রাহুলের অভিযোগ, হিমন্তের দুর্নীতি ও জমি লুট, জেল অপেক্ষা | অসম ২০২৬, ২০২৫ আপডেট

রাহুলের অভিযোগ, হিমন্তের দুর্নীতি ও জমি লুট, জেল অপেক্ষা | অসম ২০২৬, ২০২৫ আপডেট

Estimated reading time: 1 minutes

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

রাহুলের অভিযোগ: দুর্নীতিতে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জেলে (অসম, ২০২৬)

১৬ জুলাই ২০২৫, চায়গাঁওয়ে কংগ্রেস কর্মীদের সভায় রাহুল গান্ধী সোজাসাপটা বার্তা দেন। তিনি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে দুর্নীতিজমি হাতানোর অভিযোগে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, কংগ্রেস নয়, অসমের মানুষই তাকে জবাব দেবে, জেলও দেখাবে।

তার অভিযোগ, উন্নয়নের নামে সাধারণ মানুষের জমি নেওয়া হচ্ছে, কৃষক ও শ্রমিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত। রাস্তাঘাট খারাপ, ঋণের বোঝা বেড়েছে, অথচ সরকারের ভাষণ আলাদা। এই ক্ষোভই ভোটে কথা বলবে, এমন ইঙ্গিত স্পষ্ট।

তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেন, ২০২৬-এর নির্বাচনে বিজেপি হারলে, মুখ্যমন্ত্রীর জন্য জেল অপেক্ষায়। এই লড়াই শুধু দলীয় নয়, অসমের মর্যাদা, জমি, আর যুবসমাজের ভবিষ্যৎ নিয়েই। থাকুন সঙ্গে, পুরো ঘটনাপ্রবাহ আর প্রভাব বিশ্লেষণ থাকছে সামনে। ভিডিও দেখুন:

রাহুলের কঠোর অভিযোগ: জমি লুট এবং দুর্নীতির অন্ধকার ছায়া

রাহুল গান্ধীর ভাষণ ছিল তীব্র, সরাসরি, এবং কাঁপিয়ে দেওয়া। তিনি অভিযোগ করেছেন, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং তার পরিবারের ছত্রচ্ছায়ায় গরিবদের জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, তারপর তা বড় কর্পোরেটের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। সোলার পার্ক, রিসোর্ট, স্মার্ট প্রকল্পের নামে নাকি হাজার হাজার একর জমি হাতবদল। এই অভিযোগের সুর প্রতিধ্বনিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমেও, যেখানে শর্মার পাল্টা জবাব উঠে এসেছে। প্রাসঙ্গিক প্রতিবেদন দেখুন, NDTV-র এই রিপোর্টে দাবি এবং পাল্টা দাবির সার তুলে ধরা হয়েছে।

রাহুলের ভাষায়, ভারতের বন, বায়ু, জল এবং জমি কয়েকজন শিল্পপতির হাতে বিক্রি হচ্ছে। নাম উঠে এসেছে Adani, Ambani, Ramdev-এর মতো প্রভাবশালীদের। তার বক্তব্য, অসমের যুবক, কৃষক, আর দৈনিক মজুররা এই অবিচারের জবাব দিতে প্রস্তুত। তারা বিচার চায়, জবাবদিহি চায়, আর জেল দেখতে চায়।

অসমের উচ্ছেদ অভিযান: গরিবদের ক্ষতি কতটা?

উচ্ছেদ অভিযান মানে শুধু ঘর ভাঙা নয়, জীবন ভেঙে পড়া। রাহুলের অভিযোগ, প্রশাসন চাপে চালানো এই অভিযান গরিবদের টার্গেট করছে। আশ্রয়হীন পরিবার, স্কুল পড়ুয়া বাচ্চা, গর্ভবতী নারী, দিনমজুর, সবার মাথায় এখন অনিশ্চয়তার কালো মেঘ।

যেখানে এই উচ্ছেদের প্রভাব দেখা গেছে, সেখানে ছবি ভয়াবহ। কাঁদতে কাঁদতে ভিটেমাটি ছাড়তে হয়েছে বহু পরিবারকে। একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনে এই মানবিক বিপর্যয়ের বর্ণনা আছে, আগ্রহী হলে পড়ে দেখুন, Peoples Democracy-র রিপোর্টে উচ্ছেদের পেছনের বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে।

এই ক্ষতির মাত্রা বোঝাতে কয়েকটি উদাহরণ যথেষ্ট:

  • চাষের জমি হারানো: বোরো ও আমন মৌসুমে কৃষকরা ঋণ শোধই করতে পারে না, বীজ ও সার জোগাড় হয় না।
  • জীবিকা ভেঙে যাওয়া: দৈনিক মজুররা কাজ বা ঠিকাদারি সাইটে পৌঁছাতে পারে না, কারণ নতুন জায়গায় বাসা ভাড়া নেওয়া অসম্ভব।
  • শিক্ষা থেমে যাওয়া: উচ্ছেদের পর শিশুদের স্কুল বদলাতে হয়, অনেকেই পড়া ছেড়ে দেয়।
  • স্বাস্থ্য বিপর্যয়: টিউবওয়েল, বিদ্যুৎ, স্যানিটেশন হারিয়ে অসুস্থতা বাড়ে, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে।
  • আইনি অনিশ্চয়তা: পাট্টা বা কাগজপত্রের ঝামেলায় মানুষ হেরে যায়, মামলা লড়ার খরচ জোগাতে পারে না।

রাহুলের বক্তব্য, সোলার পার্ক বা রিসোর্টের নামে যে জমি খালি করা হচ্ছে, সেই জমিই পরে কর্পোরেট প্রকল্পে যাচ্ছে। এই নকশা গরিবদের বাস্তুচ্যুত করে, আর মুষ্টিমেয়ের লাভ নিশ্চিত করে। শেষ পর্যন্ত হারছে কৃষি, হারছে স্থানীয় অর্থনীতি, আর কমে যাচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তা।

শর্মার পরিবার এবং দুর্নীতির গভীরতা

রাহুল স্পষ্ট বলেছেন, শর্মা এবং তার পরিবারের দুর্নীতির দায়ে জেল হওয়া উচিত। তার দাবি, ক্ষমতার নেটওয়ার্ক তৈরি করে সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ঘনিষ্ঠ গোষ্ঠীর কাছে। লাইসেন্স, কনট্রাক্ট, জমির লিজ, সবখানেই পক্ষপাতের চিহ্ন। তিনি আরও কটাক্ষ করেছেন, টিভি পর্দায় নাকি শর্মার চোখে ভয় দেখা যায়। এই ভাষা নরম নয়, লড়াইয়ের ভাষা।

রাজনীতির মাঠে এর প্রভাব বড়। বিজেপি সমর্থক ঘাঁটিতেও প্রশ্ন উঠছে, উচ্ছেদ আর জমি নীতির লাভ কারা পেল। কংগ্রেস শিবিরে উচ্ছ্বাস, কারণ মাঠে ইস্যু স্পষ্ট। শাসকের পাল্টা বক্তব্য তীব্র, কিন্তু রাস্তায় ক্ষোভ জমছে। এই টানাপোড়েনে ২০২৬-এর ভোট হবে আগুন গরম। জনগণ হিসাব চাইবে, আর প্রতিটি উচ্ছেদ, প্রতিটি জমি চুক্তি ভোটবাক্সে বিচার পাবে।

২০২৬ নির্বাচনের ভবিষ্যৎ: কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতি এবং বিজেপির ভয়

রাহুল গান্ধীর ভবিষ্যদ্বাণী এখন রাজনীতির প্রধান আলোচ্য। তিনি বলছেন, ২০২৬-এ অসমে কংগ্রেস জিতবে, বিজেপির হিংসা আর ঘৃণার রাজনীতি হার মানবে। মাটিতে কাজ হচ্ছে, মানুষের ভরসা ফিরে আসছে, আর এটাই বিজেপির সবচেয়ে বড় ভয়।

গৌরব গগৈ মাঠে দৌড়চ্ছেন, দলীয় সংগঠন নতুনভাবে সাজাচ্ছেন। মণ্ডল স্তরে ওয়ার রুম, বুথে বুথে ডাটা টিম, স্থানীয় ইস্যুতে শোনা আর প্রতিশ্রুতির মিল, সব একসাথে ঘটছে। যুবদের চাকরি, জমির নিরাপত্তা, স্বচ্ছ টেন্ডার, এই চার স্তম্ভে প্রার্থী তালিকা ও প্রচারপত্র প্রস্তুত হচ্ছে।

মল্লিকার্জুন খাড়গে সরাসরি বলেছেন, অসমে মানুষ ন্যায় চায়, দম্ভ নয়। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দুর্নীতির ফাইল খুলবে, জমি বেহাতের চক্র ভাঙবে, আর উন্নয়ন পৌঁছাবে গ্রামে গ্রামে। এই সুরেই কর্মীদের মনোবল চড়া, প্রচারে গতি, আর ভোটে নতুন সমীকরণ তৈরি হচ্ছে।

মানুষ পরিবর্তন চায়, এটি আজ স্পষ্ট। বাজারদর, চাকরি, জমি আর শান্তি, এই চারটিতেই ক্ষোভ জমেছে। বার্তা পরিষ্কার, ২০২৬-এ ভোট হবে আশার পক্ষে, ভয় আর বিদ্বেষের বিপক্ষে।

ভোটার তালিকায় ষড়যন্ত্র: অসমেও হবে কি?

রাহুল গান্ধী সতর্ক করেছেন, ভোটার তালিকা ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা হতে পারে। অভিযোগ নতুন নয়, অন্য রাজ্যেও এমন প্রশ্ন উঠেছে। মহারাষ্ট্রে ভোটার সরানো, বহিরাগতকে নাম জুড়ে দেওয়া, এসব নিয়ে একাধিক বিতর্ক হয়েছে। এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ভুয়া ভোটার আনার অভিযোগও প্রকাশ্যে এসেছে, যা ভোটের সুষ্ঠুতা নিয়ে সন্দেহ বাড়ায়। প্রাসঙ্গিক তথ্যের জন্য দেখুন, The Indian Express এ মহারাষ্ট্রের বিতর্কিত ভোটার আনার অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে।

বিহারেও ভোটার তালিকা নিয়ে বিরোধ দেখা গেছে। নির্বাচনের আগে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষের নাম বাদ যাওয়ার অভিযোগ ওঠে, যা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো সরব হয় এবং স্বচ্ছতার দাবি তোলে। এ নিয়ে সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে বিস্তারিত রয়েছে, পড়ে দেখুন, The New Indian Express এ বিহারে লক্ষ্যভিত্তিক নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে আলোচনা আছে।

অসমের ক্ষেত্রেও সজাগ থাকা জরুরি, তবে বিচার হোক তথ্যভিত্তিক। নির্বাচন কমিশন নিয়ম মানার দায়ে আছে, নাগরিকদেরও দায়িত্ব রয়েছে নিজের নাম ঠিক আছে কি না তা দেখে নেওয়ার। এখনই যা করবেন:

  • নিজের এবং পরিবারের ভোটার আইডির তথ্য মিলিয়ে দেখুন, বানান, বয়স, ঠিকানা সব যাচাই করুন।
  • পাড়ার বুথ লেভেল অফিসারকে জানুন, সমস্যা হলে সরাসরি যোগাযোগ করুন।
  • নাম না থাকলে দ্রুত ফর্ম জমা দিন, প্রাপ্তি রসিদ রাখুন।
  • রাজনৈতিক রঙ না দেখে, দপ্তরি প্রক্রিয়া মেনে লিখিত অভিযোগ করুন।

এটা দলীয় স্বার্থের বিষয় নয়, নাগরিক অধিকার রক্ষার বিষয়। সবাই সজাগ থাকলে কোনো চক্রান্ত টিকবে না। ২০২৬-এ অসম নিজের ভবিষ্যৎ নিজেই লিখবে, আর সেই কলম আপনার হাতে।

শর্মার প্রত্যুত্তর: রাহুলের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ

হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মঞ্চে যেমন তীক্ষ্ণ, সোশ্যাল মিডিয়াতেও ততটাই সরাসরি। রাহুলের দুর্নীতির অভিযোগের পর তিনি ঝড় তুলেছেন পোস্টে আর বক্তব্যে। শর্মার দাবি, রাহুল গান্ধী নিজেই ন্যাশনাল হেরাল্ডসহ একাধিক মামলায় বেল নিয়ে ঘুরছেন, তাই নীতিকথা শোনালে তা গ্রহণযোগ্য নয়। মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, দেশে নাকি বহু জেল গান্ধী পরিবারের জন্য অপেক্ষায় আছে। প্রাসঙ্গিক কভারেজ দেখুন, India Today এ শর্মার পাল্টা বক্তব্যের সারসংক্ষেপ

অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত টানাপোড়েন এতটাই বেড়েছে যে ব্যক্তিগত আক্রমণ রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু। শর্মা রাহুলকে কখনো কখনো আন্টি-ইন্ডিয়া বলে আখ্যা দেন, কংগ্রেসকে অভিযুক্ত করেন বাংলাদেশি মুসলিমদের রাজনৈতিকভাবে আশ্রয় দেওয়ার জন্য। এই অভিযোগের প্রেক্ষাপট ও পাল্টা দাবি নিয়ে বিশ্লেষণ পড়তে পারেন, The Wire এ বিতর্কিত মন্তব্য ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়েছে।

দুই নেতার শত্রুতা নতুন নয়। শর্মা একসময় কংগ্রেসেরই শক্তিশালী সংগঠক ছিলেন, পরে বিজেপিতে যোগ দিয়ে ন্যারেটিভ বদলে দেন। কংগ্রেস বলে, তিনি ক্ষমতায় থেকে প্রশাসনকে দলীয় এজেন্ডায় কাজে লাগান। শর্মার জবাব, রাহুল মিথ্যা প্রচার করেন এবং উচ্ছেদ, অবৈধ দখল, আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে মানুষকে উসকে দেন। এই সামনে-পেছনে আক্রমণেই ২০২৬-এর লড়াই আরও উত্তপ্ত।

দুই নেতার বিতর্ক: কে জিতবে জনমত?

কঠিন প্রশ্ন, সহজ উত্তর নেই। তবু কয়েকটি স্রোত স্পষ্ট।

  • পরিচয় রাজনীতি বাড়বে: শর্মার বক্তব্যে জাতীয়তাবাদ, অনুপ্রবেশ, আইনশৃঙ্খলা শক্ত হুক হিসেবে কাজ করে। সীমান্ত, NRC, দখলমুক্তি, এসব শব্দ ভোটারে তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া তোলে। এতে বিজেপির কোর বেস দৃঢ় হয়।
  • দুর্নীতি বনাম স্থিতিশীলতা: রাহুলের ফোকাস দুর্নীতি, জমি, কর্পোরেটিকরণের দিকে। চাকরি আর জমির নিরাপত্তা নিয়ে তরুণ ও কৃষক ভোটার টানতে পারে। শাসক শিবির পাল্টা হিসেবে স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগ, অবকাঠামোর কথা বলবে।
  • সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক ভোট: কড়া ভাষার পর সংখ্যালঘু ভোট আরও কংগ্রেসমুখী হতে পারে। তবে ভয় বা বিভাজন রাজনীতির আশঙ্কা থাকলে ভোটাররা নীরব কৌশল বেছে নেয়, শেষ সপ্তাহে হিসাব বদলাতে পারে।
  • টি-ট্রাইব, চা-বাগান শ্রমিক, নদীভাঙনের এলাকা: স্থানীয় ইস্যু বেশি কাজ করে। রাস্তাঘাট, হাসপাতাল, রেশন, পাট্টা, এগুলোতেই ভোট ঠিক হয়। যিনি মাঠে বেশি শুনছেন, তিনি লাভবান।

আপনি কী ভাবছেন, অসমে মূল প্রশ্ন কোনটি হবে, পরিচয় নাকি পকেটের হিসাব? জনমত গঠনে কয়েকটি সূত্র সামনে রাখুন:

  1. সোশ্যাল মিডিয়ার শব্দ বেশি, মাঠের কথাই শেষ কথা। বুথভিত্তিক সংগঠন সুর ঠিক করে।
  2. নেতার ভাষণ নয়, পরিবারে আয়ের ধাক্কা ভোট টানে। বেকারত্ব আর মূল্যবৃদ্ধি নীরব ঢেউ তোলে।
  3. উচ্ছেদ আর পুনর্বাসন একই ফ্রেমে দেখুন। ঘর হারানো পরিবার ভোটের দিন ভুলে না।
  4. তদন্ত, মামলা, বেল, এগুলো আবেগ তোলে, কিন্তু প্রমাণ ও প্রশাসনিক সাফল্য চূড়ান্ত প্রভাব ফেলে।

গরম ভাষা শিরোনাম বানায়, ঠান্ডা তথ্য ভোট বানায়। শর্মা যখন রাহুলকে প্রশ্নে কোণঠাসা করতে চান, রাহুল তখন দুর্নীতির ফাইল দেখাতে চান। শেষ কথা বলবে গ্রাম সভা, বাজারের আড্ডা, চা-দোকানের তর্ক। এখানেই জনমত জিতে বা হারে।

Conclusion

রাহুল গান্ধী দুর্নীতি, আত্মীয়পোষণ এবং জমি হাতানোর অভিযোগ তুলেছেন, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তা তীব্রভাবে অস্বীকার করেছেন। একপক্ষ ন্যায় ও জবাবদিহি চায়, অন্যপক্ষ অভিযোগকে কুৎসা বলে উড়িয়ে দেয়। এই টানাপোড়েনেই ২০২৬-এর অসম নির্বাচন হয়তো রূপরেখা বদলাবে।

এখন দায়িত্ব আপনার। তথ্য যাচাই করুন, ভোটার তালিকায় নিজের নাম নিশ্চিত করুন, পরিবার ও প্রতিবেশীকেও জানান। ভোটের দিন ভোট দিন, শান্ত থাকুন, নজর রাখুন বুথে কি হচ্ছে। সচেতন নাগরিকই দুর্নীতি থামায়, জমি বাঁচায়, ভবিষ্যৎ গড়ে।

অসমের গল্প এখানেই থামবে না। সাহস, একতা, আর ভোটের শক্তি বদল আনতে পারে। আশা রাখুন, সত্যি জিতলে মানুষের জয়ই নিশ্চিত।

Click here