গুয়াহাটি বিমানবন্দরে নতুন মেডিকেল ইউনিট ২০২৫: গ্রামের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ও সহায়তা

Estimated reading time: 1 minutes

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

গুয়াহাটি বিমানবন্দরে নতুন মেডিকেল ইউনিট, আশেপাশের গ্রামগুলোর জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা সম্ভার

লোকপ্রিয়া গোপীনাথ বরদলৈ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্প্রতি নতুন একটি মেডিকেল হেলথ কেয়ার ইউনিট (MHCU) উদ্বোধন করা হয়েছে। এই ইউনিটটি বিশেষভাবে আশেপাশের গ্রামের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কাজ করবে। আদানি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পরিচালিত এই প্রকল্পে হেল্পেজ ইন্ডিয়া সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যারা গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে।

এই নতুন ইউনিটটি শুধু জরুরি মেডিকেল সেবা দিতেই থেমে থাকছে না; এলাকার স্কুল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, সৌর লাইট, হুইলচেয়ারসহ নানা শিক্ষামূলক ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। এটি একটি বড় ধাপ স্বাস্থ্যসেবাকে গ্রাম-অনুকূলে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে, যা সবার জন্য সহজলভ্য ও বিশ্বস্ত চিকিৎসা নিশ্চিত করবে।

ভিডিও দেখতে পারেন এখানে

অদানী ফাউন্ডেশন এবং তাদের সামাজিক দায়িত্ব

বিগত কয়েক দশকে, অদানী ফাউন্ডেশন গ্রামীণ এবং দুস্থ জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় ধরনের অবদান রেখে আসছে। ১৯৯৬ সালে এই ফাউন্ডেশন যাত্রা শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত এটি লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে কাজ করে আসছে। তাদের সামাজিক দায়িত্ব (CSR) কার্যক্রমের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ও স্থায়ীভাবে উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবায় তাদের কর্মসূচি গ্রামীণ অঞ্চলে পরিচালিত মোবাইল হাসপাতাল থেকে শুরু করে ক্লিনিক ও পরামর্শসেবা প্রভৃতি সেবা করে থাকে।

অদানী ফাউন্ডেশনের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম

অদানী ফাউন্ডেশন গ্রামীণ এলাকার মানুষের হাতে প্রযুক্তি ও চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশেষ মোবাইল হেলথকেয়ার ইউনিট (MHCU) পরিচালনা করে। প্রতি বছর প্রায় ৩ লক্ষেরও বেশি বিনামূল্যের চিকিৎসা সেবা তারা সরবরাহ করে থাকে। এই মোবাইল ইউনিটগুলোতে সাধারণ রোগের সনাক্তকরণ থেকে শুরু করে মৌলিক পরীক্ষণ ও চিকিৎসা পরামর্শ প্রদান করা হয়।

গ্রামীণ এলাকায় স্থাপিত ক্লিনিকগুলোও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে ফাউন্ডেশন পরিচালিত প্রায় ১২টি গ্রামীণ ক্লিনিকে বছরে প্রায় ৭৩,৯০৩ টি বিনামূল্যের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন ধারাবাহিক স্বাস্থ্য ক্যাম্প পরিচালনা করে টিবি, ডায়াবেটিস, হাই ব্লাড প্রেসার ইত্যাদি রোগের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ চলছে।

এই স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম শিশুদের জন্য চোখের পরীক্ষা, বয়স্কদের জন্য পুষ্টি কিট বিতরণ এবং জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করেও গ্রামীণে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। সাম্প্রতিককালে, ভারতীয় বিভিন্ন রাজ্যে এই সুবিধাগুলি পৌঁছে দিয়ে ফাউন্ডেশন অসংখ্য মানুষের দৌড়ানো জীবনযাত্রা সহজ করেছে।

গ্রামীণ অঞ্চলে অদানী ফাউন্ডেশনের মোবাইল হেলথকেয়ার ইউনিট
অদানী ফাউন্ডেশনের মোবাইল হেলথকেয়ার ইউনিট গ্রামীণ অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছে, ছবি তৈরি AI দ্বারা

গ্রামীণ উন্নয়নে ব্যাপক উদ্যোগ

অদানী ফাউন্ডেশন শুধু স্বাস্থ্যসেবা দিয়েই থেমে নেই, তারা গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য নানা উপকরণ ও সেবাও দিয়ে আসছে। স্কুল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পানি ডিসপেন্সার স্থাপন, সোলার লাইট সরবরাহ, এবং হুইলচেয়ার ও ইনভার্টার প্রদান করে ফাউন্ডেশন স্থানীয় মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রবল অবদান রাখে।

পানি সরবরাহ ব্যবস্থার মাধ্যমে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত নানা শ্রেণির মানুষের সুষ্ঠু জীবনযাপন সহজ হয়। সৌর শক্তি থেকে চলা লাইটগুলো বিদ্যুৎ সমস্যাযুক্ত এলাকায় আলো এনে দেয়, যা পড়াশুনা, চিকিৎসা এবং দৈনন্দিন কাজকর্মে সহায়ক হয়। এছাড়াও প্রতিবন্ধী মানুষদের জন্য হুইলচেয়ার সরবরাহ করে তাদের চলাফেরার স্বাধীনতা বাড়ানো হয়।

গ্রামীণ এলাকায় এ ধরনের সেবাদান লোকজ পরিবেশ উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গেই সামাজিক সূচকগুলোর উন্নতিও আনে। বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান বৃদ্ধি পায়, এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো আরও সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারে।

অদানী ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে অনেক গ্রামের মানুষ আজ সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নত সুবিধা পাচ্ছেন। স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে গ্রামীণ অভ্যন্তরীণ জীবনযাত্রা, শিক্ষা ও নিবিড় উন্নয়ন তাদের উদ্দেশ্য পূরণে এক নতুন পথ প্রশস্ত করছে।

আরও বিস্তারিত জানতে পারেন এই অদানী ফাউন্ডেশনের অফিসিয়াল সাইট থেকে।

গুয়াহাটি বিমানবন্দরে মেডিকেল হেলথ কেয়ার ইউনিটের গুরুত্ব ও কাজ

লোকপ্রিয়া গোপীনাথ বরদলৈ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপিত মেডিকেল হেলথ কেয়ার ইউনিট (MHCU) শুধু একটি ক্লিনিক নয়, এটি আশেপাশের গ্রামের মানুষের জন্য অমূল্য স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এই ইউনিটটি ডায়াগনোসিস, প্রাথমিক চিকিৎসা এবং জরুরি সেবা প্রদান করে, যা গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দাদের জীবনমান বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

গ্রামেদের কাছে পৌঁছানো চিকিৎসা সেবা দেওয়া সবসময় একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। বেশিরভাগ সময় তারা শহরের হাসপাতালপথে যেতে পেরে থাকে না বা সেবা পেতেও সমস্যায় পড়ে। এখানেই MHCU-এর কাজ আলাদা। এটি বিমানবন্দরের ভৌগোলিক সুবিধার সাহায্যে শর্ট নোটিশে সেবা দেয় এবং মোবাইল হেলথকেয়ার সুবিধার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা আরও বেশি দূরত্বে নিতে সক্ষম।

এই ইউনিট এলাকার স্কুল, গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো সাথেও যুক্ত হয়ে সময়ে সময়ে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা ক্যাম্প, শিশুদের টিকা কর্মসূচি, এবং পুষ্টি সংক্রান্ত পরামর্শও দেয়। এর ফলে, MHCU শুধু চিকিৎসা ক্ষেত্রেই নয়, সম্পূর্ণ গ্রামীণ এলাকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলায় অবদান রাখে।

গ্রামীণ অঞ্চলে অদানী ফাউন্ডেশনের স্কুলে সোলার লাইট ও পানি ডিসপেন্সার সরবরাহ

অদানী ফাউন্ডেশন ও হেল্পএজ ইন্ডিয়া’র অংশগ্রহণ

অদানী ফাউন্ডেশন ভারতীয় গ্রামীণ উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে, বিশেষত স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবায়। এই ইউনিটের বাস্তবায়নেও তাদের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। তারা শুধুমাত্র অর্থায়ন করেনি, বরং পুরো প্রকল্পটির দায়িত্বও নিয়ে ইউনিট পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে।

হেল্পএজ ইন্ডিয়া, যারা বৃদ্ধ ও অসহায়দের জন্য কাজ করে থাকে, তাদেরও এই প্রকল্পে অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। MHCU পরিচালনার দায়িত্ব তাদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। হেল্পএজ ইন্ডিয়া তাদের অভিজ্ঞতা এবং নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে গ্রামীণ মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছে। তাদের দক্ষ কর্মীরা নিয়মিত ভিত্তিতে ইউনিটে উপস্থিত থেকে চিকিৎসা সেবা প্রদান, জরুরি অবস্থায় সাহায্য এবং হাসপাতালে রেফারেল করার কাজ করে চলেছেন।

এই যুগল অংশীদারিত্ব MHCU-কে শুধুমাত্র একটি হাসপাতাল হিসাবে নয়, বরং হাসপাতালে পৌঁছানো স্বাস্থ্যসেবার একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে গড়ে তুলেছে। অদানী ফাউন্ডেশনের অফিসিয়াল সংবাদ এখান থেকে জানতে পারেন

স্থানীয় এবং সরকারি অংশীদারিত্ব

মেডিকেল হেলথ কেয়ার ইউনিট (MHCU) সফল করতে স্থানীয় ও সরকারি সংস্থাগুলোর সহযোগিতা অপরিহার্য। এখানে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন (NHM), গুঅহাটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লিমিটেড (GIAL), এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন (NHM) স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও স্বাস্থ্য সেবা মান উন্নয়নে সহায়তা করে। NHM-এর সাহায্যে MHCU-র কর্মীরা আরো দক্ষ এবং জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সক্ষম হচ্ছে। এর ফলে এলাকার স্বাস্থ্যঝুঁকি দ্রুত সনাক্ত করে সেবা পৌঁছে দিতে সুবিধা হয়।

আরেকদিকে, গুয়াহাটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লিমিটেড (GIAL) সরবরাহ ও অবকাঠামোগত সহায়তা দিয়ে MHCU-কে এক সুষ্ঠু অবস্থানে নিয়ে এসেছে। বিমানবন্দরের ভেতরে সুবিধাজনক স্থানে ইউনিটটি স্থাপন করায় রোগী ও দর্শনার্থীরা দ্রুত চিকিৎসা পেতে সক্ষম হচ্ছে।

এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন, গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও বিভিন্ন এনজিও-র সাথে সমন্বয় করে MHCU কার্যক্রম বিস্তৃত হচ্ছে। তারা ক্যাম্প, অনুসন্ধান ও পরিচর্যা কার্যক্রমকে স্থানীয় পর্যায়ে সমর্থন করে উন্নত করে।

এই সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে MHCU এক সক্রিয় স্বাস্থ্য কেন্দ্র হয়ে উঠেছে, যা গ্রামীণ উন্নয়নে এক নতুন মডেল তৈরি করে। আরও পড়ুন MHCU’র কার্যকর অংশীদারিত্ব নিয়ে The Assam Tribune’র প্রতিবেদন থেকে


এই অংশ এখন পরিষ্কার করে বোঝায় কিভাবে একত্রে কাজ করে MHCU জেলার চারপাশের গ্রামের স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য এবং গুণগত মানের। এর ফলে নতুন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাটি শুধু একটি ক্লিনিক নয়, বরং একটি বড় সমাজ সেবা উদ্যোগ হিসেবে গড়ে উঠেছে।

সামাজিক প্রভাব ও সম্প্রসারণের সম্ভাবনা

নতুন মেডিকেল হেলথ কেয়ার ইউনিট (MHCU) শুধু স্বাস্থ্যসেবা প্রদান নয়, তার মাধ্যমে সম্পূর্ণ গ্রামীণ সমাজে যে পরিবর্তন আসছে তা দীর্ঘমেয়াদে অনেক বড় প্রভাব ফেলবে। সুসামাজিক অবকাঠামো গড়ে তোলা, স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে এই উদ্যোগের পরিধি ক্রমশ বাড়ছে। আসুন দেখি কীভাবে এই স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাটি স্থায়িত্ব ও সম্প্রসারণের ব্যাপারে উৎসাহ যোগাচ্ছে।

স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নয়নে স্থায়িত্ব এবং সহযোগিতা

স্বাস্থ্যসেবায় শুধু একক চিকিৎসা প্রদান নয়, তার পেছনে থাকে বহুস্তরীয় সহযোগিতা এবং সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ। MHCU-র সফলতা তাই নির্ভর করে প্রতিষ্ঠিত অংশীদারিত্ব এবং সমাজের সঙ্গে দৃঢ় সংযোগের উপর।

  • স্থানীয় সম্প্রদায়ের অংশীদারিত্ব:
    স্থানীয় মানুষদের স্বাস্থ্যের জন্য সচেতন করা এবং তাদের সেবা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করাই এই প্রকল্পের মূল ভিত্তি। গ্রামের লোকজন, স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মী এবং ইউএনওদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করলে সেবা আরও কার্যকর হয়। রোগীদের সমসাময়িক সমস্যাগুলো বুঝে সঠিক সময়ে সেবা পৌঁছানো যায়।
  • সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়:
    জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন (NHM) থেকে শুরু করে গুঅহাটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লিমিটেড (GIAL) ও অদানী ফাউন্ডেশনের মতো সংস্থাগুলো একসঙ্গে মিলিতভাবে যেখানে অবকাঠামো, চিকিৎসক, ও প্রশিক্ষণ প্রদানে সহায়তা করে, সেখানে স্থায়িত্ব নিশ্চিত হয়।
  • উন্নত স্বাস্থ্যসেবা মডেল তৈরিতে সহযোগিতা:
    চিকিৎসকদের নিয়মিত আপডেট প্রশিক্ষণ, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় আধুনিক পদ্ধতির প্রয়োগ এবং রোগীর ফলোআপ সিস্টেম দরকার। এই সবকিছুতে সহযোগিতার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী স্বাস্থ্য কাঠামো গড়ে ওঠে, যা বছরের পর বছর ধরে কার্যকর থাকে।
  • স্বাস্থ্য সচেতনতা ও নিয়মিত ক্যাম্প:
    MHCU নিয়ম করে সচেতনতা ক্যাম্প ও টিকা কর্মসূচি চালায়, যা গ্রামীণ অঞ্চলের রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে গ্রামের সব বয়সীর মধ্যে স্বাস্থ্য বিষয়ে সঠিক ধারণা তৈরির মাধ্যমে দূরদর্শী স্বাস্থ্য সংস্কৃতি গড়ে ওঠে।

এই স্বাস্থ্যসেবা কাঠামোর মাধ্যমে রোগ নির্ণয় থেকে শুরু করে চিকিৎসা, পরামর্শ এবং পুনর্বাসন পর্যন্ত সম্পূর্ণ চক্র পরিচালিত হয়। এটি শুধু এখনকার নয়, ভবিষ্যতের জন্যও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলছে।

সম্প্রসারণের সম্ভাবনা

এই ইউনিটের মাধ্যমে পাওয়া সাফল্য গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার ভবিষ্যতকে উজ্জ্বল করছে। বেশ কিছু কারণ আছে যে কারণে এই নীতিটি অন্য এলাকায়ও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে:

  1. ভৌগোলিক সুবিধা ও সহজ সেবা পৌঁছানো: বিমানবন্দরের কাছাকাছি হওয়ায় জরুরি মুহূর্তে দ্রুত চিকিৎসা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। একই মডেল দেশের অন্য বিমানবন্দর ও সড়ক সংলগ্ন এলাকায় প্রয়োগ করা যেতে পারে।
  2. প্রযুক্তির মাধ্যমে সেবা সম্প্রসারণ: মোবাইল স্বাস্থ্যকেয়ার ইউনিট ও টেলিমেডিসিন ব্যবস্থার সাহায্যে দুরবর্তী গ্রামের মানুষদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা আরো সহজলভ্য করা সম্ভব।
  3. স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মীদের ক্ষমতা বৃদ্ধির সুযোগ: MHCU–এর প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা আরও দক্ষ হচ্ছে, যা অন্য এলাকায় স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নেও সহায়ক হবে।
  4. সমাজের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি: নিয়মিত ক্যাম্প ও শিক্ষা কার্যক্রমের ফলে স্বাস্থ্য পরিচর্যায় পরিবর্তন আসছে, যা রোগ প্রতিরোধ ও দীর্ঘমেয়াদী সুস্থতা নিশ্চিত করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  5. সরকারি অর্থায়ন ও বেসরকারি অংশীদারিত্বের মডেল: সফল সমন্বয় ও সহযোগিতা থাকলে দেশের অন্যান্য দূরবর্তী গ্রামেও একই মডেল কার্যকর করা সম্ভব।

অদানী ফাউন্ডেশনের এই ধরনের উদ্যোগ শুধু স্বাস্থ্যসেবা নয়, সমাজের সম্পূর্ণ উন্নয়নের জন্য এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। সম্প্রসারণের সুযোগ থাকায় গ্রামীণ জীবনের মান উন্নত করার ক্ষেত্রে এটি দৃষ্টান্ত হতে পারে।

এ সম্পর্কিত আরও তথ্য ও বিস্তারিত এখানে পাওয়া যাবে অদানী ফাউন্ডেশনের কমিউনিটি সাপোর্ট পেজে

উপসংহার

গুয়াহাটি বিমানবন্দরে নতুন মেডিকেল হেলথ কেয়ার ইউনিট (MHCU) তৈরি হওয়া গ্রামীণ অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবার এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। অদানী ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সহযোগী সংস্থার অংশীদারিত্ব এবং স্থানীয় ও সরকারি উদ্যোগের সমন্বয়ে এটি শুধু চিকিৎসা নয়, একেবারে সার্বিক উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে।

এই ইউনিটের মাধ্যমে আশেপাশের গ্রামগুলোতে প্রাথমিক ও জরুরি চিকিৎসা পৌঁছানো সহজ হয়েছে, আর একই সঙ্গে স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং পুষ্টির মতো গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোতে কাজ চলছে। ভবিষ্যতে এমন উদ্যোগগুলো আরও বেশি গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে গ্রামীণ জীবনের মান ভালোবাসার গণ্ডি ছাড়িয়ে যাবে।

এখানে আমাদের সবারই ভূমিকা থাকতে পারে; সামান্য সমর্থন ও সচেতনতা থেকেই বড় পরিবর্তন আসবে। তাই এই ধরণের প্রকল্পগুলোকে আমরা উৎসাহ দিলে, স্বাস্থ্যসেবা শুধু দূরের বিষয় নয়, পৌঁছে যাবে প্রতিটি গ্রামে। আপনার পাশে থেকে, আমরা সবার জন্য ভালো ও সুস্থ সমাজ গড়ার অংশীদার হতে পারি।

Click here