেখার সুযোগ পাচ্ছে AI, রোবোটিক্স, ড্রোন, কিংবা EV-র মতো ভবিষ্যতের কাজের জন্য জরুরি টেকনিক্যাল দক্ষতা। এর ফলে শুধু লেখা-পড়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বাস্তব জীবনের জন্য আত্মবিশ্বাস, চাকরি কিংবা ব্যবসায়িক উদ্যোগের দরজাও খুলে যাচ্ছে।
এইসব উদ্যোগ আজকের অসমের তরুণদের হাতে শক্তি ও সুযোগ এনে দিচ্ছে, যা আগামী দিনে রাজ্যের অর্থনীতি, প্রযুক্তি এবং সমাজ সব দিক থেকেই ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। ভবিষ্যতে নিজেদের এলাকায় থেকেও বিশ্বমানের দক্ষতা নিয়ে অসমের নতুন প্রজন্ম দেশ-বিদেশে নিজেদের পরিচয় গড়তে পারবে। পড়ে যাওয়া নয়, বরং সবার সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তিশালী মঞ্চ তৈরি হচ্ছে।
পাঠক, এই পরিবর্তনের সঙ্গী হতে এবং নিজ এলাকার ছাত্রদের এগিয়ে যেতে উৎসাহ দিন। আপনার ভাবনা ও মতামত আমাদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না—এই আলোচনাই নতুন অসাম তৈরি করবে!
