হিমন্ত বিশ্ব শর্মার ৯ কেস: স্ক্যাম, অভিযোগ ও প্রেক্ষাপট, ফ্যাক্টচেকড

to hack, fraud, map, code, computer, credit, crime, cyber, identify, information, phishing, stack, privacy, protection, security, secure, technology, thief, cartoon, scam, phishing, phishing, phishing, phishing, phishing হিমন্ত বিশ্ব শর্মার ৯ কেস: স্ক্যাম, অভিযোগ ও প্রেক্ষাপট, ফ্যাক্টচেকড (২০২৫)

Estimated reading time: 1 minutes

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

হিমন্ত বিশ্ব শর্মার ৯ কেস: স্ক্যাম, অভিযোগ ও প্রেক্ষাপট

আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, তিন দশকের বেশি সময় ধরে সক্রিয় রাজনীতির মুখ। শক্ত সংগঠন, তীক্ষ্ণ বার্তা, আর বারবার ফিরে আসা অভিযোগ তাকে ঘিরে আলোচনার কেন্দ্র তৈরি করে। এই লেখায় আমরা ৯টি আলোচিত কেসের সামগ্রিক ছবি তুলে ধরব, পরিষ্কার ভাষায়, কোনো বাড়তি সাজসজ্জা ছাড়া।

সাম্প্রতিক ভূমি ও ভর্তুকি কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রশ্ন এখন তীব্র। এই খবর পুরনো নানা অভিযোগের ধারাকে মনে করায়, চুক্তি, ক্রয়, প্রকল্প বরাদ্দ, আর প্রভাব খাটানোর প্রসঙ্গ বারবার উঠে আসে। আমরা তারিখ, প্রেক্ষাপট আর রেকর্ডের সূত্র ধরব, কিন্তু সংক্ষেপে, যাতে বড় চিত্রটা স্পষ্ট থাকে।

পাঠক এখানে পাবেন দ্রুত বোঝার মতো সারসংক্ষেপ, কেসগুলির ধারাবাহিকতা, আর কোন প্রশ্নগুলো নজরে রাখা দরকার। শর্মা প্রকাশ্যে অনিয়ম অস্বীকার করেন, তার একটি সাম্প্রতিক বক্তব্য দেখুন:  এখন চলুন, তথ্যের ওপর ভর করে বিষয়টি খুলে দেখা যাক।

প্রথমদিকের অভিযোগ: চাঁদমারি এবং পানবাজারের এক্সটর্শন কেস

১৯৯১ সালের গুয়াহাটির দুই থানায়, চাঁদমারি এবং পানবাজার, এক্সটর্শনের অভিযোগ শিরোনামে উঠে আসে। অভিযোগ ছিল উলফার পক্ষে টাকা তোলা, ভীতির আবহ, আর তরুণ নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নাম সেই মামলাগুলিতে জড়ানো। তিনি তখন ছাত্ররাজনীতি থেকে সবে উঠে আসছেন, AASU-এর দিন পার করে মূলধারার দলে যাওয়ার পথ ভাবছেন। মামলার মোচড়, হেফাজত, আর পরে খালাস, সব মিলিয়ে এই অধ্যায় তার রাজনৈতিক চেহারা গড়ার প্রথম পাঠ হয়ে ওঠে।

আর্মস অ্যাক্টের অভিযোগ এবং অস্ত্র উদ্ধার

পানবাজার কেসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি আর্মস অ্যাক্ট মামলা উঠে আসে। অভিযোগ অনুযায়ী, কটন কলেজ হোস্টেলের রান্নাঘরের পিছনে পুলিশ একটি রিভলভার এবং ২৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। এই উদ্ধারকে তদন্তকারীরা এক্সটর্শন চক্রের অংশ হিসেবে দেখায়, যেখানে ভয় দেখিয়ে টাকা তোলার প্রসঙ্গ ছিল।

এই প্রেক্ষাপটে হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও হেফাজতে নেওয়া হয়। সেই সময় তার নাম একাধিক FIR-এ উঠে আসে, কেস নং ৭৭/১৯৯১ (চাঁদমারি) এবং কেস নং ১৫/১৯৯১ (পানবাজার) উল্লেখযোগ্য। অভিযোগ ছিল উলফার পক্ষে ১০ লক্ষ এবং ৭ লক্ষ টাকা সংগ্রহের। জনমনে প্রশ্ন, গণমাধ্যমে চাপে পড়া, এবং প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক আক্রমণ, সব একসাথে তার প্রথমদিকের পরিচিতি বদলে দেয়।

তবে পরে আদালত এই আর্মস অ্যাক্ট অংশসহ সংশ্লিষ্ট অভিযোগে খালাস দেয়। পুরনো কাগজপত্রের ঘাটতি, সাক্ষ্যসংগ্রহের জট, আর নিখোঁজ কেস ডায়েরি বড় ভূমিকা রাখে। ফলাফল, অভিযোগ আদালতে টিকেনি। এই ফলাফল উল্লেখ করলেই ভারসাম্য থাকে, কারণ নথিভিত্তিক বিচারেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। তবু শুরুতে যে আঘাত লেগেছিল, তা তাকে AASU থেকে দূরে সরিয়ে কংগ্রেসে যাওয়ার যুক্তি ও আশ্রয় খুঁজতে বাধ্য করে, এমন মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে শোনা যায়।

সংক্ষিপ্তভাবে ঘটনাপ্রবাহ:

  • চাঁদমারি, কেস নং ৭৭/১৯৯১: উলফার পক্ষে টাকা তোলার অভিযোগ।
  • পানবাজার, কেস নং ১৫/১৯৯১: এক্সটর্শন ও অস্ত্র উদ্ধারের সংযোগ।
  • হেফাজত ও জিজ্ঞাসাবাদ: তরুণ নেতার উপর তীব্র নজর।
  • পরিণতি: নথি ঘাটতি ও কেস ডায়েরি সমস্যা, আদালতে খালাস।

TADA কেসের পুনর্বিবেচনা এবং হাইকোর্টের নির্দেশ

এই কেসগুলো TADA আইনের অধীনে চলেছিল, কারণ অভিযোগ ছিল সন্ত্রাস-সংযুক্ত অর্থ সংগ্রহের। সময় গড়ায়, রাজনৈতিক অবস্থান বদলায়, আর মামলা থেকে যায় ফাইলের কোটরে। ২০০৯ সালে গৌহাটি হাইকোর্টে এই মামলাগুলোর পুনর্বিবেচনা শুরু হয়। জনস্বার্থ মামলা, PIL, দাখিল করেন সুকদেও পাসওয়ান। আদালত তখন জানতে চায়, তদন্তের অবস্থা কোথায়, কেস ডায়েরি আছে কি না, আর বিচার প্রক্রিয়া কেন থেমে আছে।

কোর্টে উঠে আসে গুরুতর তথ্য, কেস ডায়েরি হারিয়ে গেছে। প্রাথমিক নথি ছাড়া বিচার এগোনো সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে আদালত কার্যত মামলাগুলো থেকে মুক্তি দেয়, অর্থাৎ খালাসের পথ খোলে। তখন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রাজ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক সমীকরণ চড়তে থাকে, মিডিয়া বিতর্ক বাড়ে, আর বিরোধী মহলে CBI তদন্তের দাবি ওঠে, যাতে পুরো বিষয়টি স্বাধীনভাবে খতিয়ে দেখা যায়।

এই সিদ্ধান্তের দুটো দিক ছিল:

  • আইনি দিক, আদালত নথিভিত্তিক বিচার করে, নথি অনুপস্থিত থাকলে মামলার দাঁড়ানো কঠিন।
  • রাজনৈতিক দিক, পুরনো অভিযোগ নতুন করে আলোচনায় আসে, তবে আদালতের রায় স্পষ্ট, প্রমাণহীনতায় খালাস।

শেষ পর্যন্ত, ১৯৯১ সালের চাঁদমারি এবং পানবাজারের অভিযোগ তার ক্যারিয়ারে ছায়া ফেললেও, আইনি পরিণাম তার পক্ষে যায়। ছাত্ররাজনীতি থেকে কংগ্রেসে যাওয়ার পটভূমি, এই চাপের সময়েই দৃশ্যত পাকাপোক্ত হয়। পাঠকের জন্য শিক্ষা সহজ, অভিযোগের রাজনীতি শিরোনাম বানায়, কিন্তু আদালতে টিকে থাকতে হলে প্রমাণই শেষ কথা।

হত্যা অভিযোগ এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের ছায়া

৯০ দশকের শুরুর আসাম ছিল আতঙ্ক, বিক্ষোভ আর অস্থিরতার সময়। সেই সময়েই ১৯৯১ সালে মানবেন্দ্র শর্মার হত্যাকাণ্ড ঘিরে আলোড়ন ওঠে। তদন্তের পথে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নামও উঠে আসে, সংবাদ শিরোনাম বদলায়, ছাত্রনেতা থেকে বিতর্কিত মুখে পরিণত হওয়ার শুরু হয়। আদালত শেষ কথা বলবে, কিন্তু পথের ধাক্কা তখনই তার রাজনৈতিক যাত্রাকে নতুন দিকে ঠেলে দেয়।

১৯৯১: মানবেন্দ্র শর্মা হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ

মানবেন্দ্র শর্মার মৃত্যুর পর, অভিযোগ, জিজ্ঞাসাবাদ, আর FIR-এর ভাষ্য একসাথে ভিড় জমায়। তদন্ত সংস্থার প্রশ্ন ছিল, কারা পরিকল্পনায় ছিল, কারা মাঠে নামিয়েছিল। এই প্রেক্ষাপটে হিমন্তের নাম আলোচনায় আসে, তার আগের এক্সটর্শন কেসের সূত্রও ঘন হয়। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন, বলেন এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবু সেই সময়ের বাতাস ভারী ছিল, এবং জনমনে সন্দেহের রেখা টানা পড়ে।

AASU থেকে সাসপেনশন, পথ বদলের শুরু

অভিযোগের চাপ, মিডিয়ার শোরগোল, আর ক্যাম্পাসের ভাঙাচোরা আস্থার মাঝে AASU হিমন্তকে সাসপেন্ড করে। ছাত্ররাজনীতির পরিবার থেকে বেরিয়ে পড়া মানে ছিল পরিচিত আশ্রয় হারানো। এই সাসপেনশন কার্যত তাকে প্রান্তে ঠেলে দেয়। সংকীর্ণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে তিনি নতুন পথ খোঁজেন, যেখানে সংগঠন, সম্পদ, আর সুরক্ষা একসাথে মেলে।

কংগ্রেসে যোগ, রাজনৈতিক আশ্রয়ের তর্ক

সেই প্রেক্ষাপটেই কংগ্রেসে যোগ দেওয়া ঘটে। সমর্থকেরা বলেন, এটি বাস্তব সিদ্ধান্ত, ঝড় ঠেকাতে শক্ত ছাতা দরকার ছিল। বিরোধীরা বলেন, এটি রাজনৈতিক সুরক্ষার খোঁজ। সত্যি বলতে, উভয় পাঠই তৎকালীন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খায়। অভিযোগের ঘূর্ণিতে দাঁড়িয়ে যে কেউই শক্ত গাছের ছায়া খুঁজবে, রাজনীতিতে এই হিসাব নতুন নয়।

আদালতের রায়, খালাস এবং প্রতিধ্বনি

তদন্ত দীর্ঘায়িত হয়, নথি নিয়ে গোলমাল সামনে আসে, এবং শেষ পর্যন্ত আদালত খালাস দেন। প্রমাণ ছাড়া ফৌজদারি মামলায় দাঁড়ানো কঠিন, এখানেও তাই হলো। আইন বলল, অভিযোগ টেকেনি। কিন্তু জনমতের স্মৃতি সরল নয়। খালাস মানে বন্দিত্ব ভাঙা, তবে সন্দেহের রঙ সহজে মুছে যায় না। এই ব্যবধানই হিমন্তের বিরুদ্ধে আর পক্ষে দুই শিবিরের কথাবার্তাকে বছর বছর টিকিয়ে রাখে।

২০১৯: প্রফুল্ল কুমার মহান্তের মন্তব্য

বহু বছর পর ২০১৯ সালে প্রফুল্ল কুমার মহান্ত এই পুরনো মামলা নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সেই সময়ের অভিযোগ, তদন্ত আর রাজনৈতিক তাপ একসাথে কাজ করেছে। আদালত যখন সিদ্ধান্ত দিয়েছে, তখন নতুন তথ্য না এলে পুরনো মামলার পুনরাবৃত্তি অর্থহীন। এই বক্তব্যে একদিকে আইনি চূড়ান্ততার স্বীকৃতি আছে, অন্যদিকে তৎকালীন রাজনৈতিক আবহেরও ইঙ্গিত আছে।

কেন এই অধ্যায় আজও গুরুত্বপূর্ণ

এই পর্ব শুধু একটি হত্যা মামলার আখ্যান নয়, বরং একটি রাজনৈতিক রূপান্তরের গল্প। অভিযোগের ধাক্কা, সংগঠন থেকে বেরিয়ে আসা, বড় দলের ছায়ায় ঢোকা, আর আদালতের খালাস, সব মিলিয়ে এটি হিমন্তের ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। এখানেই তৈরি হয় সেই ধারণা যে তিনি রাজনৈতিক সুরক্ষা খুঁজেছিলেন, এবং পরে সেটিকেই শক্ত ভিত্তিতে বদলে ফেলেন।

  • মূল ছবি: অভিযোগ ওঠে, সাসপেনশন হয়, দলবদল ঘটে, শেষে খালাস।
  • প্রভাব: জনমতের স্মৃতি টিকে থাকে, রাজনৈতিক বয়ান বদলায়।
  • পাঠ: আদালত প্রমাণ চায়, রাজনীতি আবহ তৈরি করে।

প্রধান কেলেঙ্কারি: লুইস বার্জার থেকে সরধা স্ক্যাম

এই অধ্যায়ে তিনটি বহুচর্চিত কেসের সারসংক্ষেপ, অভিযোগের পরিধি, তদন্তের গতি, আর সংশ্লিষ্ট প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হলো। তথ্যভিত্তিক থাকা জরুরি, তাই প্রতিটি কেসে আমরা নথি, তারিখ এবং প্রকাশ্য বিবৃতির সূত্র ধরে এগোবো। যেখানে অভিযোগ, সেখানে অস্বীকারও আছে। ফলাফল স্পষ্ট হলে বলা হবে, আর যেখানে ঝুলে আছে, সেটিও পরিষ্কার করব।

নিচের টেবিলে মূল তিন কেসের দ্রুত ছবি দেখুন, এরপর বিস্তারিত:

কেস বছর মূল অভিযোগ তদন্তের অগ্রগতি ফলাফল শর্মার অবস্থান
লুইস বার্জার 2015 গুয়াহাটি পানি প্রকল্পে 9.76 লক্ষ ডলার ঘুষ CBI অনুসন্ধান ধীর, ফাইল নিখোঁজ ইস্যু দায় নির্ধারণ অনিষ্পন্ন তিনি অস্বীকার করেন
সরধা 2014 3 কোটি এবং মাসিক 20 লাখ, প্রভাব খাটানো CBI রেইড, 8 ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ চার্জশিটে নাম নেই তিনি এটিকে রাজনৈতিক চক্রান্ত বলেন
টেরর ফান্ডিং 2009 স্বাস্থ্য তহবিল সিফন করে অর্থপাচার তদন্তের পরিধিতে তিনি ছিলেন না আইনি পদক্ষেপ হয়নি তিনি অভিযোগ মানেন না

লুইস বার্জার ঘুষকাণ্ডের বিস্তারিত

US কোর্ট ডকুমেন্টস অনুযায়ী, মার্কিন কোম্পানি Louis Berger এশিয়ার কয়েকটি পানি প্রকল্পে ঘুষ দিয়েছিল। সেই তালিকায় গুয়াহাটি পানি সরবরাহ প্রকল্পও ছিল, যেখানে মোটামুটি 9.76 লক্ষ ডলার ঘুষের উল্লেখ আসে। অর্থের অঙ্ক, তারিখ এবং কনসালট্যান্সি ব্যয়ের ছদ্মবেশে ঘুষ চালানের বয়ান এই ডকুমেন্টসে ধরা পড়ে।

এই সময়সীমায় হিমন্ত বিশ্ব শর্মা গুয়াহাটি ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের দায়িত্বে ছিলেন। প্রকল্প অনুমোদন, রিলিজ, আর টেন্ডার-সম্পর্কিত ফাইল চলাচল সেই দপ্তরের মধ্য দিয়ে গেছে। সরকারি নথির রেফারেন্সে উঠে আসে আরেকটি গুরুতর প্রশ্ন, 2011 সাল থেকে প্রকল্প-সংক্রান্ত কিছু ফাইল নিখোঁজ বলে প্রশাসনিক রেকর্ডে নোট করা হয়। ফাইল গায়েব হলে দায় ঠিক করা কঠিন হয়ে যায়, তদন্তও ধীর হয়।

2015 সালে BJP একটি বুকলেট প্রকাশ করে যেখানে এই প্রকল্পে প্রভাব খাটানো, আর্থিক অসঙ্গতি এবং ঘুষের অভিযোগ তুলে ধরা হয়। বুকলেটের দাবি তাতে স্পষ্ট, কিন্তু সেটি রাজনৈতিক নথি, তাই প্রমাণের বিষয়টি আদালত ও তদন্ত সংস্থার ওপরই থাকে।

তদন্তের অবস্থা সংক্ষেপে:

  • US কোর্ট ডকুমেন্টস ঘুষের চালানের রূপরেখা দেয়, 9.76 লক্ষ ডলার উল্লেখ থাকে।
  • CBI প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করে, কিন্তু অগ্রগতি ধীর, দায়ী ব্যক্তির নাম চূড়ান্ত করতে পারেনি।
  • 2011 থেকে ফাইল নিখোঁজ অভিযোগে প্রক্রিয়া জটিল হয়, সিদ্ধান্তে পৌঁছানো কঠিন থাকে।
  • হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন, বলেন কোনো বেআইনি সিদ্ধান্ত হয়নি।

মূল পাঠ: নথি এবং ফাইল ছাড়া ঘুষের চক্র প্রমাণ কঠিন। অভিযোগ আছে, কিন্তু দায় নির্ধারণ এখনো অনিষ্পন্ন।

সরধা পনজি স্কিম এবং CBI জিজ্ঞাসাবাদ

সরধা স্ক্যাম প্রকাশ্যে আসার পর, গ্রুপের প্রধান সুদীপ্ত সেন একটি চিঠিতে আসামের রাজনীতিতে অর্থ দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। চিঠিতে 3 কোটি টাকা এবং মাসিক 20 লাখের দাবি উঠে। উদ্দেশ্য ছিল প্রভাব, সুরক্ষা এবং মিডিয়া কাভারেজ বাড়ানো। এই চিঠিই তদন্তের প্রথম সূত্র হয়ে ওঠে।

2014 সালে CBI গুয়াহাটিতে রেইড চালায় এবং হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে প্রায় 8 ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে। সে সময় তিনি কংগ্রেসে ছিলেন। তদন্তে তাঁর কাছ থেকে প্রকল্প, বিজ্ঞাপন, আর্থিক লেনদেন এবং যোগাযোগের খাতার তথ্য চাওয়া হয়। জেরা শেষে কোনো গ্রেপ্তার বা সিজার হয়নি।

তিনি প্রকাশ্যে বলেন, এটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। পরে তিনি BJP-তে যোগ দেন। তদন্তের ধাপে আর কোনো নতুন সমন তাঁর নামে আসে না। মামলার গায়ে ধুলো জমে, ফাইল সামনে এগোয় না।

অবস্থা বোঝার জন্য কয়েকটি পয়েন্ট:

  • সুদীপ্ত সেনের চিঠি অভিযোগের ভিত্তি, 3 কোটি এবং মাসিক 20 লাখের বয়ান।
  • 2014, CBI রেইড এবং দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ, কিন্তু গ্রেপ্তার নয়।
  • BJP-তে যোগদানের পর তাঁর নামে নতুন সমন জারি হয়নি।
  • বর্তমান পর্যন্ত চার্জশিটে তাঁর নাম নেই, তিনি অভিযোগ মানেন না।

শেষ কথা: সরধা কেসে চিঠি আছে, জেরা আছে, কিন্তু আদালতে টেকার মতো প্রমাণ এখনো সামনে আসেনি।

বড় ছবিটি সম্পূর্ণ করতে ছোট নোট

  • টেরর ফান্ডিং স্ক্যাম, 2009: মিডিয়া রিপোর্টে অভিযোগ ছিল স্বাস্থ্য বিভাগের তহবিল সিফন করে উগ্রপন্থী চক্রে অর্থ গেছে। এই মামলার অনুসন্ধানে তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কোনো আইনি পদক্ষেপ তাঁর বিরুদ্ধে হয়নি। তিনি এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেন।

সাম্প্রতিক অভিযোগ: PPE কিট থেকে ফ্লাইওভার উদ্বোধন

কোভিডের তীব্র সময় থেকে শুরু করে পরের দুই বছরে, ক্রয়, টেন্ডার এবং প্রকল্প উদ্‌যাপন নিয়ে প্রশ্ন থামেনি। PPE কিট, ফ্লাইওভার উদ্বোধন, আর সাম্প্রতিক ভর্তুকি ও ভূমি বরাদ্দ, সব কিছুর ভেতরে একটাই সুর, দরপত্রের নিয়ম মানা হয়েছে কি না। শর্মা পরিবার অভিযোগ অস্বীকার করেছে, আগের কেসে খালাসের উদাহরণও দেখিয়েছে। তবু নতুন নথি, নতুন সংখ্যা, আর বিরোধী শিবিরের PIL প্রস্তাব এই অধ্যায়কে আবার সামনে টানে। নিচে দুটি আলোচিত অংশ, দুটি ঘটনায় নির্দিষ্ট প্রশ্ন।

PPE কিট সাপ্লাইয়ের অস্বাভাবিক অর্ডার

২০২০ সালের প্রথম ঢেউ, হাসপাতাল ঠাসা, ডাক্তাররা ভয় আর ক্লান্তিতে কাঁপছে। এই সময় স্বাস্থ্য বিভাগ PPE কিটের অর্জেন্ট অর্ডার তোলে, রেট নির্ধারণ হয় কিটপ্রতি ৯৯০ টাকা। অভিযোগ ওঠে, এই কাজ পায় JCB নামে একটি প্রতিষ্ঠান, যার স্বাস্থ্য সরঞ্জাম সাপ্লাইয়ের পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে শর্মা পরিবারের যোগসূত্র নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।

অর্ডারের পর আরেকটি গুরুতর বিষয় সামনে আসে। সম্পূর্ণ সরবরাহ হয়নি, কেবল অংশবিশেষ ডেলিভারি হয়, আর বাকি অংশ দিতে প্রতিষ্ঠানটি অস্বীকার করে বলে অভিযোগ। জরুরি সময়ের এমন ব্যত্যয় সরাসরি চিকিৎসা নিরাপত্তায় আঘাত করেছিল। মহামারির দিনে প্রতিটি কিট জীবনরক্ষার সমান, তাই অনেকে এটিকে নৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যর্থতা হিসেবে দেখেন।

কেন বিতর্ক ঘনীভূত হলো:

  • রেট ৯৯০ টাকা, অর্জেন্ট মোডে স্যাংশন, তুলনামূলক দরপত্রের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন।
  • JCB-এর অভিজ্ঞতার অভাব, স্বাস্থ্য পণ্যের মান ও সাপ্লাই সক্ষমতা নিয়ে শঙ্কা।
  • অসম্পূর্ণ ডেলিভারি, বকেয়া অংশে সরবরাহ অস্বীকারের অভিযোগ।
  • সময়টি ছিল কোভিডের চূড়া, তাই ঝুঁকি ছিল বাস্তব আর তীব্র।

শর্মা পক্ষ বলেছে, সব নিয়ম মেনে কাজ হয়েছে এবং কোনো বেআইনি সুবিধা দেওয়া হয়নি। তবে যে প্রশ্নগুলো উঠেছে, সেগুলো এখনো জনচর্চায় জ্বলজ্বল করে।

ফ্লাইওভার উদ্বোধনের অর্থনৈতিক অনিয়ম

২০২১ সালে একটি ফ্লাইওভার উদ্বোধনে ৪৫ লক্ষ টাকা খরচ দেখানো হয়। অভিযোগের মূল কথা, প্রকল্পের টেন্ডার অনুষ্ঠিত হয় উদ্বোধনের পাঁচ মাস পরে, আর সাত মাস পরে জারি হয় ওয়ার্ক অর্ডার। অর্থাৎ যে কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুই হয়নি, তার আগে উদ্বোধন, আবার বড় অঙ্কের অনুষ্ঠান ব্যয়। নীতি ও সময়রেখার এই অসামঞ্জস্য রাজ্যজুড়ে বিতর্ক তোলে।

বিডিং প্রক্রিয়াতেও নতুন প্রশ্ন আসে। Dreams A-Maze নামে যে কোম্পানিকে কাজ দেওয়া হয়, সেটির সঙ্গে শর্মা পরিবারের ফ্যামিলি লিঙ্কের অভিযোগ ওঠে। বিডে অংশ নেওয়া কিছু প্রতিষ্ঠানের ঠিকানাও নাকি একই, যা প্রতিযোগিতার প্রকৃত স্বরূপ নিয়ে সন্দেহ বাড়ায়। আরও এক ধাপে নাম আসে ভাস্কর শর্মার, মালিকানা ও অংশীদারির সূত্রে পারিবারিক প্রভাবের অভিযোগ ঘিরে তাকে টানা হয় আলোচনায়।

দ্রুত বোঝার জন্য নিচের সময়রেখা দেখুন:

বিষয় উল্লেখিত ঘটনা
উদ্বোধনের খরচ ৪৫ লক্ষ টাকা
টেন্ডার উদ্বোধনের ৫ মাস পরে
ওয়ার্ক অর্ডার টেন্ডারের ৭ মাস পরে
কোম্পানি লিঙ্ক Dreams A-Maze, ফ্যামিলি সংযোগের অভিযোগ
বিডারদের ঠিকানা একাধিক বিডারের একই ঠিকানা উল্লেখের অভিযোগ
মালিকানার প্রসঙ্গ ভাস্কর শর্মার নাম আলোচনায়

এই কাঠামো জনস্বার্থে স্বচ্ছতা প্রশ্নে টান দেয়। অনুষ্ঠান আগে, কাজ পরে, আর পরিবার-ঘনিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নাম, সব মিলে স্বার্থসংঘাতের ছায়া ঘন হয়। শর্মা পক্ষ দাবি করে, সব নিয়ম মানা হয়েছে, অভিযোগ রাজনৈতিক।

প্রাসঙ্গিক বর্তমান ছবি পরিষ্কার করতে একটি নোট। রিনিকি ভুয়ান শর্মার কোম্পানি নিয়ে ১০ কোটি টাকার ভর্তুকি এবং ভূমি আইন লঙ্ঘন অভিযোগ এখন শোনা যাচ্ছে। কংগ্রেস এই বিষয়ে PIL দাখিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে। শর্মারা অভিযোগ অস্বীকার করেছে, তাদের বক্তব্য, আগেও যেমন, আইনে তারা জয়ী হবে। পাঠকের জন্য প্রশ্ন একটাই, নথি, তারিখ আর টেন্ডারের সিঁড়ি ধরলে ছবিটা কতটা টিকে থাকে।

শর্মার প্রতিক্রিয়া এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনা

এই অধ্যায়ে আমরা দেখব শর্মা কীভাবে অভিযোগের মুখে প্রতিক্রিয়া দেন, কী ভাষা বেছে নেন, আর রাজনীতির ঢেউ পেরোতে কোন কৌশল নেন। আইনি অবস্থাও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আদালতই শেষ কথা বলে। সামনে কংগ্রেসের সম্ভাব্য PIL নতুন অধ্যায় খুলতে পারে। প্রশ্নটি সোজা, ঝড় থামবে, না কি আরও গাঢ় হবে।

প্রকাশ্যে শর্মার বয়ান: দ্বিধাহীন অস্বীকার

শর্মা অভিযোগ উঠলেই সোজা ভাষায় বলেন, তিনি কিছু ভুল করেননি। টেলিভিশন ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে তার বক্তব্য স্থির থাকে। তিনি বলেন, নথি দেখাতে হবে, তবেই কথা হবে। এই দ্বিধাহীন অস্বীকার সমর্থকদের আত্মবিশ্বাস দেয়, বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়।

তার ভঙ্গি সাধারণত আক্রমণাত্মক। প্রশ্ন ঘোরাতে চান না, বরং প্রশ্নই করেন, কোথায় প্রমাণ। তিনি নিজের কাজকে নীতি মেনে করা বলে দাবি করেন। এই ধারাবাহিকতা দীর্ঘদিন ধরে দেখা গেছে।

নৌকার চালকের মতো ঝড় পার করা

রাজনীতির নদী শান্ত থাকে না। শর্মা নিজেকে নৌকার চালকের মতো দেখাতে চান। ঢেউ উঠলে হাল শক্ত করেন, খালাস এবং নথির ঘাটতির রায়কে ঢালের মতো ব্যবহার করেন। মিডিয়ার তাপ যখন বাড়ে, তিনি বার্তা, সংখ্যা, সময়রেখা এগিয়ে রাখেন, যেন পথ দেখা যায়।

এই কৌশল তিনটি স্তম্ভে দাঁড়িয়ে আছে:

  • আইনের মঞ্চে প্রমাণের অভাব দেখানো
  • প্রশাসনিক কাজের গতি ও প্রকল্পের ফলাফল তুলে ধরা
  • রাজনৈতিক মিত্রদের একজোট রাখা

এভাবে ঝড় এলেও নৌকা ভেসে থাকে, এমন ছবিই তিনি আঁকেন।

আইনি অবস্থা: প্রমাণ না থাকলে মামলা দাঁড়ায় না

এ পর্যন্ত আলোচিত কেসগুলোর কোনোটিই আদালতে প্রমাণিত হয়নি। কোথাও কেস ডায়েরি নিখোঁজ, কোথাও চার্জশিটে নাম নেই, কোথাও প্রাথমিক অনুসন্ধান থেমে আছে। ফৌজদারি মামলায় প্রমাণই মূল। তাই আইনগতভাবে তিনি আজও খালাসের সুরক্ষা পান।

এটি তার রাজনৈতিক বয়ানের ভিত্তি তৈরি করে। তিনি বলেন, অভিযোগ আছে, কিন্তু নথি নেই। এই বিভাজন জনমতকে দুই ভাগে রাখে, তবে আইনের কাগজে তিনি এগিয়ে।

কংগ্রেসের PIL ভাবনা: নতুন দ্বার, পুরনো প্রশ্ন

সাম্প্রতিক ভর্তুকি ও ভূমি সংক্রান্ত বিতর্কে কংগ্রেস PIL দাখিলের কথা বলছে। আদালতে নতুন আবেদন মানে নতুন সময়সীমা, নতুন নথি, আর সংবাদমাধ্যমে নতুন চক্র। যদি PIL গ্রহণ হয়, তদন্তের গতি বাড়তে পারে। যদি না হয়, রাজনৈতিক আখ্যানেই তা থেকে যাবে।

এখানে দুটি পথ খোলা:

  • PIL গ্রহণ, নথির যাচাই, জবাবদিহি বাড়বে
  • PIL খারিজ, শর্মা বলবেন অভিযোগ টিকল না

উভয় ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক হাওয়া বদলাতে পারে, কারণ আদালত ঘিরে আলোচনা ঘনীভূত হয়।

রাজনৈতিক প্রভাব: ইমেজ, জোট, ভোটব্যাংক

অভিযোগ শুনলে মানুষ ক্লান্ত হয়, কিন্তু ইমেজ বদলায়। শর্মা প্রশাসনিক ফল দেখাতে পারলে সমর্থন টিকে থাকে। প্রকল্প, সড়ক, হাসপাতাল, এইগুলো প্রচারে সামনে আসে। বিরোধীরা তখন স্বার্থসংঘাত ও টেন্ডারের প্রশ্ন তোলে।

জোট রাজনীতিতে তিনি এখনো শক্ত হাতে দলকে ধরে রেখেছেন। সংগঠনের গতি, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আস্থা, আর মাঠপর্যায়ের নেটওয়ার্ক তাকে সুবিধা দেয়। ভোটব্যাংকে প্রভাব মাপা যায় স্থানীয় নির্বাচনে। বিতর্কের সময়েও তাঁর শিবিরে ভাঙন বড় আকারে দেখা যায়নি।

একটি সংক্ষিপ্ত ছবি:

  • ইমেজ ম্যানেজমেন্ট: ফলাফল বনাম অভিযোগ
  • সংগঠন: মিত্রদের ধরে রাখা
  • মিডিয়া রূপরেখা: দ্রুত বার্তা, স্পষ্ট বয়ান

সামনে কী: সম্ভাবনা ও ঝুঁকি

ভবিষ্যতে তিনটি সম্ভাবনা বড় ভূমিকা নেবে। প্রথমত, আদালতে নতুন কোনো নির্দেশ এলে তদন্ত ঘুরে দাঁড়াতে পারে। দ্বিতীয়ত, প্রশাসনিক নথি প্রকাশ হলে জনধারণা বদলাতে পারে। তৃতীয়ত, নির্বাচনী সময়রেখা অভিযোগগুলিকে নতুন জোর দিতে পারে।

ঝুঁকিও স্পষ্ট:

  • নতুন নথি এলে চাপ বাড়বে
  • প্রকল্পে নীতি ভঙ্গ ধরা পড়লে ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে
  • পরিবার-লিঙ্কের প্রশ্ন আনুষ্ঠানিক তদন্তে গেলে রক্ষণাত্মক হতে হবে

একসঙ্গে সম্ভাবনাও আছে। যদি আদালতে কিছুই না টিকে, তিনি আগের মতোই বলবেন, অভিযোগ রাজনীতির তৈরি।

শেষ কথায় নিরপেক্ষ অবস্থান

তথ্যের মাপকাঠি বলছে, এখন পর্যন্ত কোনো কেস প্রমাণিত হয়নি। রাজনৈতিক মঞ্চ বলছে, অভিযোগের তালিকা লম্বা। শর্মা পাল্টা বয়ান দেন, নথি চান, এবং সংগঠনকে সক্রিয় রাখেন। PIL হলে নতুন দরজা খুলবে, না হলে পুরনো প্রশ্নই ঘুরে আসবে। পাঠক হিসেবে আপনার কাছে প্রমাণ, সময়রেখা, এবং ফলাফলের চেইনটাই আসল মানদণ্ড হওয়া উচিত।

Conclusion

এই নটি কেসে মূল সুর একই, অর্থ, টেন্ডার, প্রভাবের প্রশ্ন বারবার ফিরে আসে। কোথাও কেস ডায়েরি হারানো, কোথাও চার্জশিটে নাম না থাকা, দায় অনিষ্পন্ন, তবু Louis Berger, Saradha, PPE আর ফ্লাইওভার, সবই জনমনে প্রশ্ন রেখে যায়, আর আদালতে প্রমাণের ঘাটতি শর্মাকে আইনি ঢাল দেয়।

ফলাফল, তিনি শক্ত সংগঠক হিসেবে টিকে আছেন, তবু অভিযোগের ছায়া আসাম রাজনীতিতে মেরুকরণ, জোটের হিসাব আর ভোটের আচরণে চাপ বাড়ায়। এখন সেরা পথ, নথি, তারিখ, টেন্ডার ধারায় চোখ রাখুন, শান্ত মনে মত গড়ুন, আপনার ভাবনা শেয়ার করুন, সত্যভিত্তিক আলোচনাই আমাদের শক্তি।

Click here